ধরুন আপনি একটা বল ছুড়ে দিলেন ওপর দিকে। পৃথিবী বলটাকে টেনে ফের মাটিতে নামিয়ে আনবে। কিন্তু বলটা যদি এত বেশি বেগে ছুড়ে দেন যে পৃথিবীর মহাকর্ষীয় আকর্ষণের চেয়েও বলটির বেগ বেশি হয়? তাহলে বলটা আর ফিরে আসবে না। এর নামই মুক্তিবেগ। এটা আমরা সবাই জানি। জানি, পৃথিবীর জন্য এই মুক্তিবেগের মান সেকেন্ডে ১১.২ কিলোমিটার। অর্থাৎ এই বেগ বা আরও বেশি বেগে বলটাকে ছুড়ে দিলে সেটা পেরিয়ে যাবে পৃথিবীর মহাকর্ষ। তারপর? সেটা ছুটতে থাকবে। নভোযানে জ্বালানির পরিমাণ নির্দিষ্ট। কিন্তু সেটা কোনো সমস্যা নয়। কারণ, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পেরিয়ে গেলে আর কোনো বাধা নেই। কোনো কিছু নভোযানের বেগ কমিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করবে না।…
Author: Yousuf Parvez
ব্যাটার দাঁড়িয়ে আছেন। চারপাশে ফিল্ডাররা প্রস্তুত। আম্পায়ার তীক্ষ্ম চোখে খেয়াল করছেন সবকিছু। ফাস্ট বোলার ছুটে আসছেন। বল বেরিয়ে গেল হাত থেকে, গড়পড়তা ঘণ্টায় ১৩২ কিমি বেগে ড্রপ খেল পিচের মাঝখান থেকে খানিকটা সামনে। শর্ট বল। বলে বাউন্স ছিল, লাফিয়ে উঠে পড়ল অনেকটা ওপরে। ব্যাটার অনেক কষ্ট করে মারার চেষ্টা করলেন না। আলতো করে ব্যাট ছুঁইয়ে দিয়ে হালকা বদলে দিলেন বলের গতি। আপারকাট। উইকেটকিপারের কাঁধের ওপর দিয়ে বল ছুটে গেল, ড্রপ খেল বাউন্ডারির একটু সামনে, তারপর পেরিয়ে গেল বাউন্ডারি। আম্পায়ার ডানে-বাঁয়ে হাত নাড়িয়ে সংকেত দিলেন—চার। এত বড় করে এই ঘটনা বর্ণনা করার কারণটা হয়তো বুঝতে পারছেন শিরোনাম থেকেই। হ্যাঁ, ঠিক এভাবেই…
সমুদ্রের পানি নীল দেখায়, তাহলে নদীর পানি নয় কেন? আসলে পানির রং বলতে গেলে পরিষ্কার, স্বচ্ছ, সাদা। কিন্তু সূর্যের আলোর বড় তরঙ্গদৈর্ঘ্যের লাল, কমলা, সবুজ প্রভৃতি রশ্মি সমুদ্রের পানিতে বেশি শোষিত হয় আর কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের নীল রশ্মি সবচেয়ে কম শোষিত হয়ে বেশ কিছুটা নীল রং ফেরত আসে। সমুদ্রের পানিতে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয়ে আমাদের চোখে নীল রংটি পৌঁছায় বলে সমুদ্রের পানি নীল দেখায়। আকাশও নীল দেখায় ঠিক একই কারণে। বাতাসে নীল রংটি বেশি বিচ্ছুরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সেই রংটিই আমাদের চোখে পৌঁছে আকাশের রং নীল হয়ে ধরা দেয়। এখন প্রশ্ন ওঠে, তাহলে নদীর পানি কেন নীল দেখায় না, বরং অনেকটা…
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে অনেক রহস্যজনক ব্যাপার ঘটে বলে একটা কথা প্রচলিত আছে—অনেক জাহাজ হঠাৎ সমুদ্রের মাঝপথে স্রোতে ঘূর্ণিতে পড়ে ডুবে যায় বা ওই এলাকার আকাশপথে উড়ে যাওয়ার সময় রহস্যজনক ঘূর্ণিপাকে পড়ে কোনো উড়োজাহাজ কোথায় যেন হারিয়ে যায় ইত্যাদি। ভূতের গল্পর মতোই। শুনে গা শিউরে ওঠে। একধরনের মজা পাই। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল হলো আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ–পূর্ব উপকূলের অদূরে আটলান্টিক মহাসাগরে ত্রিভুজাকৃতি রূপে চিহ্নিত একটি অঞ্চল। এক প্রান্তে ফ্লোরিডার মিয়ামি, আরেক প্রান্তে পুয়েরটোরিকোর স্যান জুয়ান ও তৃতীয় প্রান্তে উত্তর অ্যাটলান্টিকের বারমুডা দ্বীপ। এই তিন প্রান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ এলাকাটিতেই নাকি ওই রহস্যজনক ঘটনা বারবার ঘটছে। তবে বিশেষজ্ঞরা অনেক খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে এর মধ্যে…
