স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রাইসিস ম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আরও একবার জ্বলে উঠলেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টায়। সেই সাথে সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসের দুইটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসের সুবাদে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। দলকে জেতানোর বাকি দায়িত্বটা এখন বোলারদের।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে যথারীতি শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তাকে ফিরিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি।
এরপর তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত এবং চারে নামা মুশফিকুর রহিমও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। দুজনই আউট হয়েছেন অল্প রানের মধ্যে। ৩ বলে ৪ রান করেন শান্ত। অন্যদিকে মুশফিক করেন ৮ বলে ৫ রান। শান্তকে ফেরান শাহীন। মুশফিককে ফিরিয়েছেন হারিস রউফ। মাত্র ২৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে আরও একবার শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
সেই চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করার অভিযানে নামেন টিকে থাকা ওপেনার লিটন দাস এবং পাঁচে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ধীরেসুস্থে ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিতে থাকেন দুজন। অযথা তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ কিংবা অতিআগ্রাসী ভাবভঙ্গি ছিল না তাদের ব্যাটিংয়ে। কার্যকরী ব্যাটিংয়ে বেশ ভালোভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন রিয়াদ-লিটন।
আলাদা করে নজর কেড়েছে রিয়াদের ব্যাটিং। দারুণ সব শট, রানিং বিটুইন দ্যা উইকেট, দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং সবকিছুই ছিল নজরকাড়া। লিটনও যথেষ্ট সাবলীল ছিলেন ক্রিজে। যখন মনে হচ্ছিল দুজন মিলে এগোচ্ছেন বড় ইনিংসের পথে ঠিক তখনই ঘটে বিপত্তি। দলীয় ১০২ রানের মাথায় বেশ বাজে এক শটে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হন লিটন। তাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ইফতিখার আহমেদ। সাজঘরে ফেরার আগে ৬৪ বলে ৪৫ রান করেন লিটন। রিয়াদ এবং লিটনের জুটি থেকে রান আসে ৭৯।
তবে টিকে ছিলেন রিয়াদ। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সাইলেন্ট কিলার। পরে তার সাথে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। সাকিবকে শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে মনে হলেও সময়ের সাথে সাথে সাবলীল হতে থাকেন তিনি। অসাধারণ এক ফিফটিও তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে ফিফটি ছুঁয়েই বাধে বিপত্তি। দলের ১৩০ রানের মাথায় শাহীনের দুর্দান্ত একটি ডেলিভারিতে আউট হন রিয়াদ। ৭০ বলে ৫৬ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন তিনি। সাতে নামা তাওহিদ হৃদয় খুব বেশিক্ষণ টেকেননি। ৩ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
এরপর দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসান। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকেন সাকিব। মিরাজকেও ব্যাট হাতে বেশ সাবলীল মনে হচ্ছিল। দুজন মিলে দলকে দেখাচ্ছিলেন ২৫০ পার করানোর স্বপ্ন। ফিফটির খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন সাকিব। তবে ফিফটিটা আর ছোঁয়া হয়নি তার। ভক্তদের আক্ষেপ বাড়িয়ে ৬৪ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব।
মিরাজ খেলেছেন ৩০ বলে ২৫ রানের ইনিংস। শেষ দিকে দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে ২০৪ রানের মাথায় অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং শাহীন শাহ আফ্রিদি। এছাড়া ২ উইকেট নেন হারিস রউফ। ১টি করে উইকেট তোলেন ইফতিখার আহমেদ এবং উসামা মীর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।