বিনোদন ডেস্ক : চমক-কাণ্ড যেন ছোটগল্পের বাস্তব রূপ- শেষ হইয়াও হইলো না শেষ! গত রবিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় টিভি নাটকের মূল তিনটি সংগঠন (অভিনয়শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড ও টেলিপ্যাব) বিচার সভায় বসে। সেখানে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমককে চার দফা শাস্তি দিয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘ। এগুলো হলো- আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, লিখিত অঙ্গীকার, জিডি প্রত্যাহার ও অর্থ জরিমানা।
যদিও ডিরেক্টরস গিল্ড-এর সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর জানিয়েছেন, তারা এই বিচারে সন্তুষ্ট নন। তাদের দাবি, চমককে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
এদিকে শিল্পী সংঘের নির্দেশনামা প্রকাশ্যে আসার একদিন পর সরব হলেন অভিনেত্রী চমক। বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত পৌনে চারটার দিকে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ একদমই একটি নারীবাদী দেশ। এখানে মেয়েরা সর্বস্থলে সবসময় নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারে। কোথাও কারও কাছে কিংবা কোনও পরাশক্তি বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করতে হয় না। নিরাপদে নির্ভীক থাকুক প্রতিটি মেয়ে।’
চমকের কথাগুলো ইতিবাচক হলেও কেউ কেউ মনে করছেন, পরোক্ষভাবে তিনি কটাক্ষই করেছেন সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে। এমন ধারণা আরও পোক্ত হয় তার আরেকটি পোস্টে। যেটা তিনি একই রাতের চারটা সাত মিনিটে দিয়েছেন। সেখানে তিনি কবিতার ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করেছেন; যা এরকম- ‘দিন শেষে সব দোষ নন্দ ঘোষের। আনন্দবাবু তো তুলসীপাতা, তাও আবার ধোয়া, যায় না তাকে ছোঁয়া! নন্দ ঘোষের মুখে তালা, ভয়-ভীতিও আছে, পাছে সবাই করে ছি-ছি তারে, কেটে দেয় তার ডালপালা যদিও একটু বাড়ে! থাক, এবার না হয় বাঁচুক প্রাণ, কে নেবে, যদি রাখে ঈশ্বর মানীর মান! দুষ্ট লোক এবার দিলেও ফাঁকি, মনে রেখো, তার হিসেব রইলো শ’খানেক বাকি!’
বলা প্রয়োজন, গত ৪ আগস্ট আদিফ হাসানের পরিচালনায় নির্মাণাধীন নাটক ‘শ্বশুরবাড়ির প্রথম দিন’র সেটে তর্কাতর্কি, পুলিশ আসা এবং শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, এদিন সেটে উত্তেজিত অবস্থায় নির্মাতা ও সহশিল্পীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন অভিনেত্রী চমক। এরপর নিজের নিরাপত্তার কথা বলে পুলিশও ডেকে আনেন। এ ঘটনায় নাটকটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এ নিয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয়শিল্পী সংঘ এবং টেলিভিশন এবং ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) দফতরে অভিযোগ জমা পড়ে। সেটার নিরিখেই বিচার সভা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সহ-অভিনেতা আরশ খানের বিরুদ্ধে ‘যৌ’ন হেনস্তা’র মতো গুরুতর অভিযোগ তোলেন চমক। শুধু তাই নয়, আরশ ও পরিচালক আদিফ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় জিডি পর্যন্ত করেছেন তিনি। তবে তিন সংগঠনের বিচার সভায় তার সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। যার কারণে তাকে সাংগঠনিক শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।