আজকাল প্রায় সবারই লম্বা সময় ধরে কাজ করেন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে। আর দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ঘুম ছাড়া বাকি সময়টুকু আজকাল সামাজিক মাধ্যমেই কাটছে সবার। এছাড়া ক্লাসে, অফিসে বা বাড়িতে এসির বাতাস সরাসরি মুখে লাগছে। অথবা সাইকেল, মোটরসাইকেল চালিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া হচ্ছে দ্রুতগতিতে। এ রকম প্রতিটি ক্ষেত্রেই খেয়াল করলে দেখা যাবে, কিছুক্ষণ সামান্য অস্বস্তি শুরু হবে চোখে, হালকা জ্বালাপোড়া বা চোখে করকর করবে। এই সমস্যাগুলোকে এককথায় বলা যায় ড্রাই আইজ বা চোখের শুষ্কতা। এর প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আমাদের চোখের যে স্বাভাবিক আর্দ্রতার মাত্রা আছে তার হেরফের হওয়া। এই পরিবর্তনে চোখ জ্বালাপোড়া থেকে শুরু করে…
ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এতদিন পর্যন্ত এই প্রযুক্তি শুধু আইফোনেই পাওয়া যেত, তবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরাও এখন এই সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। এই পদক্ষেপের কারণে একদিকে যেমন চার্জিংয়ের চিত্র বদলে গেছে অন্যদিকে চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ডও স্থাপিত হয়েছে। এমন সময়ে এই প্রযুক্তির ঘোষণা এলো, যখন স্মার্টফোন শিল্প ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। প্রযুক্তির উন্নতি এবং গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে ইনফিনিক্স দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ম্যাগনেটিক ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি চালু সেই প্রতিজ্ঞারই প্রতিফলন। এর আগে কিউআই প্রটোকল ২.০-এর মাধ্যমে শুধু অ্যাপল ডিভাইসে এই প্রযুক্তি সীমাবদ্ধ ছিল। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ইনফিনিক্সই প্রথম এই…
ইতিমধ্যে আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। সাউন্ড টেকনোলজি এখন পুরোটাই ডিজিটাল। সে ক্ষেত্রে স্টেথোস্কোপও ধীরে ধীরে ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসের অতি কম মাত্রার শব্দও এখন যন্ত্রের মাধ্যমে শোনা সম্ভব। শুধু তা–ই নয়, সেই শব্দকে রেকর্ড করে রাখাও এখন সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল স্টেথোস্কোপের মাধ্যমে। এই ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগনির্ণয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। পৃথিবীর সব দেশেই দ্রুত বাড়ছে হৃদরোগীর সংখ্যা। পৃথিবীতে প্রতিবছর যত রোগী মারা যায়, তাদের শতকরা ৩১ ভাগ হলো হৃদরোগী। হৃৎপিণ্ডের সঠিক শব্দ শুনেই হৃদ্রোগের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ শব্দকে ইলেকট্রনিক সিগন্যালে রূপান্তর ঘটায়। তারপর সেই ইলেকট্রনিক সিগন্যালকে যেভাবে খুশি সেভাবে প্রসেস…
প্রথম মানব ইমপ্লান্টের পর অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলো ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ নিউরালিংক। কারণ ডিভাইসটি রোগীর মাথার খুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে- ক্যাপচার করা ডেটার পরিমাণও হ্রাস হতে শুরু করেছে।নিউরালিংকের ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস, যা বিসিআই নামে পরিচিত, জানুয়ারিতে ২৯ বছর বয়সী রোগী নোল্যান্ড আরবাগের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়েছিল। চিপটি প্যারালাইসিস রোগীদের শুধুমাত্র তাদের মন ব্যবহার করে বাহ্যিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আরবাগ- যিনি আট বছর আগে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে কাঁধ থেকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছিলেন-ডিভাইসের নিরাপত্তা পরীক্ষা করার জন্য নিউরালিংকের ছয় বছরের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করছেন। নিউরালিংক আরবাগের নয় মিনিটের একটি ভিডিও লাইভ স্ট্রিম করেছে যা দেখায় যে বিসিআই…
