স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৮তম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৬৮ রান। এই টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৫.২ ওভারে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ফলে ৬২ রানের জয় পায় প্যাট কামিন্সের দল।
শুক্রবার ব্যাঙ্গালুরু এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। অজি বধের মিশনে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। শাদাব খানের পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন উসামা মীর। তবে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে অজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। এদিন শুরু থেকে দেখে-শুনে খেলতে থাকেন তারা। এই দুইজনের দুইশত রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে চলে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৩০.৪ ওভারে মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডেভিড ওয়ার্নার। এতে তিনি খরচ করেন ৮৫ বল।
ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরির পরেই বলে শতক পূর্ণ করেন মিচেল মার্শ। দলীয় ৩০.৫ ওভারে মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে চার মেরে এই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এতে তিনি খরচ করেন ১০১ বল। অজি এই দুই ব্যাটারে সেঞ্চুরি পর আক্রমনাত্মক খেলতে থাকেন। তাতে দুইজনে মিলেন গড়েন ২২০ রানের পার্টনারশিপ।
উইকেট না পড়ায় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বলিংয়ে নিয়ে আসেন পাক অধিনায়ক। এনেই দলীয় ৩৬তম ওভারে মিচেল মার্শকে আউট করেন তিনি। ওই ওভারের (৩৫.৫) শাহিন শাহ আফ্রিদির পঞ্চম বলে উসামা মীরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটেছেন মিচেল মার্শ। তাতে ভেঙে যায় ২০৩ বলে ২৫৯ রানের পার্টনারশিপ। এরপর মাঠে নামেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
নেমেই প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে চেয়েছিলেনম্যাক্সওয়েল। তাতে ঘটে ভুল। দলীয় ৩৫.৬ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটেছেন অজি এই ব্যাটার। এরপর মাঠে নামা স্টিভেন স্মিথও দুই অংকের সংখ্যা পার করতে পারেননি। দলীয় ৩৮.১ উসামা মীর বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটেছেন স্মিথ। যাওয়ার আগে তিনি খেলেন ৯ বলে ৭ রান।
দলীয় ৪০.৬ ওভারে উসামা মীরের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ব্যাক্তিগত দেড়শত পূর্ণ করে ওয়ার্নার। এতে তিনি খরচ করেন ১১৭ বল। দেড়শত রানের পর বেশিক্ষণ পিচে থিতু হতে পারেননি ওয়ার্নার। দলীয় ৪২.২ ওভারে হারিস রউফ বলে সাদাব খানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যালিভিয়নের পথে ফিরেন ডেভিড ওয়ার্নার। যাওয়ার আগে তিনি করেন ১২৪ বলে ১৬৩ রান।
এরপর মাঠে নামা জশ ইংলিস খেলেন ৯ বলে ১৩ রানের ইনিংস। শেষ দিকে প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্কও দুই অংকের সংখ্যা পার করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৬৮ রান।
এ দিন পাকিস্তানের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এতে তিনি খরচ করেন ৫৪ রান। তিনটি উইকেট নেন হারিস রউফ এবং একটি উইকেট নিয়েছেন উসামা মীর।
অজিদের দেয়া ৩৬৮ টর্গেটে ব্যাট করতে পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেন আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হক। শুরু থেকে অজি বোলারদের দেখে-শুনে খেলে দলীয় ৮.৩ ওভারে প্যাট কামিন্স বলে আবদুল্লাহ শফিক সিঙ্গেল নিয়ে নিলে দলীয় অর্ধশত রান পার করে পাকিস্তান।
এরপর দেখেশুনে খেলতে থাকেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার শফিক ও ইমাম। এই দুইজনের শতরানের জুটিতে এগিয়ে চলছে পাকিস্তান। দলীয় ১৭.১ ওভারের গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বলে সিঙ্গেল রান নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করেন শফিক। এতে তিনি খরচ করেন ৫২ বল।
উইকেট না পড়ায় বোলিংয়ে স্টয়নিসকে আনেন অজি অধিনায়ক। দলীয় ২১.১ ওভারে মার্কাস স্টয়নিসের বলে দেখে-শুনে খেলতে গিয়ে
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে পথে ফিরে ফিরেছেন শফিক। যাওয়ার আগে তিনি করেন ৬১ বলে ৬৪ রান। তাতে ভেঙে যায় ১২৭ বলে ১৩৪ রানের জুটি। এরপর মাঠে নামেন অধিনায়ক বাবর আজম।
শফিক আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরে আবারো স্টয়নিসের শিকার হয়েছেন পিচে থাকা ইমাম-উল-হক। দলীয় ২৩.৪ ওভারে মার্কাস স্টয়নিসের বলে মিচেল স্টার্ক হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে পথে ফিরেছেন ইমাম-উল-হক। যাওয়ার আগে তিনি খেলেন ৭১ বলে ৭০ রানের ইনিংস। এরপর মাঠে নামেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দলীয় ২৬.২ ওভারে ভুল করে বসেন অধিনায়ক বাবর আজম। ওই ওভারেরএডাম জাম্পার বলে প্যাট কামিন্স হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে পথে ফিরেছেন বাবর আজম। যাওয়ার আগে তিনি খেলেন ১৪ বলে ১৮ রান। বাবর আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আউট হয়েছেন সৌদ শাকিল। দলীয় ৩৪.২ ওভারে প্যাট কামিন্সের বলে মার্কাস স্টয়নিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরের পথে হেঁটে গেছেন সৌদ শাকিল। যাওয়ার আগে তিনি খেলেন ৩১ বলে ৩০ রান। এরপর মাঠে নেমে আক্রমনাত্মক খেলতে থাকেন ইফতেখার।
দলীয় ৩৮.৫ ওভারে এডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরের পথে হেঁটে গেছেন ইফতেখার আহমেদ। যাওয়ার আগে তিনি খেলেন ২০ বলে ২৬ রান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।