Author: Yousuf Parvez

Dedicated desk news writer with a sharp eye for breaking stories and a passion for delivering accurate, timely, and engaging content. Skilled in news research, fact-checking, and writing under tight deadlines, with a strong commitment to journalistic integrity and clarity.

আমরা দাঁত পরিষ্কার করার জন্য যেসব পেস্ট ব্যবহার করি সেগুলো তো ক্ষারীয় প্রকৃতির। কিন্তু অ্যাসিডজাতীয় কিছু (পানীয় বা ফল) মুখ দিয়ে গ্রহণ করলে দাঁতে একধরনের মসৃণতা বা চকচকে ভাব আসে। টুথপেস্টে ক্ষারজাতীয় পদার্থ থাকে। কেন, সেটা বলছি। আমরা খাবার খেলে মুখের ব্যাকটেরিয়াগুলো সেই খাদ্যের উপাদান ভেঙে খেতে থাকে আর এই প্রক্রিয়ায় অ্যাসিড তৈরি হয়। এই অ্যাসিড দাঁতের অ্যানামেল ক্ষয় করে। ফলে দাঁত নষ্ট হয়। সে জন্য টুথপেস্টে সামান্য ক্ষার মেশানো থাকে। যেন সেই ক্ষার অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাকে নিষ্ক্রিয় করে। এটা ঠিক নয় যে টুথপেস্টে অ্যাসিড থাকলে দাঁত চকচকে হয়। বরং সেটা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। টুথপেস্টের ক্ষার অ্যাসিড নিষ্ক্রিয়…

Read More

আমরা জীবনে অনেকবার ভয় পেয়েছি তাতে কোন সন্দেহ নেই। যখন কোনো আকস্মিক কিছু ঘটে যায়, তখনই আমরা ভয় পাই। সন্তানরা বাবাকে ভয় পায়। অথবা স্কুলের কোনো শিক্ষককে। সাধারণত আমাদের অনেকে বাবাকে একটু ভয় পাই। আর মাকে ভয় পাই না। কারণ, বাবা হয়তো একটু গুরুগম্ভীর। মাঝেমধ্যে বকাঝকা করেন। আর মা আমাদের সব সময় আগলে রাখেন। একটু ভুল হলে হেসে শুধরে দেন। তাই মাকে ভয় পাই না। তাহলে বলতে হয়, ভয় পাওয়ার পেছনে একটা যুক্তি আছে। রাগী শিক্ষককে দেখলেই শরীরের মধ্যে একটা তরঙ্গ বয়ে যায়। স্নায়ুতন্ত্র সতর্কসংকেত পাঠায় মস্তিষ্কে। মস্তিষ্ক সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। যেন আমরা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি।…

Read More

বিজ্ঞানীরা হিসাব নিকাশ করে বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ আবার দেখা যাবে ২০৪৪ সালে। তবে পূর্ণগ্রহণ দেখা যাবে শুধু উত্তর ডাকোটা ও মন্টানা থেকে। নিচের দিকের প্রায় ৪৮টি অঙ্গরাজ্যের দুপাশের সমুদ্র উপকূলের দুই প্রান্তজুড়ে পূর্ণগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৫ সালে। অবশ্য এর মাঝে বিভিন্ন দেশে আংশিক বা পূর্ণ গ্রহণ কিছু কিছু দেখা যাবে। সৌরমণ্ডলে পৃথিবী ও চাঁদ মহাকর্ষ বলের প্রভাবে ঘুরছে। এই ঘূর্ণন প্রক্রিয়ায় কখন, কত সময়ব্যাপী গ্রহণ হতে পারে, বিজ্ঞানীরা সে হিসাব থেকেই প্রয়োজনীয় সূত্র ব্যবহার করে বিস্তারিত তথ্য বের করেছেন। এখন তো কম্পিউটারে হিসেব করে সব কিছু বলা যায়। একটি বিষ্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, সূর্য চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুণ বড়।…

