Author: Yousuf Parvez

Dedicated desk news writer with a sharp eye for breaking stories and a passion for delivering accurate, timely, and engaging content. Skilled in news research, fact-checking, and writing under tight deadlines, with a strong commitment to journalistic integrity and clarity.

বলয়ের জন্য শনি গ্রহ বিখ্যাত। এর ৭টি মনোমুগ্ধকর বলয় আছে। সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে দূরত্বের দিক থেকে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। খালি চোখে দেখা যায়, এমন গ্রহের মধ্যে শনিই সবচেয়ে দূরে। পৃথিবী থেকে গ্রহটির দূরত্ব ১৫৯.০৬ কোটি কিলোমিটার। প্রাচীনকাল থেকেই এ গ্রহের কথা জানতো মানুষ। ১৬১০ সালে টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রথম গ্রহটি দেখেন গ্যালিলিও গ্যালিলি। ১৬৫৯ সালে শনির বলয়ের রহস্য ভেদ করেন ডাচ জ্যোতির্বিদ ক্রিস্টিয়ান হাইগেনস। রোমান কৃষিদেবতা স্যাটার্নের নামানুসারে গ্রহটির নাম রাখা হয়ে স্যাটার্ন বা শনি। বর্তমানে শনির মোট উপগ্রহ ১৪৬টি। এর চেয়ে বেশি উপগ্রহ আর কোনো গ্রহের নেই। ভবিষ্যতে এ গ্রহের আরও উপগ্রহ আবিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা…

Read More

ইউরেনাস আবিষ্কার করেন উইলিয়াম হার্শেল। গ্রিক আকাশদেবতার নামে এর নাম রাখা হয় ইউরেনাস। এর কেন্দ্রেও সম্ভবত হীরার সমুদ্র আছে। সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ। দূর থেকেই টের পাওয়া যায় এর একটি বিশেষত্ব—চমৎকার বলয় ঘিরে আছে ইউরেনাসকে। আসলে দুটি বলয়ব্যবস্থা। অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায় আছে নয়টি বলয়। দেখতে ধূসর, সরু। বাইরের ব্যবস্থার দুটি বলয়ের ভেতরেরটি দেখতে লালচে, বাইরেরটি আবার নীলচে! গ্রহটিকে তাই ছবিতে অনিন্দ্যসুন্দর দেখায়। মোট ২৮টি উপগ্রহবিশিষ্ট দানব গ্রহ এই ইউরেনাস। ব্যাসের হিসাবে পৃথিবীর মাত্র চার গুণ বড়। তবে আয়তনে এত বিশাল যে এর ভেতরে এঁটে যাবে ৬৩টি পৃথিবী! নিজ কক্ষপথের তুলনায় প্রায় ৯০ ডিগ্রি কোণে হেলে আছে। এটি ইউরেনাসের আরেক অনন্য বৈশিষ্ট্য। দেখে…

Read More

সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ এটি। নেপচুনের বায়ুপ্রবাহকে বলে সুপারসনিক বাতাস। কারণ সৌরজগতের সবচেয়ে গতিশীল বায়ুপ্রবাহ ঘটে এখানে। পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতের আরেকটি গ্রহের রং নীলচে। নাম নেপচুন। এটি সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ। সূর্য থেকে গড় দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি কিলোমিটার। পৃথিবী থেকে সূর্যের যে দূরত্ব, তার চেয়েও প্রায় ৩০ গুণ বেশি। সূর্য থেকে নেপচুনে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় চার ঘণ্টা। গ্রহটিতে দিন-রাত হয় মাত্র ১৬ ঘণ্টায়। তবে বছরের দৈর্ঘ্যটা বেশি। সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ১৬৫ বছর। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ গ্রহটি আবিষ্কারের আগে এর উপগ্রহ ট্রাইটন আবিষ্কার হয়। ১৮৬৪ সালে উপগ্রহটি খুঁজে পান উইলিয়াম ল্যাসেল।…

