আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কর্মীদের জরিমানা ছাড়াই কাজের সময়ের বাইরে বসের অযৌক্তিক ফোনকল এবং মেসেজ উপেক্ষা করার অধিকার দিয়ে আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। নিয়ম লঙ্ঘনে নিয়োগকর্তাদের জন্য সম্ভাব্য জরিমানার বিধানও করা হবে এ আইনে।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এ ঘোষণা দেন।
একটি সংসদীয় বিলের অধীনে ফেডারেল সরকার প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক আইনে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ‘সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অধিকার’ নিয়ে ভাবছে দেশটি। এ আইনটি কর্মীদের অধিকার রক্ষা করবে এবং কাজ ও জীবনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মীদের ডিভাইস বন্ধ রাখার অধিকার দেওয়া নিয়ে একই ধরনের আইন ফ্রান্স, স্পেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশেও রয়েছে।
ক্ষমতাসীন মধ্য বামপন্থি লেবার পার্টির কর্মসংস্থানমন্ত্রী টনি বার্ক বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, অধিকাংশ সিনেটরই এ আইনে সমর্থন জানিয়েছেন। এ বিধানটি কর্মঘণ্টার পর কর্মীদের অযৌক্তিক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার অধিকারের মাধ্যমে অবৈতনিক ওভারটাইম কাজ থেকে বিরত রাখে।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বলতে চাচ্ছি যে, কেউ যদি দিনে ২৪ ঘণ্টা কাজের বেতন না পান, তবে তাকে ২৪ ঘণ্টা অনলাইনে না থাকার জন্য বা সুলভ না থাকার জন্য শাস্তি দেওয়া যাবে না।
চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই এ বিলটি পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিলটিতে অস্থায়ী থেকে স্থায়ী কাজের জন্য একটি সুস্পষ্ট বিধান ও অস্থায়ী শ্রমিক এবং ট্রাকচালকদের জন্য ন্যূনতম মানের মতো অন্যান্য বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে কিছু রাজনীতিবিদ, নিয়োগকর্তা এবং করপোরেট নেতা সতর্ক করে বলেছেন, কর্মীদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার অধিকারটি বাড়াবাড়ি। এটি নমনীয় কর্মপরিবেশের দিকে অগ্রসর হওয়া এবং প্রতিযোগিতাকে প্রভাবিত করবে।
এ নিয়মকে সমর্থন জানিয়ে আসছে বামপন্থি গ্রিন পার্টি এবং গত বছর তারাই প্রথম এটি প্রস্তাব করেছিল। দলটি বলে, এটি দলের জন্য বড় একটি জয়। গ্রিন পার্টির নেতা অ্যাডাম ব্যান্ডট টুইটারে বলেন, এই বিলের সমর্থনে লেবার, ছোট দলগুলো ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে।
ব্যান্ডট বলেন, অস্ট্রেলীয়রা প্রতি বছর গড়ে ছয় সপ্তাহ অবৈতনিক ওভারটাইম করে। এটি সমগ্র অর্থনীতিতে ৯ হাজার ২০০ কোটির ডলারেরও বেশি অবৈতনিক ওভারটাইমের সমান।
তিনি বলেন, ওভারটাইমের এ সময়টি আপনার, আপনার বসের নয়!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।