Read More

লোহার সঙ্গে মানুষের পরিচয় প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। তবে লোহার ব্যবহার শুরু হয়েছিল আরও পরে। সেই কালটি মানব ইতিহাসে পরিচিত লৌহযুগ নামে। লোহার সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে এর বিশেষ একটা ধর্মও মানুষ জানে। সেটা হলো, লোহায় মরিচা পড়ে। দেখতে লোহার ওপর একটা ভঙ্গুর আবরণের মতো সেটা। এর কারণে ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যায় লোহা বা লোহার তৈরি জিনিসপত্র। অথচ সোনা, রূপা, প্লাটিনামের মতো অন্যান্য ধাতুতে এভাবে মরিচা পড়ে না। তাই এদের বলা হয় ননফেরাস মেটাল। অন্যদিকে লোহাজাতীয় পদার্থকে বলে ফেরাস মেটাল (লোহার লাতিন নাম ফেরাম, সে থেকেই এ নাম)। গহনা তৈরিতে সোনার এত কদর এ জন্যই। অবশ্য আপনার সোনা-রূপা…

Read More

পৃথিবীতে কুকুরের মতো প্রভুভক্ত প্রাণী খুব বেশি নেই। এই প্রভুভক্তির কারণে মানুষের কাছে কুকুর প্রিয়। কিন্তু এই কুকুর সব সময় গৃহপালিত ছিল না। এককালে অন্য বন্য প্রাণীর মতো তারাও থাকত বনে-জঙ্গলে। গবেষকরা বলেন, জীবজন্তুদের মধ্যে কুকুরই প্রথম মানুষের বশ্যতা স্বীকার করেছিল। সেটা আজ থেকে প্রায় ১৫ হাজার বছর আগে। কুকুরের প্রভুভক্তির লক্ষণ টের পাওয়া যায় তার লেজ নাড়া দেখে। বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে গবেষণা করে দেখেছেন, কুকুরের লেজ নাড়া আর চোখের দৃষ্টির নানা ভঙ্গি আসলে কুকুরের দলের মধ্যে ভাববিনিময়ের জন্য জন্মগত এক জটিল পদ্ধতি। শান্তির প্রতীক হিসেবেও লেজের ব্যবহার করে কুকুর। প্রতিটি পুরুষ কুকুরের নিজস্ব এলাকা থাকে। সেই এলাকায় সে-ই রাজা।…

Read More

আমাদের চেনা পরিচিত সব বস্তু বা পদার্থ তৈরি হয়েছে পরমাণু দিয়ে। আর প্রতিটি পরমাণুতে থাকে কিছু অতিপারমাণবিক কণা। সেগুলো হলো প্রোটন, নিউট্রন ও ইলেকট্রন কণা। প্রোটনের চার্জ ধনাত্মক, নিউট্রন চার্জ নিরপেক্ষ এবং ইলেকট্রন ঋণাত্মক। প্রোটন ও নিউট্রন দিয়ে গঠিত হয় পরমাণুর কেন্দ্রীয় অংশ বা নিউক্লিয়াস। এই দুই কণাকে একত্রে আটকে রাখে শক্তিশালী পরমাণবিক বল। পরমাণুর নিউক্লিয়াসে সমসংখ্যক প্রোটন ও নিউট্রন থাকলে, এই পারমাণবিক শক্তিতেও ভারসাম্য থাকে। নিউক্লিয়াসের চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে থাকে ইলেকট্রন। সাধারণত একটি প্রোটনের ধনাত্মক চার্জকে ভারসাম্যে আনতে একটি ইলেকট্রনের প্রয়োজন হয়। এভাবেই গোটা পরমাণুতে বৈদ্যুতিক চার্জে ভারসাম্য আসে। আমাদের চেনাজানা বেশির ভাগ পরমাণু এভাবে নিজেদের ভারসাম্য বজায়…

Read More

মহাবিশ্বে রয়েছে প্রায় ১০০ কোটি গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রমণ্ডলী। ভবিষ্যতে টেলিস্কোপের দূরবর্তী বস্তু দেখার সক্ষমতা বাড়লে হয়তো সংখ্যাটি বেড়ে ২০০ কোটিও হতে পারে। আমাদের গ্যালাক্সির বাংলা নাম ছায়াপথ। সব গ্যালাক্সি আসলে ঘুরছে। প্রশ্ন হলো, সবগুলো কি একই দিকে ঘুরছে? নাকি কোনো গ্যালাক্সি ঘড়ির কাঁটার দিকে, আবার কোনোটি বিপরীত দিকে ঘুরছে? হারভার্ট–স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের তাত্ত্বিক অ্যাভি লোয়েবের মতে এদের ঘোরার কোনো নির্দিষ্ট দিক নেই। নীতিগতভাবে অর্ধেক গ্যালাক্সি ঘড়ির কাঁটার দিকে আর বাকি অর্ধেক বিপরীত দিকে ঘুরছে। ২০০৮ সালে ৩৭ হাজার গ্যালাক্সি পর্যবেক্ষণ করে এই ধারণার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ সম্পর্কে বিস্তৃত জানার জন্য দেখুন স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন, সেপ্টেম্বর ২০১৮। এখানে অবশ্য একটা…