Read More

গ্রহত্ব হারিয়ে প্লুটো এখন বামন গ্রহ। সূর্য থেকে এতে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। প্লুটোর পাতলা বায়ুমণ্ডল আছে। এর বেশির ভাগই নাইট্রোজেন, মিথেন ও কার্বন মনোক্সাইড। এ বামন গ্রহের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ২৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এখানে বেঁচে থাকা অসম্ভব। ১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর ১১ বছর বয়সী এক মেয়ে এর নামকরণ করে। তখন অবশ্য এটি গ্রহের মর্যাদা পেয়েছিল। পরে কুইপার বেল্টে এ রকম আরও কিছু বামন গ্রহ আবিষ্কারের পর আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন ২০০৬ সালে প্লুটোকে বামন গ্রহ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে। গ্রহের মর্যাদা হারানোর মূল কারণ এর আকৃতি। এর আকার পৃথিবীর তুলনায় মাত্র ১৮.৫ শতাংশ। প্লুটোকে প্রদক্ষিণ…

Read More

লিথুনিয়াভিত্তিক ন্যানো এভিয়নিকস ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বর্তমানে পৃথিবীর লো অ্যান্ড হাই অরবিটে প্রায় ৯ হাজার ৯০০টি স্যাটেলাইট চালু রয়েছে। এর মধ্যে একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে ৮ হাজার ১৩৭টি স্যাটেলাইট। এ ছাড়া চীন ৬৮৬টি, যুক্তরাজ্য ৬৫৮টি, ভারত ১০৫টি, জাপান ২০৯টি এবং বাংলাদেশ ১টি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আমল থেকে বর্তমানে রাশিয়া এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৫২টি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে পৃথিবীর কক্ষপথে। বর্তমানে অচল হয়ে পড়া স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর কক্ষপথে সচল স্যাটেলাইটগুলোর জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। হাজার হাজার স্যাটেলাইটের অচল অংশ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে বেড়ানোর ফলে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষও হচ্ছে সচল স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে। অনেকগুলো আবার নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে ধ্বংস হয়ে…

Read More

ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসার তথ্যমতে, পৃথিবীর কক্ষপথে বর্তমানে প্রায় ১৩ কোটি ১৪ লাখের বেশি ছোট-বড় মহাকাশীয় বর্জ্য বা স্পেস জাঙ্ক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে ১০ সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় আকারের বর্জ্য আছে প্রায় ৩৬ হাজার ৫০০টি। আর ১-১০ সেন্টিমিটারের ছোট বর্জ্য রয়েছে ১০ লাখের বেশি। আবার ১ মিলিমিটার থেকে ১ সেন্টিমিটার আকারের বর্জ্য রয়েছে প্রায় ১৩ কোটি। পৃথিবীর কক্ষপথে এগুলো ছুটে বেড়াচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, মানুষের পাঠানো বেশির ভাগ স্পেস জাঙ্ক খুব দ্রুত লো-আর্থ অরবিটে চলে এসেছে। এর গতি অবিশ্বাস্যরকম বেশি। ঘণ্টায় গড় বেগ প্রায় ২৮ হাজার ৯৬৮ কিলোমিটার। এই গতি একটা বুলেটের চেয়েও প্রায়…

Read More

কোনো এক সুন্দর সন্ধ্যায়, যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে, এসো, সেই সময় মাঠে যাওয়া যাক, কিংবা যাওয়া যাক সমুদ্রের তীরে, কোনো একটা খোলামেলা জায়গায়, যেখানে ঘরবাড়ি বা গাছপালা আকাশ আড়াল করে দাঁড়িয়ে নেই। আরও দেখতে হবে সেখানে যেন কোনো রাস্তার আলো না থাকে, জানালার বাতি চোখে না পড়ে। মোট কথা, জায়গাটা হতে হবে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ! আকাশে কত তারা! সবগুলো কেমন ধারালো-খরশান। দেখে মনে হয় যেন একটা কালো চাঁদোয়ার গায়ে ছুঁচ ফুটিয়ে ছোট ছোট ছেঁদা করা হয়েছে, আর সেগুলোর আড়ালে ঝিকমিক করছে নীল নীল আলো। আর তারাগুলো কতই না বিচিত্র! ছোট, বড়, নীলচে, হলদেটে; কতক তারা সম্পূর্ণ একা,…

