নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার নবাবগঞ্জে টিনের বেড়া দিয়ে তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমজাদ হোসেনের বসত বাড়ি দখলের চেষ্টা ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তার চাচা মো. আকবর আলীর বিরুদ্ধে । নিরুপায় হয়ে ওই কলেজ শিক্ষক কর্তৃক তার চাচার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে। যার নং ৫৭/২০২৩।
এর আগে বৃহস্পতিবার তার চাচা আকবর আলী ও ভাতিজা ইমরান হোসেন দিপ্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর শুক্রবার উপজেলার শিকারীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটনায় অভিযুক্ত আলী আকবরের লোকজন। শুক্রবার বিকেলে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে জামিন নেয় তারা।
জানা যায়, উপজেলার শিকারীপাড়া গ্রামের কলেজ শিক্ষক আমজাদ হোসেনের সাথে তার চাচা মো. আকবর আলীর জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে বেশ কিছুদিন ধরে তার চাচা মো. আকবর আলী বসত বাড়ি দখলের চেষ্টা করে আসছিল।
শুক্রবার জুমআর নামাজের সময় কলেজ শিক্ষক আমজাদ হোসেনের বসত ঘরে থাকা খাট, চেয়ার,টেবিল, ফ্যান সহ ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ফেলে দেয় মো. আকবর আলীর লোকজন। ভাঙচুরের পর এসব আসবাবপত্র রাস্তার পাশে রেখে দেয় এবং আসবাবপত্রগুলো সরিয়ে ফেলেন তার চাচা মো. আকবার আলীর লোকজন।
কলেজ শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, শিকারীপাড়া মৌজার আর.এস ১০১৩ ও ৯১৩ নম্বর দাগের জমি তার পৈতৃক সম্পত্তি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বসত বাড়িটি দখলের চেষ্টা করছে তার চাচা আলী আকবর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনের বেড়া দিয়ে বসত বাড়িটির মূল গেইট আটকে দেওয়া হয়েছে।
কলেজ শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, বাড়িটি দখল করার চেষ্টা করছে এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে মো. আকবর আলীর লোকজন।
তিনি আরও জানান, বসত বাড়ি নিয়ে দ্বন্দ্ব করে কিছুদিন আগে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে ফাহিম ইয়াসিরকে মারধর করে তার ভাতিজা ইমরান হোসেন দিপ্ত।
এ ব্যাপারে মো. আকবর আলী বসত বাড়ি দখলের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আপনার সাথে কোনো কথা ই নেই। আপনার সাথে কথা বলে কোনো লাভ নেই বলে ফোন কেটে দেয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।