জুমবাংলা ডেস্ক : অসময়ে তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ভুলকোট গ্রামের সানু মিয়া। তরমুজ মৌসুমি ফল হলেও স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় অসময়ে তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফলে দিয়েছেন তিনি। তাকে দেখে অনেকেই অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে সানু মিয়া নিজ বাড়ির সামনের পরীক্ষামূলকভাবে ২০ শতক জমিতে মাচায় সাগর কিং ও মধুমালা নামে ২ জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। পরে প্রায় ৫৫ দিনের মধ্যে তরমুজের ফুল ও ফল আসে। বর্তমানে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ তরমুজ রয়েছে তার জমিতে। এর মধ্যে কোনোটার ওজন ১ কেজি থেকে দেড়কেজি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর ১৫ থেকে ২০ দিন পরেই তিনি তরমুজ সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।
চাষি সানু মিয়া বলেন, ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করছি। কিন্তু আমি বিকল্প আয়ের সন্ধান করতে থাকি। এই সময় মাচায় তরমুজ চাষ সম্পর্কে কৃষি অফিস থেকে জানতে পারি। এরপর এ বিষয়ে সামান্য প্রশিক্ষণ নিয়ে অসময়ে এ তরমুজ চাষ করি। এজন্য আমার এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি তরমুজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আশা করছি ভালো টাকা লাভ করতে পারবো।
দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, মোটিভেশনের মাধ্যমেই কৃষক সানু মিয়া অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষ করেছেন। প্রায় ২০ দিন পর এসব তরমুজ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করা যাবে। আশা করছি আগামী বছর অফ সিজনে উপজেলা জুড়ে এই জাতের তরমুজ চাষ বৃদ্ধি পাবে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন, বাহুবলে সাগর কিং, গোল্ডেন ক্রাউন ও মধুমালা জাতের তরমুজ চাষে সফলতা এসেছে। আশা করছি দিন দিন তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে। আমরা বিষমুক্ত তরমুজ চাষে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।