Read More

সম্প্রতি চাঁদের অন্ধকার অঞ্চল বা উল্টো পাশ থেকে নমুনা নিয়ে ফিরেছে চীনের নভোযান চাঙ-ই ৬। এখন পর্যন্ত এটাই চাঁদের সবচেয়ে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে নমুনা নিয়ে ফেরার রেকর্ড। গত ২৫ জুন, মঙ্গলবার চাঙ-ই ৬ মিশনের চাঁদের নমুনা সংবলিত ক্যাপসুলটি মঙ্গোলিয়ার মরুভূমিতে অবতরণ করে। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে চীনের বেইজিংয়ে। চীনই একমাত্র দেশ, যারা চাঁদের এতটা দূরে মহাকাশযান পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে। তবে এটা প্রথম নয়। এর আগেও রাশিয়া (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন), যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি চীনও মহাকাশযান পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ১৯৬৯-১৯৭২ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৬টি অ্যাপোলো মিশনে চাঁদে পাঠিয়েছে ১২ নভোচারীকে। তারা চাঁদ থেকে অনেক নমুনা সংগ্রহ করে…

Read More

গত ৩ মে শুক্রবার চীনের হাইনান থেকে চাঙ-ই ৬ উৎক্ষেপণ করা হয়। ১ জুন এটি চাঁদের অ্যাপোলো ক্রেটার বা খাদে অবতরণ করে। রোবটিক হাতের সাহায্যে ওই খাদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এটি। একটি স্কুপ ও ড্রিলের সাহায্যে চাঁদ থেকে প্রায় ২ কেজি নমুনা সংগ্রহ করেছে ল্যান্ডারটি। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত এই খাদ প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার প্রশস্ত। চাঙ-ই ৬ চারটি মডিউল নিয়ে গঠিত। একটি চন্দ্রল্যান্ডার, একটি রিটার্ন ক্যাপসুল, একটি অরবিটার ও একটি আরোহী (ল্যান্ডার দিয়ে বহন করা একটা ছোট রকেট)। এই রিটার্ন ক্যাপসুল ২১ জুন সংগৃহীত নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে যাত্রা শুরু করে, ২৫ জুন ফিরে আসে পৃথিবীতে। প্ল্যানেটারি সোসাইটির…

Read More

আমাদের দেশে এখন গড় আয়ু প্রায় ৭২.৮ বছর। তবে শতায়ু মানুষও আছেন। এখন পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড ১২২ বছর। তিনি একজন ফরাসি নারী। নাম জ্যঁক্যালমেঁ (Jeanne Calment)। ১৯৯৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে জাপানে মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি। এক হিসাবে জানা গেছে, ২০৪০ সালে স্পেন জাপানকে ছাড়িয়ে যাবে। সেখানে গড় আয়ু হবে ৮৬ বছর। মানুষের আয়ু নিয়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস–এর সায়েন্স টাইমস–এ (১৯ নভেম্বর ২০১৮) প্রকাশিত একটি লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বোচ্চ আয়ু হতে পারে ১১৫। একদল বিজ্ঞানী গবেষণা করে ২০১৬ সালে এ তথ্য দিয়েছেন। শিকাগোর ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক গবেষণা করে জানিয়েছেন, মানুষের সর্বোচ্চ স্বাভাবিক আয়ু ৮৫ হতে পারে।…

