আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবৈধ অভিবাসীদের দুর্গম দ্বীপে পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এসব অভিবাসীদের অধিকাংশই বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বলে জানা গেছে। সমুদ্রে ভাসমান ছোট নৌকা থেকে আটক করে এসব অবৈধ অভিবাসীদের দুর্গম দ্বীপগুলোতে ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটি। ইন্দোনেশিয়ান পুলিশ বুধবার এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রোটে দ্বীপের পুলিশ প্রধান বলেছেন, এসব অভিবাসীরা গত মাসে দুটি নৌকায় করে এ দ্বীপে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার একটি জাহাজ তাদের কাঠের নৌকাটি আটক করে একটি জাহাজে উঠতে বাধ্য করেছে বলে জানিয়েছে তারা।
পুলিশ প্রধান মারডিওনো বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে একটি নৌকা কূলে ভিড়ার খবর পেয়েছি। খুঁজতে গিয়ে সেখানে নাম, পতাকাবিহীন একটি অ্যালুমিনিয়ামের নৌকা পেয়েছি।
নৌকাটিতে ২২জন লোক ছিল। ওই দিনের পর দ্বীপের অন্য পাশে এরকম আরো একটি নৌকা কূলে ভিড়ে। সে নৌকাতেও ২২জন লোক ছিল।’
মারডিওনো জানান, এসব অভিবাসীদের বেশির ভাগ পুরুষ নিজেদের বাংলাদেশি বলে পরিচয় দিয়েছে।
এছাড়া তাদের মধ্যে মিয়ানমারের আট রোহিঙ্গাও রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সদর দপ্তরে তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। জাহাজে আটকের আগে তারা তিন দিন সমুদ্রে কাটিয়েছে। আটকের পর অস্ট্রেলিয়ায় তাদের ১৮ দিন আটক রাখা হয়েছিল। পরে তাদেরকে নৌকায় উঠিয়ে রোটে দ্বীপে যেতে বলা হয়।
তবে তাদের দাবি সঠিকভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানান এ পুলিশ সদস্য।
অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্সের (এবিএফ) এক মুখপাত্র বিবৃতিতে অপারেশনাল বিষয়ে মন্তব্য করবে না বলে এএফপিকে জানিয়েছেন।
এর আগে জুন মাসে ইন্দোনেশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছিল, দক্ষিণ জাভার একটি সমুদ্র সৈকতে আটকে পড়া ২৮ জন বিদেশীকে উদ্ধার করেছিল তারা। এদেরকেও অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ আটকের পর সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিল।
এক দশকেরও পূর্বে চালু করা কঠোর নীতির অধীনে অস্ট্রেলিয়া হাজার হাজার অভিবাসীকে নৌকায় করে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশে পাঠাতে গিয়ে পাপুয়া নিউ গিনির মানুস দ্বীপ এবং ক্ষুদ্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ নাউরুতে পাঠানো হয়েছে তাদের। অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী সরকারগুলো ঘোষণা করেছে, নৌকায় করে আসা কোনো অভিবাসীকে কখনোই দেশে স্থায়ীভাবে থাকতে অনুমতি দিবে না দেশটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।