দীর্ঘ কয়েক মাস পর আবারও সংকেত পাঠাতে শুরু করেছে ভয়েজার ১। গত বছরের নভেম্বরে থমকে গিয়েছিল ভয়েজার ১-এর তথ্যপ্রেরণ। ঠিক থেমে যায়নি, অর্থহীন সংকেত পাঠাচ্ছিল ভয়েজার ১। জানা গিয়েছিল, একটা কম্পিউটার গ্লিচের জন্য এমনটা হয়েছে। সেই গ্লিচটি অবশেষে ঠিক করতে পেরেছেন প্রকৌশলীরা। ফলে আবারও অর্থবোধক বেতার সিগন্যাল পাঠাতে শুরু করেছে ভয়েজার ১। নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি এ তথ্য জানিয়েছে। অবশ্য বর্তমানে অর্থবোধক তথ্য থেকে শুধু এর অবস্থা ও ভেতরের ইঞ্জিনিয়ারিংসিস্টেমের কথা জানা যাচ্ছে। বৈজ্ঞানিক তথ্য পাঠানোর জন্য এর যে সফটওয়্যার ঠিক করতে হবে, এখনো তা ঠিক করা সম্ভব হয়নি। ভয়েজার ১ উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৭৭ সালের…
মোবাইল ফটোগ্রাফারদের জন্য সুখবর। শিগগিরই দেশের বাজারে আসছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনারের নতুন ডিভাইস ‘অনার ২০০ এবং অনার ২০০ প্রো’। নতুন এই স্মার্টফোনে যুক্ত করা হয়েছে আইকনিক স্টুডিও হারকোর্ট ফিচার। যারা ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন তাদের জন্য অনার ২০০ সিরিজের স্মার্টফোনে থাকবে এই ফটোগ্রাফি স্টুডিও। প্রযুক্তিপ্রেমিদের জীবন সহজ ও সমৃদ্ধ করতে ডিজিটাল এবং মাল্টিমিডিয়ার নানা ধরনেরও অভিজ্ঞতা সরবরাহ নিশ্চিত করতেই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনারের নতুন এই ফটোগ্রাফি ফিচার সংযোজন। স্টুডিও হারকোর্ট সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা নেয়া যাক- স্টুডিও হারকোর্ট হলো একটি ফটোগ্রাফি স্টুডিও যা ১৯৩৩ সালে প্যারিসের রু ক্রিস্টোফ-কলম্বে ১১-এ কসেট হারকোর্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৪ সালে তিনি হারকোর্ট স্টুডিও খুঁজে পেতে ল্যাক্রোইক্স ভাই,…
নেক্সট জেনারেশন ফ্যালকন ক্যামেরা সিস্টেম, প্রিমিয়াম ডিজাইন, প্রিমিয়াম কোয়ালিটি আর পাওয়ারফুল পারফরমেন্স দিক থেকে খুব কম সময়ে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডদের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনার। প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপের মধ্যে তরুণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে অনার এক ভরসার নাম- এমন তথ্য উঠে এসেছে বৈশ্বিক গবেষণা ও টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চের সমীক্ষায়। গবেষণায় বলছে, তরুণদের মধ্যে স্মার্টফোনে ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি ও কনটেন্ট মেকিংয়ের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর সেই চাহিদা পূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনারের ম্যাজিক ৬ প্রো স্মার্টফোন। কারণ একটি স্মার্টফোনে যা যা থাকা প্রয়োজন তার সব কিছুই আছে এই স্মার্টফোনে। এক সময় স্মার্টফোনের ক্যামেরায় ছবি তোলা ছিল সবচেয়ে বড়…
রান্নার কাজে মাইক্রোওয়েভ ওভেন সারা বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। দিন দিন এ দেশেও মাইক্রোওয়েভ ওভেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ওভেন দিয়ে খুব দ্রুত খাবার গরম করা সম্ভব। তাই এতে সময় ও শ্রম—দুটোই বাঁচে। সাধারণ ওভেনে খাবারের বাইরের অংশ গরম হয়। কিন্তু মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সুবিধা হচ্ছে, এটি খাবারের ভেতরেও গরম করে। মজার ব্যাপার হলো, এই জাদুকরী যন্ত্রটির আবিষ্কার অনেকটা আকস্মিকভাবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে রাডার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছিলেন মার্কিন প্রকৌশলী পারসি স্পেনসার। তিনি হঠাৎ খেয়াল করলেন, মাইক্রোওয়েভের কারণে তাঁর পকেটের চকলেট বার গলে গেছে। ফলে বুঝতে পারলেন, মাইক্রোওয়েভ দিয়ে কোনো বস্তুকে গরম করা সম্ভব। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে…