Read More

মানে ৩৬৫ দিন। অর্থাৎ প্রতি ৩৬৫ দিনে পৃথিবীর এক বছর পূর্ণ হয়; আদতে এ সময়ে সূর্যকে একবার ঘিরে পুরোটা কক্ষপথ চক্কর দেয় পৃথিবী। এই একবার চক্কর দেওয়াকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় বার্ষিক গতি। আবার পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চারপাশেও ঘোরে। নিজ অক্ষের চারপাশে পৃথিবীর এ ঘূর্ণনকে বলে আহ্নিক গতি। বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট করে বলি। পাঠক নিশ্চয়ই লাটিম চেনেন। লাটিম নিজের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে আবার নির্দিষ্ট জায়গাকে কেন্দ্র করেও ঘোরে। পৃথিবীও ঠিক একই কাজ করে। নিজে ঘুরতে ঘুরতে লাটিমের মতো সূর্যের চারপাশেও ঘোরে। এই যে নিজের চারপাশে ঘোরা—এটাই দিন; যাকে সঠিকভাবে বলা হয় নিজ অক্ষের চারপাশে ঘোরা। এভাবে…

Read More

২০২৪ সালের প্রথম ‘ব্লু সুপারমুন’ দেখা যাবে ২০ আগস্ট, মঙ্গলবার। বাংলাদেশ সময় রাত ১২.২৫ মিনিটে (১৯ তারিখ দিবাগত রাত বা ২০ তারিখ) স্পষ্ট দেখা যাবে এই ব্লু সুপারমুন। অর্থাৎ আজ রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আকাশে এই চাঁদ দেখা যাবে। প্রশ্ন হলো, কীভাবে দেখবেন? সাধারণত খালি চোখেই চাঁদ দেখা যায়। এই বিশেষ চাঁদও খালি চোখেই দেখা যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের আবহাওয়া বর্ষাকালে প্রায়ই খারাপ থাকে, মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। তা ছাড়া ঢাকার আকাশে ধুলা প্রচুর। তাই এই চাঁদ দেখা কিছুটা কষ্টকর হতে পারে। সে জন্য নদীর পাড়ে বা কোনো খোলা মাঠে গেলে চাঁদ দেখার ভালো সম্ভাবনা থাকবে। তাই সম্ভব হলে রাতে…

Read More

মহাকাশে গিয়ে দারুণ বিপদে পড়েছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও ব্যারি উইলমোর। এই দুই নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন কিছু গবেষণা করার জন্য। কী গবেষণা, তা অবশ্য সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি নাসা। তবে তারা জানিয়েছে, এখন সে কাজ শেষ হয়ে গেলেও নভোচারী দুজন আপাতত পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না। কারণ, তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে যে মহাকাশযান, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে লিক হয়েছে। ফলে নভোযানটিতে ছড়িয়ে পড়েছে হিলিয়াম গ্যাস। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন না ওই দুই বিজ্ঞানী। এর আগে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, শিগগিরিই তাঁদের ফিরিয়ে আনার তারিখ জানানো হবে। ২৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ জানানোর…

Read More

যেসব গ্রহাণু আমাদের থেকে ০.০৫ জ্যোতির্বিদ্যা একক দূরত্বের মধ্যে আসবে, সেগুলো। এক জ্যোতির্বিদ্যা একক হলো পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব। আর ০.০৫ জ্যোতির্বিদ্যা একক হলো পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের ২০ গুণের মতো। ১৯৯৮ সালের পর জ্যোতির্বিদেরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা ১৪০ মিটার ব্যাসের ওপরের সব গ্রহাণুকে চিহ্নিত করবেন। কম ব্যাসের গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ড, যেগুলো পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলোর খুব অল্প অংশই পর্যবেক্ষকেরা আবিষ্কার করতে পেরেছেন। কাজেই অজানা ছোট উল্কাপিণ্ডের পৃথিবীকে আঘাত করার সম্ভাবনাটা রয়ে গেছে। যদিও বিজ্ঞানীরা প্রায়ই নতুন গ্রহাণু দেখছেন। তবে আবিষ্কৃত নিকটবর্তী গ্রহাণুর কোনোটিই আগামী ৫০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয় বলে মনে করা…