Read More

পৃথিবী কক্ষপথ থেকে সহজে পড়ে যায় না কেন এ প্রশ্নের উত্তর অনেকের কাছেই নেই। মহাকর্ষ বলের কারণে সূর্য পৃথিবীকে তার নিজের দিকে টানছে। সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর ভর খুব কম। তাহলে মহাকর্ষ বলের টানে তো সূর্যের মধ্যে গিয়ে পৃথিবীর পড়ার কথা। অথচ সে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছে। আবার পড়েও যাচ্ছে না। কীভাবে এটা সম্ভব হচ্ছে? এটা সম্ভব হচ্ছে, কারণ, পৃথিবী একদিকে যেমন মহাকর্ষ বলের কারণে সূর্যের দিকে টান খাচ্ছে, অন্যদিকে সে একটি সরলরেখা বরাবর সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তার মানে, এখানে দুটি বল কাজ করছে। একটি হলো সূর্যের আকর্ষণ, অন্যটি পৃথিবীর সরলরেখা বরাবর চলার গতি। এই দুইয়ের টানাটানিতে পৃথিবী একই সঙ্গে…

Read More

বাতাসে শ্বাস নেওয়ার সময় আমাদের দেহে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে যায়। প্রথমেই নাকের দুই ছিদ্রপথে আশপাশ থেকে ঢুকতে থাকে বাতাস। এরপর এই নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ বাতাস ট্রাকিয়া দিয়ে ফুসফুসে চলে যায়। ফুসফুসে রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য বায়ুকুঠুরি। এই বিশেষ ধরনের বায়ুকুঠুরিকে বলা হয় অ্যালভিওলাই। এখানে বাতাস থেকে অক্সিজেন ফুসফুসের ঝিল্লি হয়ে রক্তে প্রবেশ করে। এই রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেহে। আবার রক্তের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন কোষ থেকে দেহের বর্জ্য পদার্থ (যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড) ফুসফুসে আসে। এগুলোই আমরা প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ছেড়ে দিই। মোটামুটি সহজভাবে এই হচ্ছে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতি। প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্যই অক্সিজেন…

Read More

আলোর গতিতে ঘুরতে পারার বিষয়টি কাল্পনিক। তারপরও ধরা যাক, সূর্যের চারদিকে পৃথিবী তার কক্ষপথে আলোর গতির ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ গতিতে ঘুরছে। তাহলে প্রথমেই পৃথিবী সৌরজগৎ থেকে ছিটকে বাইরে চলে যাবে। কারণ, সৌরজগৎ উত্ক্রমণ বেগ (Escape Velocity) হলো সেকেন্ডে মাত্র ৪২ কিলোমিটার। এ বিষয়ে একজন প্রকৌশলী জ্যাক ফ্রেজার কুয়োরা ডাইজেস্টে খুব চমত্কার কতগুলো তথ্য দিয়ে দেখিয়েছেন, এ রকম সাংঘাতিক কিছু ঘটলে কী পরিণতি হতে পারে। যেমন প্রথম তিন মিনিটেই পৃথিবী মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ পার হয়ে যাবে। ১ ঘণ্টার মধ্যে পার হয়ে যাবে বৃহস্পতি গ্রহ, ৫ ঘণ্টার মধ্যে প্লুটোর কক্ষপথ, ১৫ ঘণ্টার মধ্যে ভয়েজার-২, ১৯ ঘণ্টার মধ্যে ভয়েজার-১ এবং দিন দুয়েকের…

