জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে জেলা শহরের টি.এ.রোড এলাকায় হামলার এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন তাহেরী নিজেই।
জানা যায়, সোমবার বিকেল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে সংগঠনটির নেতারা এই কর্মসূচি বাতিল করেন। অন্যদিকে তার শহরে প্রবেশের বিরোধিতা করে সম্মিলিত কওমি প্রজন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের একটি সংগঠন প্রেসক্লাবের সামনে পাল্টা অবস্থান কর্মসূচি দেয়।
এদিন গিয়াস উদ্দিন তাহেরী জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য গাড়িতে করে জেলা শহরের ভেতর দিয়ে কাউতলী যাওয়ার পথে টি.এ.রোড এলাকায় পৌঁছালে একদল মাদরাসার ছাত্র তার গাড়িতে হামলা করে। এতে তাহেরীসহ গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন আহত হন। মাদরাসার বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা গাড়ি থেকে তাহেরীকে বের করার চেষ্টা করে। পরে দ্রুত তাহেরী ও তার লোকজন গাড়ি নিয়ে ঐ স্থান ত্যাগ করেন।
তাহেরী বলেন, আমরা মহানবী (স.) এর কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলাম। তবে মানববন্ধনটি বন্ধ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ প্রশাসনের নিকট অনেকে হুমকি-ধামকি দিয়েছেন।
এ সময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন তাহেরী।
ঘটনার বিষয়ে সম্মিলিত কওমি প্রজন্মের সমন্বয়ক কাজী সাইফুর রহমান মুন্না জানান, প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ার পরও তারা এসেছিল। মাদরাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতা বলতে চেয়েছিল, আপনারা চলে গেলে ভালো হয়। এ নিয়ে ফকিরাপুলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর ওপর হামলা হয়েছে, এমন একটি ভিডিও বার্তা ফেসবুকে দেখেছি। তাছাড়া তিনি মুঠোফোনের মাধ্যমে হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে, তার পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি এখনো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।