কোনো মানুষের হাতে বা গলায় স্টেথোস্কোপ দেখলেই আমরা বুঝে নিই, মানুষটি ডাক্তার। স্টেথোস্কোপ যন্ত্রটা যতটা ডাক্তার ও ডাক্তারির প্রতীক হয়ে উঠেছে, অন্য কোনো চিকিৎসাযন্ত্র ততটা নয়। একেবারে সব রোগের চিকিৎসাতেই যে স্টেথোস্কোপ লাগে, তা নয়; কিন্তু স্টেথোস্কোপ ছাড়া ডাক্তারকে কেমন যেন অসম্পূর্ণ মনে হয়। এই স্টেথোস্কোপ আসলে কী করে? এটা কানে লাগিয়ে ডাক্তাররা রোগীর শরীরের শব্দ শোনেন। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে বিভিন্ন ধরনের শব্দ বের হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস, হাঁচি, কাশি, নাক ডাকা কিংবা সশব্দে গন্ধবোমা নির্গমনের কথা বাদ দিলেও আমাদের হৃৎপিণ্ড যে শব্দ করে, সেই শব্দ শুনে ডাক্তাররা বুঝতে পারেন, সেখানে কোনো সমস্যা আছে কি না। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ,…
পরবর্তী প্রায় ৫০ বছর ধরে এ রকম কাঠের সিলিন্ডার আকৃতির স্টেথোস্কোপ চালু ছিল। ডাক্তার লাইনেক তাঁর স্টেথোস্কোপের সাহায্যে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের রোগের শব্দ অনুসন্ধান করেন এবং তা বই আকারে প্রকাশ করেন ১৮১৯ সালে। ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের রোগনির্ণয় ও চিকিৎসায় তাঁর এই বই ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের মাইলফলক। এরপর মাত্র সাত বছর বেঁচে ছিলেন ডাক্তার লাইনেক। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসা করতে করতে এবং যক্ষ্মা রোগ নিয়ে গবেষণা করতে করতে নিজেই যক্ষ্মা রোগের শিকার হলেন তিনি। ১৮২৬ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। লাইনেকের মৃত্যুর পর তাঁর স্টেথোস্কোপের বিভিন্ন ধরনের বিবর্তন ঘটেছে। ১৮২৮ সালে সিলিন্ডারের…
টাইম মেশিন মহাবিশ্বের মৌলিক একটি নীতির বিরুদ্ধে যায়। ফলাফলের আগে কারণ ঘটে। কখনোই উল্টোটা নয়। তা না হলে মহাবিশ্ব হতো বিশৃঙ্খল। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রয়েছে গ্যালাক্সির সবচেয়ে ভারী বস্তুগুলো। রয়েছে একটি সুপারম্যাসিভ বা অতিভারী কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাকহোল)। ভর চল্লিশ লক্ষ সূর্যের সমান, যে ভর কেন্দ্রীভূত আছে একটি মাত্র বিন্দুতে। এর খুব কাছ থেকে আলোও বের হতে পারে না। সময়কে সবচেয়ে বেশি বিকৃত করে কৃষ্ণগহ্বর। তৈরি করে প্রাকৃতিক টাইম মেশিন। কেউ মহাকাশযানে চেপে কৃষ্ণগহ্বর ভ্রমণে গেলেন। পৃথিবী থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১৬ মিনিটে একবার তিনি প্রদক্ষিণ করছেন কৃষ্ণগহ্বরটিকে। কিন্তু নভোচারী প্রতি ১৬ মিনিটের বদলে অনুভব করছেন মাত্র ৮ মিনিট। ফলে কৃষ্ণগহ্বর…
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের চা জায়গা করে নিয়েছে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে, যার মধ্যে অন্যতম হলো গ্রিন টি। মানবদেহে এর উপকারিতা ও ঔষধি গুণাগুণের জন্য দারুণ জনপ্রিয় সবুজ রংয়ের এই চা। একসময় চা বলতে শুধু দুধ চা–কেই বুঝত এ দেশিরা। এক গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত গ্রিন টি পান মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। এটি ওরাল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে কার্যকর। গ্রিন টি পানে দূর হয় ব্রণের সমস্যা। এতে থাকা ভিটামিন সি সর্দিকাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে। ওজন কমানোর গুণের জন্য জনপ্রিয় গ্রিন টি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই চা মেটাবলিজম বাড়িয়ে ফ্যাট…
