জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে তাদের পরিচয়। কথাবার্তা ও আড্ডায় জানা গেল তাদের আগ্রহ গবেষণা ও উদ্ভাবনী কাজে। তিনজনই একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি শুরু করেন গবেষণা। তখন থেকেই বন্ধুত্ব নাঈম হোসেন, মামুনুর রশিদ ও সুমন আলীর।
তারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিস্ময়করভাবে তিনজনই বিবিএতে ৩.৮৪ এবং এমবিএ ৩.৯৩ সিজিপিএ অর্জন করেন। রেজাল্টের মতোই তিন বন্ধু একসঙ্গে পেয়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ। ফুল ফান্ডেট স্কলারশিপ নিয়ে তিন বন্ধুর মধ্যে নাঈম হোসেন ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিকস বিষয়ে পিএইচডির সুযোগ পেয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব নিউ ওরল্যান্সে। এ ছাড়াও ফিন্যান্স বিষয়ে মামুনুর রশিদ এবং সুমন আলী পেয়েছেন যথাক্রমে সান অ্যান্টোনিওর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ও এল পাসোর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে।
জানা যায়, বিবিএ তৃতীয় বর্ষে থাকাকালে ২০২০ সালের শুরুর দিকে হাসান’স রিসার্চ ল্যাব নামে একটি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত হন তারা। এর পরই গবেষণার কাজ শুরু করেন তারা। ভিন্ন হলে থাকলেও তাদের গবেষণাগুলো লালনশাহ হলের কমন রুমেই করা হতো। এরই মধ্যে বিভিন্ন জার্নালে নাঈমের ৭টি, মামুনের ১০টি ও সুমনের ৬টি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেকেরই কিছু পেপারস প্রসেসিংয়ে আছে। এ গবেষণাগুলোই তাদের ফুল ফান্ডেটে স্কলারশিপ পেতে সুযোগ করে দিয়েছে।
মামুনুর বলেন, প্রথম বর্ষ থেকেই দেখি বিভাগের ড. মো. বখতিয়ার হাসান স্যার গবেষণার কাজে যথেষ্ট সক্রিয়। তখন থেকেই আমরা তিনজন স্যারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেছিলাম। স্যার আমাদের আগ্রহ দেখে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে স্কলারশিপ পাওয়ার বিষয়ে তারা বলেন, গবেষণায় সফলতা কিছুটা পাওয়ার পর আমরা আইএলটিএস এবং জিআরই-এর দিকে ফোকাস দিই। প্রথমে আমরা আইএলটিএস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।
নাঈম বলেন, সেসময় জিআরই পরীক্ষা ফি ছিল প্রায় ২৫ হাজার টাকা। দ্বিতীয়বার পরীক্ষার টাকা ম্যানেজ করাও কঠিন ছিল। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের জিআরই পরীক্ষায় বসে সুমন। এবার সে তার কাক্সিক্ষত স্কোর ৩১৪ পেয়ে যায়। সেটা দেখে আমি আর মামুনুর খুবই অনুপ্রাণিত হই।
তিনি বলেন, তারপর মামুনুর পরীক্ষায় বসে ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি। সেও তার কাক্সিক্ষত স্কোর ৩০৬ পায়। অন্যান্য ডকুমেন্টস রেডি করে অনলাইনে আবেদন শুরু করে মামুনুর আর সুমন।
বিজনেস ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেতে আগ্রহীদের জন্য পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকার বিজনেস পিএইচডি প্রোগ্রামগুলো খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তার মধ্যে ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম আরও বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ।
মাত্র ২-৩ জন স্টুডেন্ট ভর্তি করায় প্রত্যেক বছরে। তাই আইইএলটিএস স্কোরের ক্ষেত্রে ৭ ব্যান্ড তোলার চেষ্টা করতে হবে। তবে জিআরইর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে ৩১০-এর মতো স্কোর তুলতে পারলে যে কোনো পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সুযোগ থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।