লাইফস্টাইল ডেস্ক : রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজার শীতল আবহাওয়ায় খাদ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে। আসলে খাবারের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট বিন্দুর উপরে উঠতে শুরু করলে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া বাড়তে থাকে। তবে সব ব্যাকটেরিয়াই যে খারাপ এমন নয়। যদিও অধিকাংশ খারাপ ব্যাকটেরিয়া খাদ্যের গুণমান কমায়, ঝুঁকি বাড়ায় বিষক্রিয়ার। এই সমস্যা রেফ্রিজারেটরে খাদ্য সংরক্ষণ করলেও হতে পারে। তাই সঠিক তাপমাত্রায় খাদ্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
আবার শীতকালে খাদ্য সংরক্ষণে সমস্যা কিছুটা কম। এক্ষেত্রে রেফ্রিজারেটরের আদর্শ তাপমাত্রা কেমন হওয়া উচিত বা এটি কীভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন?
সাধারণত রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার নিচে থাকা উচিত। আর ফ্রিজারের তাপমাত্রা হওয়া উচিত ০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার কম। এমনিতে যে কোনো রেফ্রিজারেটরে এর থেকে কম তাপমাত্রা থাকে। মনে করা হয় ৩৫ থেকে ৩৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১.৭ থেকে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে এই তাপমাত্রা রাখা দরকার।
ফ্রিজারের তাপমাত্রা ০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছিই রাখা উচিত। কিছু ফ্রিজারে ফ্ল্যাশ ফ্রিজের অপশন থাকে, যা তাপমাত্রার তারতম্য থেকে বাঁচাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজারের তাপমাত্রা হ্রাস করে। চাইলে ম্যানুয়ালিও ফ্রিজারের তাপমাত্রা হ্রাস করা যেতে পারে। কিন্তু তাহলে আবহাওয়া অনুযায়ী এই তাপমান বদলাতে হবে।
কিছু রেফ্রিজারেটরে তাপমাত্রা দেখানো হয় না। সেক্ষেত্রে একটি স্কেল থাকে, যা ১ থেকে ৫ পর্যন্ত দেখায়। সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা মাপতে গেলে থার্মোমিটার ব্যবহার করতে হবে। ফ্রিজারে থার্মোমিটার ২০ মিনিটের জন্য রেখে রিডিং পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।
মাথায় রাখতে হবে যেসব বিষয়
১. কোনো খাবার ফ্রিজে ঢোকানোর আগে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। না হলে খাবার নষ্ট হতে পারে, রেফ্রিজারেটরে শীতলতাও কমতে পারে। খাবার ঢেকে রাখতে হবে।
২. রেফ্রিজারেটরের দরজা ঠিক মতো বন্ধ হচ্ছে কিনা দেখতে হবে। রেফ্রিজারেটরের চারপাশে গ্যাসকেট থাকে যা ভেতরে ঠাণ্ডা রাখে। এই গ্যাসকেটগুলোয় ফুটো হয়ে থাকলে, ঠাণ্ডা বাতাস বেরিয়ে গরম বাতাস ঢুকে পড়তে পারে।
৩. বার বার দরজা খোলা-বন্ধ না করাই ভালো। বেশিক্ষণ দরজা খুলে রাখলেও রেফ্রিজারেটরের শীতলতা কমে।
৪. রেফ্রিজারেটর সব সময় ভর্তি রাখাই ভাল। তাতে শীতলতা বজায় থাকে বেশিক্ষণ। তবে বাতাস চলাচলের জায়গাও রাখতে হবে। সাধারণত ফ্রিজের ২০ শতাংশ জায়গা খালি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।