Read More

অতীতে যে বড় উল্কার সংঘর্ষে পৃথিবীর আমূল পরিবর্তন হয়েছে, তা আমরা জানি। প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে আনুমানিক ১০ কিলোমিটার ব্যাসের উল্কাপিণ্ড (KT উল্কা) পৃথিবীতে পড়েছিল, যার ফলে ডাইনোসররা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ার তুংগুস্কায় একটি উল্কা পড়ে, যার প্রভাবে প্রায় কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বনের সব গাছ উৎপাটিত হয়ে যায়। মনে করা হয়, ভূমির ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার ওপরে ৫০ থেকে ৮০ মিটার ব্যাসের একটি উল্কাপিণ্ডের বিস্ফোরণে এটি ঘটে। সাইবেরিয়ার ওই জায়গা এতই দুর্গম ছিল যে সেই শক্তিশালী ঘটনা কোনো মানুষ স্বচক্ষে দেখেনি। যদিও ৫০০ কিলোমিটার দূরেও এর শব্দ শোনা গিয়েছিল। ১৯৯৮ সালে NASA ঘোষণা দেয়, পৃথিবীর…

Read More

১৯৬০ সালে রুশ প্রকৌশলী ইয়ুরি আর্টসুটানভ স্পেস এলিভেটরের ধারণা দিয়েছেন। এটাকে তিনি বলেছেন ‘কসমিক রেলওয়ে’ বা মহাজাগতিক রেল-যোগাযোগব্যবস্থা। তাঁর হিসেবে, পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণমান একটি কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে দড়ির মতো কিছুর একপ্রান্ত যুক্ত থাকবে, যেটার অন্য প্রান্তটি যুক্ত থাকবে বিষুবরেখার এখানে কোথাও। এই দড়ি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস পাঠানো যাবে মহাকাশে। এই ধারণা নিয়ে আরও কাজ হয়েছে। বিখ্যাত মার্কিন কল্পবিজ্ঞান লেখক আর্থার সি ক্লার্ক এ নিয়ে কংগ্রেসের সামনে বক্তব্য রেখেছেন। নাসা এবং যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির কাজের অভিজ্ঞতা থেকে এর ধারণাগত নকশা তৈরি করেছেন প্রকৌশলী জেরোম পিয়ারসন, ১৯৭৫ সালে। তিনি অবশ্য একে বলেছেন ‘অরবিটাল টাওয়ার’। এ জন্য তিনি চাঁদের মহাকর্ষ, বায়ু, গতিশীল…

Read More

পৃথিবী থেকে মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথ পর্যন্ত সুদীর্ঘ টাওয়ার। কিংবা বলতে পারেন, স্পেস এলিভেটর। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বা চাঁদের কক্ষপথে ভবিষ্যতে নির্মিত কোনো গবেষণাকেন্দ্রে কিছু পাঠাতে চাইলে এই এলিভেটরের সাহায্য চট করে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। এরকম স্পেস এলিভেটর মানুষের কল্পনায় ঘুরে ফিরে এসেছে বারবার। দেখা গেছে বিভিন্ন সায়েন্স ফিকশন, অর্থাৎ কল্পবিজ্ঞানের মুভি বা গল্পে। কিন্তু আজও এরকম কোনো টাওয়ার বানাতে পারেনি মানুষ, বানাতে পারেনি কোনো স্পেস এলিভেটর বা লিফট। কেন? সে কথা বলার আগে একটা গল্প বলা যাক। প্রাচীন ব্যবিলনের সেই টাওয়ারের গল্পটা জানেন? এ গল্প মতে, প্রাচীন ব্যবিলনের মানুষ ভেবেছিল একটা টাওয়ার বানাবে। সেই টাওয়ার দিয়ে ছুঁয়ে ফেলবে আকাশ। মানুষ…

