জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্সে প্রতি তিন মাস পর পর কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায়। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ৯টি লোহার দানবাক্স ও ২টি ট্যাংক থেকে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এসব টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারের সঙ্গে পাওয়া গেছে চিঠি এবং চিরকুট। এবার পাগলা মসজিদের দান বাক্সে চিরকুট দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. ইউনূসকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখার মনোবাসনা জানিয়েছেন এক ব্যক্তি।
অজ্ঞাত এক ব্যক্তির দেওয়া ওই চিরকুটে লেখা, ‘ড. ইউনূস স্যারকে আরো পাঁচ বছর চাই- সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’
এবার অন্যবারের মতোই দান বাক্সে টাকার সঙ্গে পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনা। এখনো গণনার কাজ চলছে।
গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৪০০ জনের একটি দল।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের নিচতলায় বিভিন্ন স্থানে থাকা দান বাক্সগুলো একে একে খোলা হয়। এরপর প্লাস্টিকের বস্তাভর্তি টাকা নেওয়া হয় দ্বিতীয় তলায়।
প্রথমবারের মতো পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে কত টাকা আছে তা জানিয়েছে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।
এ পর্যন্ত কী পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে— এ তথ্য সবার কাছে এত দিন ছিল অজানা। প্রশাসনও বিষয়টি প্রকাশ করেনি। এমনকি সাংবাদিকরা বারবার চেষ্টা করেও মসজিদ পরিচালনা কমিটির কাছ থেকে এ তথ্য বের করতে পারেননি।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডিসি ফৌজিয়া খান নিজেই জানান কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে দানের টাকা ব্যাংকে কত গচ্ছিত আছে। শনিবার দুপুরে পাগলা মসজিদে সাংবাদিকদের কাছে জমা টাকার তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি জানান, মসজিদের দান বাক্স থেকে পাওয়া আয় থেকে মসজিদ পরিচালনা, এতিমখানা পরিচালনা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট টাকা কিশোরগঞ্জের রূপালী ব্যাংকে মসজিদের হিসাবে জমা রাখা হয়েছে। সব খরচ বাদে এ পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
এবার চার মাস ১২ দিন পর মসজিদের দান বাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এর আগে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর প্রায় ৪০০ জনের একটি দল ১০ ঘণ্টা গণনা শেষে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পায়।
টাকা গণনা কাজে দিনভর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নেওয়া হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা।
এর আগে, সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর দানসিন্দুক থেকে পাওয়া গিয়েছিল আট কোটি ২১ লাখ টাকা। এবার আরো একটি দানসিন্দুক বাড়ানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।