সকাল ৮টা। রাজধানীর আজিমপুরের ছোট্ট ফ্ল্যাটে নবম শ্রেণির ছাত্রী সায়মার চোখে ঘুমের ঘোর। করোনাকালীন যে অনলাইন ক্লাসের শুরু, তা আজও তার রুটিনের অংশ। মোবাইলে অ্যালার্ম বেজে উঠতেই সে ল্যাপটপ খোলে। আজকে ফিজিক্সের ক্লাসে নিউটনের গতিসূত্র নিয়ে আলোচনা হবে। জানালার পাশে তার ছোট্ট স্টাডি কর্নারে টেবিল ল্যাম্পের আলোয় গুছিয়ে রাখা নোটবুক, কলম আর হাইলাইটার। এই ছবি শুধু সায়মার নয়—বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত লক্ষ শিক্ষার্থীর প্রতিদিনের বাস্তবতা। ঘরে বসে পড়াশোনা শেখার উপায় আজ আর বিকল্প নয়, সময়ের জরুরি দাবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে মর্মান্তিক তথ্য: ৬৮% শিক্ষার্থী ঘরোয়া পরিবেশে পাঠ্যক্রম চালিয়ে নিতে গিয়ে হতাশা বা মনোযোগহীনতায় ভোগে। কিন্তু সমস্যা…
Author: Md Elias
ক্লাসরুমের জানালা দিয়ে উঁকি দিচ্ছিল সন্ধ্যার ম্লান আলো। রুমার জামা-কাপড় গুছিয়ে ফেলার শেষ প্রস্তুতি। পরীক্ষার খাতায় নাম লেখা হয়ে গেছে, কিন্তু মনে ভর করছে এক অদৃশ্য ভার। মনে মনে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে সেই কথাগুলো – “বোঝে না কেউ”, “পারছি না আর”, “শেষ করেই দিই”। হঠাৎ বাথরুমের দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দ। তারপর… নিস্তব্ধতা। কুমিল্লার সেই ১৭ বছরের কিশোরীর গল্পটা শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়; এটি আমাদের সমাজের বুকে এক গভীর ক্ষত, এক আতঙ্কিত প্রশ্নের জন্ম দেয় – ইসলামে আত্মহত্যার শাস্তি কি এতটাই ভয়াবহ যে, জীবনের এই অসহনীয় যন্ত্রণার চেয়েও তা কঠিন? এই প্রশ্নের জবাব শুধু ফিকহি বিধানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা প্রোথিত…
মক্কার পবিত্র মাটিতে পা রাখার মুহূর্তটির কথা ভাবুন। লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল, যাদের হৃদয়ে একটিই আকুতি—আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ। কিন্তু এই পবিত্র সফরে দুটি পথ রয়েছে: হজ ও উমরাহ। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, এই দুই ইবাদতের মৌলিক পার্থক্য কী? কেন একজন মুসলিমের জীবনে হজ ফরজ, অথচ উমরাহ সুন্নত? এই বিভ্রান্তিই কখনো কখনো আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিকে ব্যাহত করে। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর ২০ লাখেরও বেশি মানুষ হজ পালন করেন, আর উমরাহযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠই হজ ও উমরাহর পার্থক্য নিয়ে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে যান না। ফলাফল? আত্মিক পরিশুদ্ধির বদলে জটিলতা আর দ্বিধা। এই লেখায় আমরা কুরআন-হাদিসের আলোকে,…
প্রথম আলো, ২০ অক্টোবর ২০২৪: ঢাকার মিরপুরে বসবাসকারী ৪৫ বছর বয়সী রিয়াজুল ইসলাম। উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করছিলেন বছর দশেক। নিয়মিত ওষুধ খাওয়া, ডাক্তার দেখানো—সবই চলছিল। কিন্তু একদিন হঠাৎ প্রচণ্ড দুর্বলতা আর পা ফুলে যাওয়া নিয়ে যখন ল্যাব টেস্ট করালেন, রিপোর্টে চোখ আটকে গেল—”ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, স্টেজ ৪”। এক মুহূর্তে যেন পৃথিবী থমকে দাঁড়াল। রিয়াজুলের মতো হাজারো বাংলাদেশির অজান্তেই কিডনি তার শেষ শ্বাস নিতে বসেছে। কারণটা? প্রতিদিনের ছোট ছোট অবহেলা, যেগুলো জমা হয়ে হয়ে একদিন বিষবৃক্ষে পরিণত হয়। কিডনি ভালো রাখার উপায় জানা ও মানা শুধু সুস্থতার জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য। আমাদের শরীরের এই নীরব ফিল্টার…
রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে শুধু টেবিল ল্যাম্পের হলুদ আভা আর পৃষ্ঠা উল্টানোর শব্দ। জানালার বাইরে ঢাকার যান্ত্রিক শব্দ স্তব্ধ, ভেতরে রাইয়ান। উচ্চমাধ্যমিকের ফাইনাল পরীক্ষা মাত্র দু মাস দূরে, কিন্তু মন যেন শতধা বিভক্ত – ফেসবুক নোটিফিকেশনের টিং, মোবাইলে ভাইরাল রিলের টান, আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার গুরুভার। হাতের নোটবইয়ে লেখা সমীকরণ ঝাপসা হয়ে আসে, চোখ আটকে যায় দেয়ালের শূন্যতায়। এই দৃশ্য শুধু রাইয়ানের নয়; রাজশাহীর মেধাবী ছাত্রী তানহা থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের প্রাক্তন স্টার শিক্ষার্থী আরিফুল – সবার জীবনেরই কোনও না কোনও অধ্যায়ে এই যুদ্ধ পরিচিত। পড়ালেখায় মন বসানোর কৌশল শুধু একটি দক্ষতা নয়, এটি সেই জাদুকাঠি যা ব্যর্থতার গ্লানি মুছে দিয়ে সাফল্যের…
সকাল সাতটা। আলো ফোটার আগেই ঘুম ভাঙল স্মার্টফোনের সূক্ষ্ণ ভাইব্রেশনে। শুধু অ্যালার্ম নয়, ডিভাইসটিই জানে আজকের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং, ট্রাফিকের রিয়েল-টাইম আপডেট, এমনকি আপনার মেজাজের ওঠানামা – হৃদস্পন্দন আর ঘুমের প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে। কফি মেশিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে গেছে আপনার রুটিন ম্যাচ করে। এটি কল্পবিজ্ঞান নয়, প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ-এর হাতছানি, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি সূক্ষ্ণ তন্তুকে নতুন করে বুনে দিতে প্রস্তুত। এই পরিবর্তন শুধু গ্যাজেটের আপগ্রেড নয়; এটি মানবিক অভিজ্ঞতার পুনর্নির্মাণ, সমাজ কাঠামোর রূপান্তর, এবং ব্যক্তিগত পরিচয়েরই নতুন সংজ্ঞা নির্মাণ। প্রশ্ন হল, এই মহাপরিবর্তনের মুখোমুখি আমরা কতটা প্রস্তুত? প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ: আমাদের দৈনন্দিন জীবনের আমূল রূপান্তর প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ শব্দবন্ধটি শুনলেই চোখের সামনে…
মাহিনের চোখে আজও সেই একই প্রশ্ন—কেন গণিত ক্লাসে তার মনোযোগ ভেঙে যায় বারবার? দ্বিতীয় পিরিয়ডের পরেই পেটে জ্বালাপোড়া শুরু হয়, মাথা ঘোরে। টিফিনের সময় বন্ধুরা যে নুডলসের প্যাকেট নিয়ে আসে, সেগুলো খেয়ে সাময়িক তৃপ্তি মিললেও শেষবেলায় ক্লান্তি গ্রাস করে তাকে। মাহিনের মতো লক্ষ শিশুর প্রতিদিনের সংগ্রামের কেন্দ্রে রয়েছে একটি উপেক্ষিত ইস্যু: স্কুলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার। বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ৩৮% শিশু খর্বকায়, ২২% শিশুর ওজন কম (বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ২০২২)। এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়—একটি প্রজন্মের স্বপ্নের ওপর পড়ে থাকা অন্ধকারের ছায়া। স্কুলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার: শারীরিক-মানসিক বিকাশের ভিত্তিপ্রস্তর যখন একটি শিশু সকালে ঘুম থেকে ওঠে, তার…
