জুমবাংলা ডেস্ক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি সম্পূর্ণ অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীতে সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত বিদ্যুৎ কর্মীকে আজ শুক্রবার দেখতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, লাইনে কাজ করা অবস্থায় কেন লাইন চালু করা হলো এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর দায় ডিপিডিসি, কোম্পানি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এড়াতে পারে না। এই অবহেলার জন্য একজন মানুষ মারা গিয়েছে এবং দুজন মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা নেইনি, আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। এটাকে আগের সরকারের মতো ভাবলে হবে না।’
তিনি আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নির্দেশনা প্রদান করেন। আহতদের জন্য কেবিন প্রদানের নির্দেশনাও প্রদান করেন তিনি। এছাড়া ডিপিডিসির পক্ষ থেকে হাসপাতালে সার্বক্ষণিক লোক নিয়োগের নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি নিহত ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, মানুষের মৃত্যুর কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিহত ও আহতদের পরিবার ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ, গুরুতর আহতকে ২ লাখ ও আহতকে এক লাখ টাকা প্রদানের নির্দেশনা দেন। আহতদের চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, তিনি মানিকনগরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং কেন এ দুর্ঘটনা ঘটলো তার কারণ দ্রুত উদঘাটনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য রাজধানীতে সঞ্চালন লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক বিদ্যুৎকর্মী নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় মানিকনগর এলাকায় উচ্চচাপ (এইচটি ক্যাবল) বিদ্যুৎলাইনের তার পরিবর্তনের কাজ করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি হলেন বিদ্যুৎ লাইনকর্মী (ফোরম্যান) মো. নবীর হোসেন। আহতরা হলেন, মাসুম মিয়া ও রবিউল ইসলাম। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।