বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : একবিংশ শতাব্দীতে অর্থাৎ ২০০১ থেকে ২১০০ সাল পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে পৃথিবী প্রায় ২২৪টি সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হবে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৭টি সূর্যগ্রহণ হবে ‘হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ’ বা ‘রিং অফ ফায়ার’। চলমান শতাব্দীতে বিরল প্রজাতির এই ‘হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ’ ঘটতে যাচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল)।
‘হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ’ কী এবং কীভাবে ‘রিং অফ ফায়ার’ তৈরি হয়?
মূলত এ সময়টাতে চাঁদ সূর্যের কেন্দ্র বরাবর অবস্থান করে ও সূর্যকে ঢেকে রাখে। ঢেকে রাখা অংশের বাইরের প্রান্তজুড়ে চাঁদের চারপাশে আগুনের বলয় দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। চাঁদের কক্ষপথ সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথের তুলনায় প্রায় পাঁচ ডিগ্রি ঝুঁকে থাকে। তাই এ সময় চাঁদ সৌরমুখের ওপর বা নিচ দিয়ে যায়।
সূর্যের চেয়ে চাঁদ প্রায় ৪০০ গুণ ছোট। কিন্তু সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর ৪০০ গুণ কাছাকাছি। যার ফলে আমাদের পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে এগুলোর আকার প্রায় একই দেখায়। পূর্ণগ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে দেয় আর চারপাশে জ্বলন্ত সূর্যের আলো কয়েক সেকেন্ডের জন্য একটি ‘রিং’ আকৃতি ধারণ করে।
কোথা থেকে দেখা যাবে ‘রিং অফ ফায়ার’?
বিশেষ এই চন্দ্রগ্রহণটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর অতিক্রম করে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব তিমুর, অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার অঞ্চলগুলো অতিক্রম করবে। এই সঞ্চলের দেশগুলোতে ‘রিং অফ ফায়ার’ দেখা যাবে। মাদাগাস্কারের দক্ষিণে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এবং ইন্দোনেশিয়া ও হাওয়াইয়ের সমদূরত্বে উত্তর-পূর্বেও চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে।
হ্যালো মিনি ওয়েব সিরিজে খোলামেলা দৃশ্যে ঝড় তুললো অনুজা যোশি
পরবর্তী ‘হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ’ কবে?
সর্বশেষ হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ হয়েছিল ২০১৩ সালে এবং পরবর্তীতে ঘটবে ২০৩১ সালে। স্পেস ডটকম বলছে, পরবর্তী শতাব্দীতে আকাশ পর্যবেক্ষকরা ২৩ মার্চ ২১৬৪ সালে হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ দেখতে পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।