ঢাকার গলিঘুঁজো এক ব্যস্ত সকাল। হঠাৎ করেই তীব্র কণ্ঠের চিৎকারে মুখরিত হয়ে উঠলো আশেপাশের পরিবেশ। “তোকে দেখেই বুঝি, একদম বেখেয়ালি গাড়ি চালাও!” – রিকশাচালকের গলার স্বর যেন আগুন ছড়াচ্ছে। অটোরিকশার ড্রাইভারও পিছপা হচ্ছেন না, “তোর রাস্তার ধারই বুঝি না!” সামান্য পার্সেলের ধাক্কায় দুই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মাঝে তৈরি হওয়া উত্তেজনা মুহূর্তেই কাছের ফুটপাতের দোকানদার, পথচারী, স্কুলের ছাত্রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চোখেমুখে লাল আভা, উঁচু গলার স্বর, হাতের মুঠো শক্ত হয়ে আসা – এই দৃশ্য আমাদের অতি পরিচিত, তাই না? রাগ – এই সহজাত, তীব্র, কিন্তু বিপজ্জনক আবেগের কবলে পড়ে আমরা কতবারই না হারিয়ে ফেলি নিজের শান্তি, সম্পর্কের মাধুর্য, সমাজের ভারসাম্য। কিন্তু…
সেদিন ফেসবুক ফিডে হঠাৎই চোখ আটকে গেল সুমাইয়ার ছবিতে। নিজের অজান্তেই, তার সাথে প্রাইভেটে হওয়া একটি স্পর্শকাতর কথোপকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করা আছে – তার বন্ধু তানজিমের প্রোফাইল থেকে। সুমাইয়ার মুখে নীরব আর্তনাদ, চোখে অশ্রু আর প্রশ্ন: “কেন? এটা তো আমার খুব গোপন কথা ছিল!” তানজিম হয়তো ভেবেছে মজা করছে, কিন্তু সেই এক মুহূর্তের অসতর্কতায় ভেঙে পড়েছে বিশ্বাসের ভিত, ক্ষতবিক্ষত হয়েছে এক মানুষের ব্যক্তিগত জগৎ। এই ডিজিটাল যুগে, যেখানে আমাদের প্রতিটি ক্লিক, প্রতিটি শেয়ার, প্রতিটি মেসেজ ডাটার গহ্বরে সংরক্ষিত, সেখানে গোপনীয়তা রক্ষা করার ইসলামিক দিক শুধু একটি ধর্মীয় নির্দেশনা নয়, বরং ব্যক্তিসত্তা, সামাজিক শান্তি এবং ঈমানি দায়িত্বের মৌলিক ভিত্তি। ইসলাম গোপনীয়তাকে…
মনে করুন সেই ছবিটা? সপ্তাহের পর সপ্তাহ কেটে গেছে, ল্যাপটপের স্ক্রিনে জমে থাকা অনলাইন কোর্সের লিংকগুলো ধুলো খাচ্ছে। ইংরেজি শেখার অ্যাপটাও মোবাইলের শেষ পাতায় চলে গেছে। চাকরির ইন্টারভিউ বোর্ডে বসা কর্তৃপক্ষ যখন সহজ একটা ইংরেজি প্রশ্ন করলেন, তখন গলা শুকিয়ে গেল, জিভ আটকে গেল। অথবা বিদেশি কোন ক্লায়েন্টের সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সময় শুধু হাসি মুখে হ্যাঁ-না করতে করতে অস্বস্তিতে ঘেমে উঠলেন। এই লজ্জা, এই হতাশা, এই আক্ষেপ – কতজন বাঙালির না প্রতিদিনের সঙ্গী! ইংরেজি শেখার নাম শুনলেই যেন মনে হয় বিশাল এক পাহাড়, যার শিখরে উঠতে গেলে লাগবে বছরখানেক সময়, অসংখ্য কোচিং, আর দুর্বোধ্য ব্যাকরণের গলদঘর্ম পরিশ্রম। কিন্তু…
