ধর্ম ডেস্ক : রমজানে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতসমূহের একটি ইতিকাফ। ইতিকাফ শব্দটি আরবি। এর বাংলা অর্থ হলো কোনো জিনিসকে আঁকড়ে ধরা। তাতে নিজেকে আবদ্ধ রাখা।
শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মসজিদে অবস্থান করা। সকল মানুষ ও সংসারের সকল কাজ কর্ম থেকে দূরে থাকা। সওয়াবের কাজ; নামাজ, জিকির ও কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি ইবাদতে নিজেকে ব্যস্ত রাখা।
ইতিকাফ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিয়েছি, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্যে পবিত্র করো।’(সুরা বাকারা ১২৫)
এ আয়াত থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সাল্লামের সময়েও ইতিকাফ বিধিবদ্ধ ছিলো।
নবীজির ইতিকাফ
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরতের পর প্রতি বছর ইতিকাফ করতেন। ইতিকাফের দিনগুলোতে তিনি অধিক পরিমাণে রাত্রি জাগরণ করতেন। ইবাদতে কাটিয়ে দিতেন পুরো রাত।
ইসহাক ইবনু ইবরাহিম হানযালী ও ইবনু আবু উমর রহ. হজরত আয়িশা রা. থেকে বর্ণনা করেন, রমজানের শেষ দশক শুরু হওয়ার সাথে সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারা রাত জেগে থাকতেন ও পরিবারের সদস্যদের ঘুম থেকে জাগাতেন এবং তিনি নিজেও ইবাদতের জন্য জোর প্রস্তুতি নিতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৬৫৮)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।