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। চাঁদের মাটিতে নীল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন যখন হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন, ঠিক তখন কমান্ড মডিউল কলাম্বিয়াকে চাঁদের কক্ষপথে চালিয়ে যাচ্ছেন পাইলট মাইকেল কলিন্স। তখন মহাকাশে তিনি একেবারেই নিঃসঙ্গ, একা। তাঁর এই আত্মত্যাগ—চাঁদের এত কাছে গিয়েও চাঁদে না নেমে ফিরে আসা, কমান্ড মডিউলের দেখভাল করা—এটাই বাকি দুজনকে চাঁদে নামার সুযোগ করে দিয়েছিল। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। চাঁদের মাটিতে নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন যখন হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন, ঠিক তখন কমান্ড মডিউল কলাম্বিয়াকে চাঁদের কক্ষপথে চালিয়ে যাচ্ছেন পাইলট মাইকেল কলিন্স। তখন মহাকাশে তিনি একেবারেই নিঃসঙ্গ, একা। ইগলে চেপে নীল ও বাজ কলাম্বিয়ার ফিরে আসার আগ পর্যন্ত চাঁদের চারপাশে ১২ বার…
সুস্থ চোখ ও প্রখর দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখার জন্য অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যথেষ্ট পরিমাণে আছে, এমন খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অন্য কথায়, আপনি যদি বয়স বাড়লেও চোখে স্পষ্টভাবে দেখার সম্ভাবনা বাড়াতে চান, তাহলে আপনার চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো খাবারগুলো বেছে নেওয়া উচিত। সবুজ শাকসবজি পালংশাক এবং অন্য শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে। যেমন লুটেইন ও জেক্সানথিন, যা চোখের ভেতরের ম্যাকুলার অবক্ষয় ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। বাদাম স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য বাদামকে অপরিহার্য খাবারগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ধরা হয়। বাদামে ওমেগা–৩, ভিটামিন বি ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। অন্যদিকে বাদামে সেলেনিয়াম ও জিংক রয়েছে। এ উপাদানগুলো চোখ সুস্থ রাখতে…
ধ্রুবতারা। রাতের আকাশের উত্তর দিকে তাকালে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়। যেন আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে। অনেকে আবার একে উত্তরের নক্ষত্র বা পোলারিস বলেন। আকাশ মেঘে ঢাকা না থাকলে বছরের যেকোনো সময় রাতের আকাশে একে দেখা যায়। সবসময় উত্তর দিকেই দেখবেন। কেউ ভাবতে পারেন, এই ধ্রুবতারা কি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে? এ এক রহস্য বটে! চলুন, সে রহস্যের জট খোলা যাক! ধ্রুবতারা হলো আরসা মাইনর নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত একটি পরিবর্তনশীল সেফিড বা বিষম তারা। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৪৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এই অবস্থান আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র সিরিয়াস থেকে প্রায় ৫২ গুণ দূরে। মূলত দূরত্বের কারণেই ধ্রুবতারাকে বেশি উজ্জ্বল…
শেষ অর্থবর্ষে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মার্কিন চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা ইন্টেল। এরপরই খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের চরম সিদ্ধান্ত। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের নামী সংস্থা ইন্টেলের দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে ক্ষতির সন্মুখীন হতে হয়েছে কোম্পানিকে, তাই শতকরা ১৫ শতাংশ কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইন্টেলে বর্তমানে ১ লক্ষ ২৪ হাজার কর্মী রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ শতাশ ছাঁটাই মানে প্রায় ১৮ হাজার কর্মীকে সরানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন খবরে সকলের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। কোন কোন কর্মীর কপাল পুড়তে চলেছে সেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন অনেকে। ইন্টেল জানিয়েছে, এই বছরে তাদের ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ কমানোর…