(এই নিবন্ধে উল্লিখিত কিছু ঘটনা ও পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক হতে পারে। ডিজিটাল সম্পর্কের জটিলতা বোঝার ক্ষেত্রে এটি একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রচেষ্টা মাত্র। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সর্বদা সতর্কতা ও প্রাসঙ্গিক পেশাদার পরামর্শ বিবেচনা করুন।) কীবোর্ডের টকটকে আলোয় উজ্জ্বল স্ক্রিন। ঘড়ির কাঁটা রাত দুটো পার করেছে। শ্যামীমার আঙুল দ্রুত ছুটছে মেসেজিং অ্যাপে। চোখে এক অদ্ভুত দীপ্তি, ঠোঁটে আধো হাসি। স্ক্রিনের ওপারে কলকাতার অমিত। তাদের কথোপকথন শুরু হয়েছিল একটি অনলাইন বুক ক্লাবে। মাসখানেকের মধ্যেই তা গভীর আবেগে রূপ নিয়েছে। অমিতের পাঠানো কবিতা, গান, রাতজাগা গল্প – সবই শ্যামীমাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যায়। কিন্তু… এই যে মানুষটি তাকে প্রতিদিন ‘ভালোবাসি’ বলে, যার ছবি দেখে…
রুমা আক্তারের চোখে-মুখে এক অদ্ভুত বিষণ্নতার ছায়া। ঢাকার উত্তপ্ত বাতাসেও তার মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা স্কার্ফটা শিথিল করতে পারতেন না। কিশোরী বয়স থেকেই ত্বকের অসামঞ্জস্য রঙ, কালো দাগ আর নিষ্প্রভ ভাব তাকে আত্মবিশ্বাসহীন করে রেখেছে। কাউন্টারে পাওয়া ক্রিম, ডাক্তারের পরামর্শ, দামী কসমেটিক্স – কিছুই কাজ করেনি স্থায়ীভাবে। হতাশার একেবারে তলানিতে পৌঁছে, এক বৃদ্ধ ফুফুর কাছ থেকে শুনেছিলেন একটি ত্বক উজ্জ্বল করার দোয়া। প্রথমে অবিশ্বাস, তারপর একরত্তি আশা। নিয়মিত আমল শুরু করলেন। মাস কয়েক পর, আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে তিনি অবাক। শুধু ত্বকের ঔজ্জ্বল্যই ফিরে আসেনি, ফিরে এসেছে তার হারানো হাসি, হারানো আত্মপ্রত্যয়। রুমার গল্প একা নয়। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে, গ্রাম থেকে শহর…
ঢাকার রমনা পার্কে সকালের কুয়াশা ভেদ করে হাঁটছেন রিনা আক্তার। কয়েক বছর আগেও এই গাছের পাতায় জমা শিশিরবিন্দু, দূরের মিনারটির কারুকাজ – সবই তাঁর চোখে ধরা পড়ত পরিষ্কার। আজ? সব কিছু যেন এক ধরনের অস্পষ্ট আবরণে ঢাকা। মোবাইলের ফন্ট বড় করতে করতে বিরক্ত, চশমার নম্বর বাড়তে বাড়তে ভয়। রিনার মতো লক্ষ-লক্ষ বাংলাদেশির প্রতিদিনের যুদ্ধ এটাই – দৃষ্টিশক্তি ক্ষয়। কিন্তু জানেন কি? এই যুদ্ধে অস্ত্র শুধু চশমা বা লেজার সার্জারি নয়। আপনার রান্নাঘর, বাগান, দৈনন্দিন অভ্যাসেই লুকিয়ে আছে দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা প্রাকৃতিক এই পদ্ধতিগুলো শুধু চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে না, চোখকে ভবিষ্যতের…
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আজকের টাকার রেট কত জানা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণ মানুষ, প্রবাসী, ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের জন্য প্রতিদিনের মুদ্রা বিনিময় হার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে টাকার মান নিয়মিত ওঠানামা করে। এই প্রতিবেদনে ৪ জুলাই ২০২৫ সালের হালনাগাদ টাকার রেটসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আজকের টাকার রেট:৪ জুলাই ২০২৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের রেফারেন্স অনুযায়ী আজকের নির্ধারিত টাকার রেট নিম্নরূপ: ইউএস ডলার: ১২২.৬৭ ৳ ব্রিটিশ পাউন্ড: ১৬৭.৫৫ ৳ ইউরো: ১৪৪.৬৮ ৳ সৌদি রিয়াল: ৩২.৭১ ৳ কুয়েতি দিনার: ৪০১.৬৭ ৳ দুবাই দেরহাম: ৩৩.৪০ ৳ মালয়েশিয়ান রিংগিত: ২৬.৮৩…
