Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home আশ্রয়ণ প্রকল্পটি এখন ধ্বংসস্তূপ
    জাতীয় বিভাগীয় সংবাদ রাজশাহী

    আশ্রয়ণ প্রকল্পটি এখন ধ্বংসস্তূপ

    Shamim RezaJanuary 24, 20255 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : শুনশান নিরবতা। কেউ নেই। এখানের ৬০টি ঘরের সবগুলোই ভাঙা। দরজা, জানালা, টিন, ইটের দেয়াল কোনোকিছু অবশিষ্ট নেই। ভেঙে ফেলা ইট চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। এটি একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি এখন ধ্বংসস্তূপ।

    Pabna

    পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা পশ্চিম জামুয়া গুচ্ছগ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি ঘর ভেঙে দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শুধু ঘর ভাঙচুরই নয়, ঘরের দরজা, জানালা, টিনের চালসহ প্রায় সবকিছু লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি নিজেদের দাবি করে আদালতে মামলা চলমান উল্লেখ করে সেখানে ৭ জনের নাম সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জোর করে তাদের জমি দখল করে সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়। তবে ভাঙচুর লুটপাটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।

    জানা গেছে, ২০২০ সালে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম জামুয়া গ্রামে ভূমিহীন ৬০টি পরিবারকে দলিলসহ ঘর বুঝিয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওইদিন সন্ধ্যায় ও রাতে এসব ঘরে বসবাসরত পরিবারগুলোকে ঘর ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদের অস্ত্রের মুখে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেন তারা। এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে ভাঙচুর চালানো হয়। লুট করা হয় ঘরের দরজা, জানালা, টিনের চালসহ সবকিছু। এরপর ওই জমি নিজেদের দাবি করে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান আছে উল্লেখ করে তারা একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। এতে জমির মালিক দাবিদার ৭ জন হলেন- ভাড়ারা পশ্চিম জামুয়া গ্রামের আকরাম প্রামাণিক, উম্মত প্রামাণিক, আক্কাস প্রামাণিক, ইব্রাহিম প্রামাণিক, ইসমাইল প্রামাণিক, নায়েব আলী ও নবাব আলী।

    সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হলে নজরে আসে সবার।

    সরেজমিনে আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা যায়, প্রকল্পের ৬০টি ঘরের সবগুলোই ভাঙা। দরজা, জানালা, টিন, ইটের দেয়াল কোনোকিছু অবশিষ্ট নেই। ভেঙে ফেলা ইট ছড়িয়ে রয়েছে। বসবাসকারীরা কেউ এখানে নেই।

    প্রকল্পের প্রবেশমুখেই একটি সাইনবোর্ড চোখে পড়ে। যেখানে লেখা ‘নিম্ন বর্ণিত সম্পত্তি লইয়া পাবনা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান আছে। বাদি সাতজনের নাম, বিবাদি সরকার। জমির পরিমাণ ১ দশমিক ৩৮ একর।’

    প্রকল্প এলাকায় উপস্থিত হন জমির মালিক দাবিদার পশ্চিম জামুয়া গ্রামের নায়েব আলী ও আক্কাস প্রামাণিকের ছেলে আতিক প্রামাণিক। তারা বলেন, “এই জমি আমাদের। কিন্তু পতিত সরকারের সন্ত্রাসী আবু সাইদ খান চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এই জমি জোর করে দখল নিয়ে প্রশাসনকে দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছিল।”

    তারা আরো বলেন, “এই জমি নিয়ে ২০১০ সালে ও ২০২০ সালে আদালতে মামলাও করেছি আমরা। সেই মামলা চলমান থাকা অবস্থায় প্রশাসনের লোকজন নিজেদের ইচ্ছামতো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর করেছে। আমরা অসহায় ছিলাম, কিছু করতে পারিনি। আমাদের জমি দাবি করে তাদের চলে যেতে বলেছিলাম, তবে ঘর ভাঙচুরের সাথে আমরা জড়িত না। তারা নিজেরাই ঘরের সবকিছু ভেঙে নিয়ে চলে গেছে। এখানে আমাদের ওপর মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।”

    আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করা ভূমিহীনদের খোঁজ করে জানা গেল, তারা পার্শ্ববর্তী বাঁধে বসবাস করছেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ফুলমালা বেগম বাঁধের নিচে ছোট্ট একটা টিনের চাল ও পাটকাঠির বেড়া দিয়ে একটি ঘর তুলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন। তার আশেপাশে এরকম ভুক্তভোগী পাওয়া গেল আরো কয়েকজনকে।

