সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় সুদের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ এনে এক পরিবারের ৩ সদস্যকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ৩ সুদি কারবারির বিরুদ্ধে। পরে আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও পুনরায় হামলার আতংকে দিন পার করছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় আলতাফ হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন, ওই এলাকার আলতাফ হোসেন, তার ছেলে মামুন মিয়া ও মামুনের চাচি।
এ ঘটনায় মামুন মিয়া সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সবার অজান্তে নয়াডিঙ্গি এলাকার মামুন মিয়ার স্ত্রী সিমি আক্তারকে ফুসলিয়ে ও লোভের বশিভূত করে ওই এলাকার সুদি কারবারি লাভলু মিয়া(২৭), আব্দুল মোতালেব (৫৮) ও মজনু মিয়া (৩৫) শতকরা ৬০ টাকা হারে সুদে ৪৭ হাজার টাকা ধার দেন। পরবর্তীতে ভয়ভীতি দেখিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮০ হাজার টাকা আদায় করার পরও আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন সুদ ব্যবসায়ীরা। এমতাবস্থায় রবিবার দুপুর আনুমানিক ৩টার দিকে লাভলু মিয়া ও আব্দুল মোতালেব দেশীয় অস্ত্রসহ ৩-৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নিয়ে মামুন মিয়ার বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় ঘরে থাকা ৩২ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্রের ক্ষতি করে ও সিমি আক্তারের নামে থাকা রুপালী ব্যাংক ধানকোড়া শাখার একটি স্বাক্ষরিত চেক বহিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতিয়ে নেয়। ঘটনার সময় সিমি আক্তারের শশুর আলতাফ হোসেন বাধা দিলে তাকে কাঠের বাটাম দিয়ে বাড়ি দিয়ে আহত করে। সেসময় মামুন মিয়া ও ভাবী এগিয়ে গেলে তাদেরও বাঁশের লাঠি, বাটাম, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। এতে তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
এ বিষয়ে মামুন মিয়া জানান, লাভলু মিয়া আমার স্ত্রীকে সুদের বিনিময়ে ৪৭ হাজার টাকা ধার দিয়েছিল। এরপর ৮০ হাজার টাকা সুদ দেয়ার পরও আরো টাকা জন্য চাপ দিচ্ছিল। সুদের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় তারার আমাদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতো এবং হুমকি ধামকি দিত। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে বেধরক মারধর করেছে। বর্তমানে আমি আমার পরিবান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লাভলু মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার বিশ্বাস বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।