লাইফস্টাইল ডেস্ক : পৃথিবীতে এমন কোনো প্রাণী নেই যার গায়ে মানুষ বেল্ট পরাতে পারেনি। এমনকি বনের বাঘ, সিংহ ও চিতাবাঘও গৃহপালিত হলেও আজ পর্যন্ত বনের এক প্রাণী মানুষের দাসত্ব মেনে নেয়নি। অনেক চেষ্টা করেও তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এই প্রতিবেদনটি তাদেরই নিয়ে গল্প।
এমনকি সেই প্রাণীটিকে মানুষ অনেক চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এরা দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। হলিউড ও বলিউডের অনেক ছবিতেও তাদের দেখানো হয়েছে। কখনো ভ্যাম্পায়ার হিসেবে আবার কখনো নরখাদক হিসেবে।
আপনি কি সেই প্রাণীর নাম জানেন? অনেক মুভিতে এই প্রাণীটিকে দেখানো হয়েছে। কখনো ভ্যাম্পায়ার হিসেবে আবার কখনো নরখাদক হিসেবে। ইতালীয় “দ্য সিটি অফ গড”এর লেখক এই প্রাণীটিকে ডাইনির সাথে তুলনা করেছেন। হ্যাঁ, এই ভীতিকর প্রাণীটি হল নেকড়ে।
এক বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ গত ২২ বছর ধরে ভারতের বনে বন্য প্রাণীদের নিয়ে কাজ করছেন। তাকে বহুবার বিপজ্জনক প্রাণীর মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই কোনো না কোনোভাবে প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। প্রাণীদের যে দলটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করেন তা হল নেকড়ে।
নেকড়ে এমন একটি প্রাণী যা মানুষ লাখ লাখ চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তারা দলবদ্ধ থাকে। পরিবারের যত্ন নেয়। প্রবীণরা তাদের দলে অত্যন্ত সম্মানিত। ঠিক মানুষের মতো। একটি প্রাপ্তবয়স্ক নেকড়ের ৪২টি দাঁত থাকে, যা এতটাই শক্তিশালী যে তারা সহজেই বড় হাড় চিবিয়ে খেতে পারে।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে ছবিতে দেখানো নেকড়েদের বেশিরভাগই সাইবেরিয়ান। এদের আকার কুকুরের চেয়ে অনেক বড়। সারা শরীর ঘন লোমে ভরা। কিন্তু ভারতে দেখা নেকড়েগুলো হুবহু কুকুরের মতো। বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলার টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টেও অনেক নেকড়ে পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে তারা বিলুপ্তির পথে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।