আজকের দিনে, যখন আমাদের জীবন ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ, তখন নামাজের সময়সূচি ২০২৫ মেনে চলা আমাদের আত্মিক প্রশান্তি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম উপায়। আজ ২০২৫ সালের ৪ জুলাই,শুক্রবার (। এই দিনে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মুসলমানদের জন্য নামাজের সময়সূচি নির্ধারিত হয়েছে। আজকের নামাজের সময়সূচি ২০২৫: ৪ জুলাই(বিস্তারিত সময়সূচি ২০২৫ সালের ৪ জুলাই,শুক্রবার তারিখে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মুসলমানদের জন্য নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ: ফজর: ৩:৪৪ মিনিট জোহর: ১২:০৪ মিনিট আসর: ৪:৪০ মিনিট মাগরিব: ৬:৫২ মিনিট ইশা: ৮:১৯ মিনিট সূর্যোদয়: ৫:১১ মিনিট সূর্যাস্ত: ৬:৪৯ মিনিট এই সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত এবং দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। নামাজের সময়সূচি মেনে চলা আমাদের ইমানের অংশ…
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আবারও দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট সোনার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম আজ ১,৭২,১২৬ টাকা। আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) থেকে ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রযোজ্য হবে নতুন দরে। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকবে। ২২ ক্যারেট সোনার দাম বেড়েছে ১ হাজার ৮৯০ টাকা মঙ্গলবার(১ জুলাই) রাতে বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দামে এখন ২২ ক্যারেট সোনার দাম এক ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ১,৭২,১২৬ টাকায়। অন্যান্য ক্যারেটের হালনাগাদ স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি: ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম: প্রতি ভরি ১,৬২,৫০৩ টাকা…
ভোরবেলার সেই নিস্তব্ধতা ভেঙে দেয় একটাই আওয়াজ – শিশু কণ্ঠে ভেসে আসে, “রাব্বিগফিরলী…”। রুমানা আপার ছোট মেয়ে মাহি, মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই তার প্রাত্যহিক দোয়ার তালিকা অনর্গল বলে যায়। আশেপাশের সবাই অবাক, এত ছোট মেয়ে এত দোয়া কীভাবে মুখস্থ করল? রুমানা আপা হাসিমুখে বললেন, “সহজ ইসলামিক দোয়া মুখস্থ করার পদ্ধতি জানা থাকলে, দোয়া শেখা শিশু-বৃদ্ধ সবার জন্যই আনন্দের।” এই কথাগুলোই যেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি ছোট্ট ফ্ল্যাট থেকে শুরু হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। আসলে কি সত্যিই দোয়া মুখস্থ করা এত সহজ? কী সেই রহস্য, যা একজন ব্যস্ত কর্মজীবীকে, স্কুলপড়ুয়া শিশুকে, এমনকি স্মৃতিশক্তি কমতে থাকা বৃদ্ধকেও দিতে পারে দৈনন্দিন দোয়াগুলো সহজে…
