আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি গাঁজা চাষকে বৈধতা দিয়েছে থাইল্যান্ড। তবে কেবল চিকিৎসাজনিত কারণেই তা সেবন করা যাবে। গাঁজার গুণকীর্তন নিয়ে কথা বলেছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক। অথচ প্রাকৃতিক এ শস্য আমাদের কাছে কেবল মাদকদ্রব্য হিসেবেই পরিচিত। এদিকে গাঁজা যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক উপকারী একটি দ্রব্য তা আমরা অনেকেই জানি না। গাঁজা গাছ থেকে প্রাপ্ত একাধিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি হয় নানা ওষুধ।
সেই কথা মাথায় রেখেই এবার গাঁজা চাষকে বৈধ ঘোষণা করল থাইল্যান্ড। ইউরোপ ও আমেরিকার কিছু দেশে গাঁজা চাষ বৈধ হলেও এশিয়াতে এমন সিদ্ধান্ত এ প্রথম। এর আগে ২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য গাঁজা মজুত রাখাকে আইনত স্বীকৃতি দেয় থাইল্যান্ড। কেননা, গাঁজা চাষ বৈধ না হওয়ায় সে দেশে দিন দিন অবৈধ উপায়ে গাঁজা আমদানি বাড়ছিল। সেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যা কিছুটা হলেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এমনকি বৈধভাবে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষকদের ১০ লাখ গাঁজা গাছের চারা বিলি করা হবে বলে জানানো হয়েছে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো কারণে গাঁজা ব্যবহার করা হলে তা আইনত অপরাধ হিসাবেই গণ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। কাজেই নেশা করার জন্য গাঁজা (গঞ্জিকা) সেবন করলে হতে পারে সাজা। তিন মাসের জেল ও ৬০ হাজার টাকারও বেশি জরিমানা।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও আবহাওয়ার কারণে থাইল্যান্ড গাঁজা চাষের জন্য আদর্শ জায়গা। সহজে উৎপাদনযোগ্য গাঁজা চিকিৎসা খাতে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতির পাশাপাশি স্থানীয় ক্ষুদ্র কৃষকদের আয় বাড়াতে চায় দেশটির সরকার। কীভাবে এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন কর্মকর্তারা।
থাইল্যান্ডে গাঁজা বৈধকরণের অন্যতম বড় সমর্থক জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল বলছেন, গাঁজা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, আমাদের সবার সেটা জানা উচিত। আমরা যদি এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন ও সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে গাঁজা অর্থনৈতিকভাবে স্বর্ণের মতো মূল্যবান হয়ে ওঠতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।