জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মিরপুরে ২০১৩ সালে শাহআলী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ূন কবির খুন হন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের নার্স রহিমা সুলতানা রুমি, তার বন্ধু মো. রাফা এ মিষ্টি ও এক প্রতিবেশী মডেল ও অভিনেত্রী রিয়া।
দীর্ঘ ১০ বছর আগে ঘটে যাওয়া সে হত্যাকাণ্ডের দায়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ( শুক্রবার) গভীর রাতে অভিনেত্রী রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এএসআই হুমায়ূন হত্যা মামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ ছিলেন তিনি। যদিও প্রথমদিকে তিনি অভিনয় কিংবা মডেলিং পেশায় জড়িত ছিলেন না।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হুমায়ূন হত্যার সময় রিয়া স্বামীসহ নিহতের বাড়িতে সাবলেট থাকতেন। তাই এএসআই হুমায়ূনের সঙ্গে তার স্ত্রী রহিমার দাম্পত্য কলহের সব কারণই তিনি জানতেন। মূলত একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়া আর মাদক সেবন নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হত স্ত্রী রহিমার। সেই কলহ থামাতে প্রায়ই এগিয়ে আসতেন প্রতিবেশী রিয়া। পারিবারিক কলহ ধৈর্যসীমা ছাড়িয়ে গেলে স্বামীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিন তিনি। আর এ সিদ্ধান্তে পূর্ণ সায় দেয় তার বন্ধু মিষ্টি আর প্রতিবেশী রিয়া।
এরপরই হুমায়ূনকে মারার পুরো ছক কষেন রিয়া। ঘুমন্ত শরীরে চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করার পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় হুমায়ূনকে। জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী রহিমা স্বীকার করে স্বামীকে সেই হত্যা করেছে। ভালোবেসে বিয়ে করার মর্যাদা স্বামী না দেয়ায় স্বামীকে হত্যার অনুশোচনা নেই তার।
২০১৭ সালে ৩০ মে এ মামলার বিচার শেষে স্ত্রী রহিমা আর বন্ধু মিষ্টিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। আর রিয়াকে দেয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।মামলার শুরু থেকেই স্ত্রীকে পাওয়া গেলেও মিষ্টি আর রিয়া পলাতক ছিল। মিষ্টিকে গতবছর ধরতে পেরেছে পুলিশ। আর এবার ধরা পড়লেন প্রতিবেশী রিয়াও।
খুনের পরপরই রিয়া স্বামীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চলে যান। সেখানে পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৫ সালে পা রাখেন মিডিয়ায়। এসময় নিজের নাম পালটে রাখেন সুহাসিনী অধরা। মিডিয়াতেও বেশ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারপরও শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়েন এ অভিনেত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।