কষ্টার্জিত টাকায় একটি স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে হতাশ হয়েছেন কখনো? স্ক্রিনে আটকে থাকা নোটিফিকেশন, ধীরগতির পারফরম্যান্স, আর দিনশেষে মৃত ব্যাটারি – এগুলোই কি আপনার নিত্যসঙ্গী? তাহলে আপনার অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে! Xiaomi-র Redmi A3 এসেছে বাংলাদেশের বাজারে ভাঙন দিতে। মাত্র ১২,৯৯৯ টাকায় শুরু হওয়া এই ডিভাইসটি শুধু দামেই নয়, ফিচারেও দিচ্ছে চমক। দেখে নিন কেন এই মুহূর্তে “Redmi A3 বাংলাদেশে দাম” গুগল করে লাখো মানুষ খুঁজছেন তাদের পরবর্তী স্মার্টফোন। Xiaomi বাংলাদেশের অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে Redmi A3-র মূল্য নির্ধারণ করেছে নিম্নরূপ (সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত): ৩/৬৪ জিবি ভ্যারিয়েন্ট: ১২,৯৯৯ টাকা ৪/১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট: ১৪,৯৯৯ টাকা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দাম কিছুটা কমতে দেখা যায়। যেমন:…
“এইবেলা রাত ১০টা। ঢাকার ব্যস্ততা থেমে গেছে, কিন্তু রাইসার ডেস্কল্যাম্পের আলো এখনও জ্বলজ্বল করছে। আঙুলগুলো ক্লান্ত, চোখে ঘুম। তবুও মন আনন্দে ভরপুর। স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করছে সেই সংখ্যাটা – ‘৳১৫,০০০’। শুধু এই মাসেই! কোনো অফিসের চাপ নেই, বসের তিরস্কার নেই। শুধু তার নিজের ফোন, তার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট, আর কিছু সৃজনশীল আইডিয়া। রাইসার মতো হাজারো তরুণ-তরুণী আজ ঘরে বসে, রাস্তায় বসে, ক্যাফেতে বসে তাদের স্মার্টফোনটাকেই আয়ের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলছে। প্রশ্নটা সবার মনেই: কীভাবে? কীভাবেই বা ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করা যায়, সত্যিকার অর্থেই?” এই প্রশ্নটার উত্তর খুঁজছেন না? সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে, বিশেষ করে বাংলাদেশে ইনস্টাগ্রামের দারুণ জনপ্রিয়তার মধ্যেও, অনেকেই ভাবেন এটা…
চারপাশের নীরবতা যেন কানের ভেতর গুঞ্জন তোলে। বিছানায় এপাশ-ওপাশ, ঘড়ির কাঁটার টিকটিক শব্দ যেন বাজছে মাথার ভেতর। জানালার বাইরে ভোরের প্রথম আলো ফুটতেই মন ভারী হয়ে ওঠে – ‘আরেকটি রাত কেটে গেল চোখের পাতা এক হতে না হতেই?’ ঢাকার গলিঘুঁজো অ্যাপার্টমেন্টে ফারিহা আক্তারের এই অভিজ্ঞতা আজকাল অসংখ্য নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। কর্মব্যস্ততা, মানসিক চাপ, দূষণ আর অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন – সব মিলিয়ে গভীর ঘুম আজ বিরল বিলাসিতা। ঘুমের ওষুধের পাশবিক দাম আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে অনেকে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, সমাধান লুকিয়ে আছে আমাদেরই রান্নাঘরে? হ্যাঁ, ঘুম ভালো করার খাবার প্রকৃতিই আমাদের জন্য রেখে গেছে গভীর, প্রশান্তিদায়ক ঘুমের চাবিকাঠি, যার রহস্য…
আলো নিভে যাওয়ার আগে, মা প্রতিদিন রাত ন’টায় ছোট্ট আরিশের বিছানার পাশে বসতেন। একটুখানি হার্পিকোর্ডের সুর বাজিয়ে শুরু করতেন গল্প—কখনো নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার পঙক্তি, কখনো তাজউদ্দীন আহমদের অদম্য সংগ্রামের কাহিনী। সাত বছর বয়সী আরিশ তখনো জানত না, সেই গল্পের শব্দগুলো তার মস্তিষ্কে অদৃশ্য শিকড় গজাবে। কয়েক বছর পর, ঢাকার এক স্কুলে বিজ্ঞান মেলায় তার ‘সৌরশক্তি চালিত সেচ প্রকল্প’ জিতলো জাতীয় পুরস্কার। স্টেজে দাঁড়িয়ে সে বলল, “আমার মায়ের বলা গল্প থেকেই শিখেছি—অসম্ভব বলে কিছু নেই।” সন্তানকে প্রেরণাদায়ক গল্প বলা শুধু রাতের রুটিন নয়, তা তাদের ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। ইউনিসেফের গবেষণা বলছে, যে শিশুরা নিয়মিত অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প শোনে, তাদের আত্মবিশ্বাস ৬০% বেশি বৃদ্ধি…