Read More

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর কক্ষপথে একটি ‘কৃত্রিম নক্ষত্র’ স্থাপন করবে বলে জানিয়েছে। গবেষণার প্রয়োজনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা। ২০২৯ সালে এ নক্ষত্র মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। নতুন এই কৃত্রিম নক্ষত্র আসলে একটি স্যাটেলাইট। আকার অনেকটা জুতার বাক্সের মতো। এটি থাকবে পৃথিবীর কক্ষপথে। ঘুরবেও প্রায় পৃথিবীর সমান গতিতে। ফলে আকাশে এই নক্ষত্র বা স্যাটেলাইটকে মনে হবে স্থির। কিন্তু তাই বলে পৃথিবী থেকে একে খালি চোখে দেখা যাবে না। কারণ মানুষ খালি চোখে যতটা দেখতে পারে, এই নক্ষত্র হবে তারচেয়ে ১০০ ভাগ অস্পষ্ট। অবশ্য টেলিস্কোপে চোখ রেখে এর দেখা মিলবে। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে ল্যান্ডোল্ট নাসা স্পেস মিশন।…

Read More

নবম গ্রহটি সূর্য থেকে প্রায় ৪০০ সৌরজাগতিক একক দূরে। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বকে বলা হয় এক সৌরজাগতিক একক বা অ্যাস্ট্রোনমিকেল ইউনিট। অর্থাৎ নবম গ্রহটি হবে পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব থেকে প্রায় ৪০০ গুণ দূরে। এখানে জানিয়ে রাখি, সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ নেপচুন রয়েছে সূর্য থেকে ১৯ সৌরজাগতিক একক দূরে। মানে সূর্য থেকে নেপচুনের যে দূরত্ব, নবম গ্রহটি হবে তারচেয়েও ১৩ গুণ দূরে। পরে অবশ্য আরেকটা গবেষণায় দেখা গেছে, প্ল্যানেট নাইনের গড় দূরত্ব হতে পারে ৫০০ বা ৫৫০ মহাজাগতিক একক। টানা ৭৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরে একটা নভোযান নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছাবে, এটা অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে। কারণ, পৃথিবী থেকে সবচেয়ে…

Read More

মানবজাতি নিশ্চিত হতে পারবে আসলেই সৌরজগতে নবম গ্রহ নামে কিছু আছে কি না? খুব সম্ভবত ২০২৫ সালের শেষদিকেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, ২০২৫ সালের শেষদিকে অত্যাধুনিক ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরি রাতের আকাশ জরিপ করা শুরু করবে। আর সেই জরিপ থেকেই খুঁজে পাওয়া যেতে পারে আমাদের কাঙ্ক্ষিত প্ল্যানেট নাইন। এখন সত্যিই যদি প্ল্যানেট নাইন বা নবম গ্রহ ধরা দেয়, তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে নভোযান পাঠাতে চাইবে অনেক দেশ। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, তাদের পরিচালিত দুটি নভোযান ভয়েজার ১ ও ২ এর আগে এর চেয়েও বেশি দূরত্ব পাড়ি দিয়ে সৌরজগৎ ছাড়িয়ে গেছে। তবে অন্য কোনো…

Read More

অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, কয়েক বছরের মধ্যে সৌরজগতের নবম গ্রহ আবিষ্কৃত হতে পারে। তাই যদি হয়, তাহলে অধরা সেই গ্রহে পৃথিবী থেকে নভোযান পাঠাতে কত বছর সময় লাগবে? সৌরজগতে গ্রহ কয়টি? আগ্রহীরা হয়তো মাথা চুলকে বলবেন, ৮টিই তো জানি। তাহলে নবম গ্রহের কথা আসছে কোত্থেকে? আর সেই গ্রহ না থাকলে সেখানে যাওয়ার কথাই-বা আসছে কেন? হ্যাঁ, এ কথা সত্যি যে এখনো নবম গ্রহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাহলে কেন নবম গ্রহ নিয়ে আলোচনা করছি? কারণ, কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, সৌরজগতের শেষ প্রান্তে লুকিয়ে আছে অধরা সেই নবম গ্রহ। আর সেই গ্রহটি খুঁজে পাওয়া থেকে আমরা মাত্র কয়েক বছর পিছিয়ে আছি। অবশ্য…

