জুমবাংলা ডেস্ক : আবহাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী চলতি মাসে আসছে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রলয়ংকরী শক্তিতে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। সম্প্রতি দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণিচক্রের (সাইক্লোনিক সার্কুলেশন) সৃষ্টি হয়, যা গভীর নিম্নচাপ ধাপ পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড় হবে। জেনে নেওয়া যাক, ঘূর্ণিঝড়ের নাম কীভাবে ‘মোখা’ হলো।
বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে বিশ্বের ১৩টি দেশ। ২০০০ সাল থেকে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অন্তর্গত ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং ওমান ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে।
২০১৮ সালে ইরান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এই প্যানেলে শামিল হয়। ঝড়ের নাম ঠিক করার জন্যে প্রত্যেক দেশ কিছু নাম প্রস্তাব করে। ‘প্যানেল অন ট্রপিকল সাইক্লোন’-এর কাছে সেই নামগুলো পেশ করা হয় ও একটি তালিকা তৈরি হয়।
নাম ঠিক করার সময় যদিও বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়, যেমন কোনো গোষ্ঠী বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে আঘাত করে এমন কোনো নাম গৃহীত হবে না। একবার ব্যবহার করা নাম আর ব্যবহার করা যাবে না।
ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের তথ্য অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ইয়েমেন। সেই দেশের বিখ্যাত শহর মোখার নাম থেকেই রাখা হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রাট। ইংরেজিতে নাম Mocha। আর এরপর থেকেই শুরু আলোচনা। এর বাংলা তর্জমা করলে কী দাঁড়ায়! মোচা নাকি মোকা? এই নিয়ে বিভ্রাট তৈরি হয়েছে। আসলে নামের অর্থের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এর রহস্য।
মোখা এমনিতেই বেশ পরিচিত একটি শহর। সারা বিশ্বের কাছে এই শহরের পরিচিতি তার কফির জন্য। কফির উৎপাদন এবং সারা বিশ্বে সরবরাহের কাজ করা হয় এই শহর থেকে। এটির নামেই নামকরণ হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। তাই মোকা বা মোচা নয়, শব্দটি হবে ‘মোখা’।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত শুরু করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে দুপুরের পর থেকে মধ্যরাত্রির মধ্যে। মোখার মূলকেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা। ঘূর্ণিঝড়ের পেছনের অর্ধেক অংশ উপকূলে অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৫ মে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত। উপকূলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর সম্ভাব্য বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পরে ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৭ থেকে ১০ ফটু উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।