আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বে ধনীদের তালিকায় ক্রমেই যুক্ত হচ্ছেন এশিয়ানরা। যদিও বিশ্বের ১০ জন সেরা ধনী যুক্তরাষ্ট্রের দখলে, তবে ধীরে ধীরে সফলতার মই বেয়ে সেই তালিকাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন এশিয়ানরা। শীর্ষে থাকা সেসব ধনীদের অর্থের পরিমাণ ১ বিলিয়ন। দিন দিন সেই অর্থের পরিমাণ বেড়েই চলছে। ফোর্বস ও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে উঠে আসে সেসব শীর্ষ ধনীদের নাম এবং তাদের অর্থের পরিমাণ।
এই মুহূর্তে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন গৌতম শান্তিলাল আদানি। তার মোট সম্পদের মূল্য ১২৪.৮ বিলিয়ন। তিনি ভারতের একজন শিল্পপতি। আদানি গ্রুপ এবং গ্রিন পাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। বর্তমানে এশিয়ায় প্রথম ও বিশ্বে তৃতীয় ধনীদের তালিকায় নাম করে নিয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতের আরেক শীর্ষ ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি। তার সম্পদের মূল্য ৮৯.৫ বিলিয়ন। তিনি বহুল পরিচিত রিলায়েন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। মুকেশ আম্বানি বর্তমানে আম্বানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আম্বানি গ্রুপের অধীনে পেট্রোকেমিক্যাল, তেল ও গ্যাস, খুচরা, মদ্যপ পানীয় বিতরণ, টেলিযোগাযোগ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবসা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি ২০০৯ সাল থেকে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন হয়ে ছিলেন, তবে এ বছর গৌতম আদানি তার এ রেকর্ড ভঙ্গ করেন।
চীনের ব্যবসায়ী ঝং শানশান রয়েছেন তৃতীয় অবস্থানে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু। এশিয়ার ধনী ব্যক্তিদের এই তালিকায় শানশান সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৫.৭ বিলিয়ন। তিনি তার কোম্পানি নংফু স্প্রিং প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার পেশাগত কর্মজীবনের গতিপথকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হন। বেইজিং ওয়ানতাই বায়োলজিক্যাল ফার্মেসিতে দুর্দান্ত সাফল্যের কারণে তিনি আজকের অবস্থানে পৌঁছান। তার কোম্পানি চীনের খুচরা বাজারে একটি সুপরিচিত নাম। কফি, দুধ চা, কোমল পানীয় এবং দ্রবণীয় ভিটামিন ‘সি’সহ বিভিন্ন পানীয় বিক্রি হয়ে থাকে।
ঝাং ইমিং একজন চীনের বাইটড্যান্স অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা। চীন এবং অন্যান্য অনেক দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সমৃদ্ধ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমগুলোর মধ্যে এটিএকটি। ইমিং এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৯.৫ বিলিয়ন।
লি কা-শিং হলেন এশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি। তিনি একজন স্টকমার্কেট ব্যবসায়ী। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য তিনি অসংখ্য সংস্থাকে বিলিয়ন ডলার দিয়েছেন। লি তার দাতব্য প্রচেষ্টার জন্য সুপরিচিত। বিল গেটসের পরেই তিনি দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাইভেট ফিলানথ্রোপিক ফাউন্ডেশনের মালিক। তার মোট সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
ঝেং ইউকুন অ্যাম্পেরেক্স টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা। সংস্থাটি বিশ্বের বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ব্যাটারির অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী। কোম্পানিটি এতই সুপরিচিত এবং শক্তিশালী যে এটি ভক্সওয়াগেন, বিএমডব্লিউ, ফোর্ড এবং এর প্রধান গ্রাহক টেসলার মতো গাড়ি নির্মাতাদের ইভি ব্যাটারির উপাদান সরবরাহ করে।
হুয়াটেং মা শুধু চীনে সবচেয়ে সফল সোশ্যাল মিডিয়া মেসেজিং অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি টেনসেন্ট হোল্ডিংসের ও মালিক, যা চীনের অন্যতম বৃহত্তম প্রযুক্তি ব্যবসা। তার আনুমানিক নেট মূল্য ৩৭.২ বিলিয়ন। ফোর্বসের চীনের ১০০ ধনীর তালিকায় মা চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
লি শাউ-কি চীনের একজন ব্যবসায়ী। তিনি সান হাং কাই এবং কোক টাক-সেং সহপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি উল্লেখযোগ্যভাবে সফল হয়েছেন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে। মি. লি অর্থের অভাবে ছোট তহবিল এবং ঋণ দিয়ে শুরু করেছিলেন। ফোর্বস অনুসারে, তার সম্পদের মূল্য ২৭.৫ বিলিয়ন ডলার।
মাসায়োশি সন জাপানের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। তিনি সফটব্যাংক ক্যাপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং সফটব্যাংক মোবাইলের সিইও, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৬.১ মিলিয়ন ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।