Read More

আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা কেবল একটি চাঁদ দেখতে পাই। অথচ সৌরজগতে চাঁদের সংখ্যা শুনলে চমকে যেতে পারেন আপনি। আমরা সেগুলোর কয়টির কথা জানি? ভবিষ্যতে কী আরও উপগ্রহ বা চাঁদ খুঁজে পেতে পারেন বিজ্ঞানীরা? আকাশে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কিছু উজ্জ্বল বস্তু, জ্বলজ্বল করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হলো চাঁদ। আপনার কাছে যদি কোনো টেলিস্কোপ না থাকে, তাহলে এটিই একমাত্র উপগ্রহ যেটা আপনি খালি চোখে দেখতে পাবেন। কিন্তু সৌরজগতে রয়েছে আরও অনেক চাঁদ, যেগুলো খালি চোখে পৃথিবী থেকে দেখা যায় না। ঠিক কয়টি চাঁদ বা উপগ্রহ রয়েছে আমাদের সৌরজগতে? এককথায় এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া একটু কঠিন। কারণ, সৌরজগতে কয়েক ধরনের উপগ্রহ…

Read More

ছায়াপথ অতিক্রম করে মহাশূন্যে চলে যাওয়া বেশ সম্ভব। তবে সেখানে কিছু কিন্তু–যদি আছে। প্রথমে একটা ধারণা নিই। কত বড় আমাদের গ্যালাক্সি, যাকে বলি ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গা? এটা এত বড় যে এর মধ্যে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন বা ৩০ হাজার কোটি নক্ষত্র আছে। নক্ষত্র মানে এক একটা সূর্য। কোনো মহাকাশযানে এই ছায়াপথ পার হয়ে মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্যালাক্সিতে যেতে সময় লাগবে প্রায় ২ লাখ আলোকবর্ষ। কোনো মানুষ যদি রওনা দেয়, তাহলে তার আয়ু তো শেষ হবেই, তার নাতি–পুতির কয়েক হাজার স্তর পর্যন্ত থাকবে কি না সন্দেহ। তারপর আছে গতির সমস্যা। ছায়াপথ পার হতে অতিক্রমণ–বেগ (এসকেপ ভেলোসিটি) লাগবে সেকেন্ডে ৫৫০ কিলোমিটার। এর মাত্র…

Read More

তাপ একটি গ্যাসের মাঝে গতিশক্তির একধরনের প্রকাশ হলেও তা একটি ঢিলের গতিশক্তি থেকে ভিন্ন। কারণ, গ্যাসের তাপমাত্রা থাকলেও একটি ঢিলের কোনো তাপমাত্রা নিয়ে আমরা চিন্তা করি না বা ধর্তব্যের ভেতর আনি না। সংখ্যার বিচারে ঢিলের মাঝে থাকা অণুর সংখ্যা গ্যাসের অণুর সংখ্যার কাছাকাছি। কিন্তু গতিশীল ঢিলের প্রতিটি কণার বেগ প্রায় একই দিকে, যেখানে গ্যাসের অণুগুলো বিভিন্ন দিকে বিভিন্ন বেগে বিক্ষিপ্ত। তাই আমরা বলি গ্যাসের কণাগুলো ঢিলটির কণাগুলোর তুলনায় বেশি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। এই বিশৃঙ্খলতাকে মাপার জন্য এনট্রপি নামের রাশিটি ব্যবহার করা হয়। এটার গাণিতিক প্রকাশ লেখা সহজ কিন্তু তার ব্যাখ্যা দেওয়া তার তুলনায় জটিল। তবে এটা বোঝা যায় যে আমাদের…

Read More