চোখে চোখ রেখে কথা বলার সেই মুহূর্ত… হাতে হাত লাগার সেই স্পর্শ… নির্জন সন্ধ্যায় ফোনে কাটানো অসংখ্য ঘন্টা – ভালোবাসা নামক এই অনুভূতি কি কখনও সীমারেখা মানে? ঢাকার উত্তাল শহরে বসে সাদিয়া আর রিয়াদের গল্পটা হয়তো আপনার-আমার চেনা। ক্যাম্পাসে দেখা, ধীরে ধীরে গভীর সম্পর্ক, কিন্তু বিবাহের আগেই সেই সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন, সংশয় আর অপরাধবোধ তাদের তাড়া করে ফিরছে। ইসলামে ভালোবাসার সীমারেখা কোথায়? এই প্রশ্ন আজ হাজারও তরুণ-তরুণীর মনকে নাড়া দিচ্ছে, যেখানে আবেগের জোয়ারে ভেসে যাওয়া সহজ, কিন্তু শরিয়তের পাথরে গাঁথা সীমানা চিনে নেওয়া কঠিন। এই বিভ্রান্তির মাঝেই আল্লাহর কালাম, পবিত্র কোরআন, নাজিল করেছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা – ভালোবাসার নামে যেন…
রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে ফেলছিল দম্পতির উচ্চস্বরে ঝগড়ার আওয়াজ। ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি ফ্ল্যাটে সদ্য বিয়ে করা রিফাত আর তানজিমার সম্পর্কে চিড় ধরতে সময় লাগেনি। প্রেমের শুরুটা ছিল স্বপ্নিল, কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের চাপ, আর্থিক টানাপোড়েন, আর পারস্পরিক অপূর্ণ প্রত্যাশা তাদের সংসারকে করে তুলেছিল যুদ্ধক্ষেত্র। একদিকে রিফাতের অভিযোগ – তানজিমা তার মায়ের সাথে সম্মানজনক আচরণ করে না। অন্যদিকে তানজিমার কষ্ট – রিফাত তাকে ‘প্রথম প্রিয়’ হিসেবে গুরুত্ব দেয় না। এই গল্প কি শুধু রিফাত-তানজিমার? নাকি আজকের বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ দম্পতির প্রতিচ্ছবি? অথচ, ইসলাম যেখানে দাম্পত্য জীবনকে দিয়েছে ‘মীছাকান গালীযা’ বা দৃঢ় অঙ্গীকারের মর্যাদা, সেখানে কেন ভেঙে পড়ছে এই বন্ধন? উত্তরণের পথ কোথায়? উত্তর…
সকালবেলা পাখির কাকলি, প্রিয়জনের স্নেহমাখা ডাক, প্রাণের গান কিংবা নাতি-নাতনির হাসির শব্দ – এই শব্দগুলোই তো জীবনকে রাঙিয়ে দেয়। কিন্তু ভাবুন তো, হঠাৎ করেই যদি এই সুন্দর শব্দজগৎ থেকে আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যান? ধীরে ধীরে চারপাশের কথোপকথন অস্পষ্ট হতে থাকে, টেলিভিশনের ভলিউম বাড়াতে বাড়াতে সর্বোচ্চ সীমায় চলে যায়, প্রিয়জনের ডাকে সাড়া দিতে দেরি হয়। এটাই কানে শোনার সমস্যার নির্মম বাস্তবতা, যা কেড়ে নিতে পারে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান অনুভূতিগুলো। বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে জনবহুলতা, শব্দদূষণ এবং স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা প্রকট, সেখানে এই সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে, অথচ সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসার অভাবে অনেকেই নীরবেই ভোগেন। কিন্তু জানেন কি? সময়মতো সচেতনতা আর পদক্ষেপই পারে…