দেহের বৃদ্ধি শুধু কোষ বিভাজনের জন্য হয় না। আর দ্বিতীয়ত, কোষ বিভাজন শরীরের ডিএনএর বেশ কিছু জিনের কোড অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারণত মানুষের দেহের বৃদ্ধি ঘটে ২০–২৫ বছর পর্যন্ত। হাড়ের গ্রোথ প্লেটের বৃদ্ধির মাধ্যমে দেহের বৃদ্ধি ঘটে। ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সের পর এই বৃদ্ধি আর ঘটে না। তবে হাড়ের বা শরীরের কোনো অংশের সেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন সেল বিভাজন বা গ্রোথ প্লেটের বৃদ্ধি ঘটে। কোষ বিভাজন জন্মের প্রথম কয়েক বছর প্রয়োজনীয় মাত্রায় চলতে থাকে। তবে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে শরীরের কোন অঙ্গ বা পেশি কতটা বাড়বে, তা জেনেটিক কোডে নির্ধারিত থাকে। সে অনুযায়ী কোষ বিভাজন অব্যাহত থাকে।…
আপনার ল্যাপটপে চার্জ কম। এ অবস্থায় জরুরি কাজ করতে হবে। তাই চার্জিংয়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে একই সঙ্গে ল্যাপটপে কাজ করছেন। প্রশ্ন হলো, এতে কি ল্যাপটপের ক্ষতি হতে পারে? কারণ একই সঙ্গে এর ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে সরাসরি বিদ্যুৎ–প্লাগ সংযোগে, আবার ল্যাপটপ চলছে সেই ব্যাটারির শক্তিতে। ল্যাপটপের একদিকে চার্জিং চলছে আবার চার্জ ব্যবহার করে কাজও চলছে। এ দুইয়ের মধ্যে অসংগতি বা বিরোধ আছে কি না? মনে হতে পারে, এতে ব্যাটারির ক্ষতি হবে। কিন্তু আসলে তা নয়, খুব বেশি ক্ষতি সাধারণত হয় না। আধুনিক ল্যাপটপ এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন পুরো চার্জ হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরাসরি চার্জিং বন্ধ থাকে। আবার চার্জ কমে…
কোনো বস্তুর তাপমাত্রা বাড়ে, যখন তার ভেতরের অণু–পরমাণুগুলোর গতি বাড়ে। কণাগুলো শক্তি অর্জন করলে তাদের গতি বাড়ে, ফলে শক্তি আরও বাড়ে। এর ফলে কণাগুলোর গতি আরও বাড়ে। এভাবে ওই বস্তু আরও শক্তি অর্জন করে। এর সামগ্রিক ফলাফল হলো তাপমাত্রা বৃদ্ধি। যেমন ধরা যাক, চুলার আগুনে এক বাটি পানি সেদ্ধ করছি। তাপে পানির কণাগুলোর গতি বাড়তে থাকে এবং পানির তাপমাত্রাও বাড়ে। এটা না হয় আগুনের তাপে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধির উদাহরণ। মনে হতে পারে আগুনের তাপে তো পানির তাপমাত্রা বাড়বেই। তাহলে মাইক্রো ওভেনের উদাহরণ নেওয়া যাক। এক কাপ পানি মাইক্রো ওভেনে রাখলে ওভেন থেকে কিছু ইলেকট্রন পানির ভেতরের কণাগুলোর মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি…
বুধের পৃষ্ঠ প্রায় পৃথিবীর চাঁদের পৃষ্ঠের মতোই। উল্কা ও ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ক্ষতবিক্ষত। আছে প্রচুর গর্ত। বুধের পৃষ্ঠের বেশির ভাগ আমাদের চোখে ধূসর-বাদামী রঙের দেখায়। গ্রহটির গায়ে উজ্জ্বল রেখাগুলো মূলত ‘ক্রেটার রশ্মি’। গ্রহাণু বা ধূমকেতু বুধের পৃষ্ঠে আঘাত করলে এ রশ্মি তৈরি হয়। এর প্রভাবে নির্গত হয় বিপুল শক্তি। পৃষ্ঠে তৈরি হয় বড় আকারের গর্ত। বুধের উত্তর মেরুতে বরফ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ মেরুতে আছে বিশাল গর্ত। স্থায়ীভাবে সেখানে ছায়া থাকে। এই ছায়া অংশে বরফ জমে থাকতে পারে। বুধে বায়ুমণ্ডল নেই। তার আছে একটি পাতলা এক্সোস্ফিয়ার বা বহিঃমণ্ডল। সৌরবায়ু এবং উল্কা পতনের ফলে পৃষ্ঠ থেকে বিস্ফোরিত পরমাণু দিয়ে গঠিত…