আবির হোসেন সজল, লালমনিরহাট : আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী বাজার এলাকায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে ওই মামলার আসামি হাবিব মিয়া (২৬) ও তার সহযোগীরা। একই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনজন সাংবাদিকও হামলার শিকার হন।
Table of Contents
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১১টার দিকে সাপ্টিবাড়ী বাজার এলাকায়।
হামলাকারী হাবিব মিয়ার পরিচয়
স্থানীয় হাফেজ আলীর ছেলে হাবিব মিয়া এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে গত ২৭ মার্চ প্রতিবেশী এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। এরপর হাবিব গ্রেফতার হয়ে প্রায় এক মাস জেল হাজতে ছিলেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার প্রায় এক মাস পরই সে পুনরায় বাদীর বাড়িতে হামলা চালায়।
সাংবাদিকদের উপর হামলার বিবরণ
হামলার শিকার তিন সাংবাদিক হলেন :
- ফারুক আহমেদ সূর্য্য – দৈনিক ভোরের চেতনার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
- খাইরুল আলম – দৈনিক জনবাণীর জেলা প্রতিনিধি
- রব্বানী আহমেদ – দৈনিক গণতদন্তের জেলা প্রতিনিধি
তারা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হাবিব ও তার দলবল তাদের উপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে হাবিব দলবলসহ ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়।
আহত সাংবাদিকের বক্তব্য
আহত সাংবাদিক ফারুক আহমেদ সূর্য্য বলেন, “ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই আমরা তিনজন সাংবাদিক তাৎক্ষণিক সংবাদ সংগ্রহে যাই। কিন্তু হামলাকারীরা আগে থেকেই জড়ো হয়ে ছিল। আমরা ভিডিও করতে গেলেই তারা আমাদের উপর হামলে পড়ে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বিধায় আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। দ্রুত দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার দাবি করছি।”
পুলিশের অবস্থান
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আকবর আহত সাংবাদিকদের দেখতে গিয়ে বলেন, “কিশোর গ্যাং লিডার হাবিবসহ যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। যাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে তারাও একটি অভিযোগ দিয়েছে। দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
গ্রামীণফোনের বিনামূল্যে ইন্টারনেট অফার, গ্রাহকদের জন্য সুখবর
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।