    সেদিনের কথা জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফুলমালা বেগম বলেন, “শেখ হাসিনা পালায়ে যাবার পর সন্ধ্যার সময় কিছু লোকজন এসে আমাগোরে এক ঘণ্টার মধ্যি ঘর ছাইড়ে দিয়ার জন্যি নির্দেশ দেয়। তখন রান্না করতেছিলাম। তাগারে অনুরোধ কইরেও কাম হয় নাই। সারারাত না খায়ে ঘরের বাইরে বসে কাঁদিছিলাম। সকালে কাপড় চুপুর লিয়ে বাপের বাড়িতে যাই। সেহেন থেনে এই বাঁধে আইসে কোনোরহমে এই ঘরডা তুইলে আছি। আমরা সরকারের কাছে মাথা গুজার ঠাঁই চাই।”

    বাচ্চু প্রামাণিকের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন, “ওইদিন পরথম কয়েকজন আইছিল। ঘণ্টাখানেক পর পিরায় তিনশ থেকে চারশ লোক আইসে আমাগারে ওপর সেই হম্বিতম্বি। এক ঘণ্টা সুময় দিয়ে কইলো যার যা আছে টুপলা বাইধে চইলি যা। না হলি বিপদ হবি। এই কয়া ভাঙচুর শুরু করে। পরে কি করবো, দিশা মিশা না পায়া যা ছিল কাপড় চোপড় একটা ছাগল ছিল লিয়ে চইলে আসি। পরে সেই ছাগলডা বেইচে এই বাধে কুনুরহম ঘরডা তুইলে আছি বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।”

    আবেদ শেখের স্ত্রী বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম (৭০) এর ছেলে আলম শেখ বলেন, “ভাঙচুর শুরু হলি আমার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে পাগলের মতো হয়ে গেছিলাম। কোনো যাবো কি করবো দিশেহারা অবস্থা তখন। পরে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় লেই। আর দিনমজুরি কইরে বাঁধের এহেনে আইসে ছাপড়া তুইলে মাকে লিয়ে আছি।”

    ঘটনার পর প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান। তিনি বলেন, “ভুক্তভোগীরা এখন বাঁধের ওপর মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের টয়লেট, পানি ব্যবস্থা নাই। দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন তারা। সরকারের সাথে দখলদারদের জমি নিয়ে ঝামেলা থাকুক সমস্যা নাই। কিন্তু এই গরীব মানুষগুলোর তো কোনো দোষ নাই। তারা কোথায় যাবে এখন। তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানাই।”

    এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, “বাড়িগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে সে বিষয়টি জানা ছিল না। তবে নজরে আসার পর আমি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। পুরো বিষয়টি জানার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদি কেউ ভেঙে থাকে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    জমি নিয়ে মামলা আছে কি না জানা নেই উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, “মামলার কাগজপত্র না দেখে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।”

    শনিবার ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

    পাবনা সদর উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। সে হিসেবে ৬০টি ঘর নির্মাণে সরকারের খরচ হয়েছে এক কোটি দুই লাখ ষাট হাজার টাকা।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় আশ্রয়ণ আশ্রয়ণ প্রকল্প এখন ধ্বংসস্তূপ প্রকল্পটি বিভাগীয় রাজশাহী সংবাদ
    Related Posts
    Husband

    ডাকসু নির্বাচন : প্রথমবারের মতো একসঙ্গে জয়ী হলেন স্বামী-স্ত্রী

    September 10, 2025
    অর্থায়ন

    খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে ১০ কোটি ডলার অর্থায়ন করবে সৌদি

    September 10, 2025
    জাতীয় সংসদ নির্বাচন

    ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ, সম্ভাব্য কেন্দ্র ৪২৬১৮

    September 10, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Gunsmoke 70th anniversary streamingGunsmoke 70th anniversary streamingGunsmoke 70th anniversary streaming

    Gunsmoke 70th Anniversary: Classic Western Tops Nielsen Streaming Charts

    বিহার

    বিহারে শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে ছাত্রদের বিক্ষোভ, রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা

    Spotify lossless audio

    Spotify Lossless Audio Launches for Premium Subscribers at No Extra Cost

    iPhone 17 Pro USB-C speeds

    iPhone 17 Pro Retains USB 3 Speeds as Standard Models Lag Behind

    Pakistan mass surveillance

    Pakistan Deploys Mass Phone Surveillance and Chinese Firewall to Silence Dissent

    EA FC 26 ratings

    EA FC 26 Ratings Reveal Real Madrid’s Mixed Fortunes After Tough Season

    Peloton বাইকে Netflix চালানোর উপায়

    Peloton বাইকে Netflix চালানোর উপায়

    সেনা কর্মকর্তার পদত্যাগ

    এনসিপি থেকে ২ সাবেক সেনা কর্মকর্তার পদত্যাগ

    iPhone custom alarm tone

    আইফোনে কাস্টম অ্যালার্ম সেট করার সহজ উপায়

    Husband

    ডাকসু নির্বাচন : প্রথমবারের মতো একসঙ্গে জয়ী হলেন স্বামী-স্ত্রী

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.