Read More

প্রাচীনকাল থেকেই খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের চেষ্টা চালিয়ে আসছে মানুষ। শীতপ্রধান দেশে বরফ সহজলভ্য। তাই তাদের জন্য বিষয়টা বেশ সহজ ছিল। কিন্তু গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ব্যবহার করা হতো একধরনের লবণ ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। খাদ্যে হলুদের ব্যবহারও করা হয় খাবারকে জীবাণুমুক্ত করে দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের তাগিদে। আর খাবার দুর্গন্ধ মুক্ত করতে ব্যবহৃত হতো নানা রকম মশলা। এদিকে ১৮৭৪ সালের দিকে যান্ত্রিকভাবে খাদ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি আবিস্কার করেন সুইডেনের বিজ্ঞানী কার্ল লিন্ডে। তবে সেটা ছিল সাধারণ মানুষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কিছু আগে রেফ্রিজারেটরের সঙ্গে সাধারণ মানুষের পরিচয় ঘটে। একসময় রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ আধুনিক জীবনের এক প্রয়োজনীয় যন্ত্রে পরিণত হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় শাক-সব্জি, ফলমূল, মাছ-মাংসসহ পচনশীল দ্রব্যাদি…

Read More

আমাদের মস্তিষ্কের একটি নিজস্ব ভাষা আছে। এই ভাষা কি আদৌ উদ্ধার করা গেছে? না গেলে আমরা এটা করতে পারিনি কেনো সেটাই এ আর্টিকেলের আলাচনার বিষয়। মস্তিষ্কের সর্বজনীন ভাষার ধারণা বহু আগে থেকেই কোনো কোনো মনীষীর লেখায় পাওয়া যায়। তবে এ ধারণা জনপ্রিয় করার পেছনে মার্কিন ভাষাতাত্ত্বিক নোয়াম চমস্কির যথেষ্ট অবদান আছে। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন ইউনিভার্সাল গ্রামার। সেই গ্রামারের রূপরেখা কেমন হতে পারে, তা নিয়ে তিনি ও তাঁর মতাদর্শের অনুসারী বা বিরোধীরা প্রচুর গবেষণা করেছেন। এখন পর্যন্ত সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রায় সব ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে কিছু সাধারণ ভাষাগত প্রবণতা দেখা গেলেও তা থেকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব…

Read More

উত্তরটা জানার আগে মশা কামড়াতে পারে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কারণ কামড়ানোর জন্য দাঁতের প্রয়োজন। কিন্তু মশার সে ধরনের কোনো দাঁত নেই। তাই আক্ষরিক অর্থে মশা আসলে কামড়ায় না। আসলে মশা তার মুখের বিশেষ একটি অঙ্গের মাধ্যমে মানুষ বা অন্য প্রাণীর দেহ থেকে রক্ত চুষে নেয়। মশার প্রজননের জন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত প্রয়োজন। তাই স্ত্রী মশারা মানুষ, গরু, ছাগলসহ অন্যান্য প্রাণীর রক্ত পান করে। আর রক্তচোষার জন্য তাদের এই মুখোপাঙ্গ বিশেষভাবে তৈরি। তবে পুরুষ মশা এ সুবিধা পায় না। তাই তারা মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর রক্ত খেতে পারে না। ওরা গাছের রস, ফুলের মধু, পানি খেয়ে…

Read More

আমাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী স্মার্টফোনের ব্যাটারি চার্জ করার সময় শেষ দিকে গতি ধীর হয়ে যায়। প্রথম ৮০-৮৫ শতাংশ চার্জ হতে যে সময় লাগে, সে তুলনায় শেষ ১৫-২০ শতাংশ চার্জ হতে সময় অনেক বেশি লাগে। এর প্রধান কারণ, স্মার্টফোনের লিথিয়াম ব্যাটারি। এ ধরনের ব্যাটারি বিদ্যুৎ–সংযোগে চার্জ হওয়ার একটি পূর্বনির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। প্রথম দিকে ব্যাটারিতে চার্জ কম থাকে। ফলে চার্জিংয়ের শুরুতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ভেতর চার্জশূন্য বিভিন্ন সেলে সহজেই স্থান করে নেয়। দ্রুত চার্জিং মানে উচ্চ চাপে বিদ্যুৎ প্রবাহ। ৮০-৮৫ শতাংশ চার্জ হয়ে গেলে পরবর্তী আয়নগুলো ব্যাটারির সেলগুলোতে স্থান খুঁজে নিতে বেশি সময় নেয়। এই সময় চার্জিত আয়নগুলোর স্থানসংকুলানের জন্য বিশেষ ধরনের…

Read More

পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি হঠাৎ থেমে গেলে যা হবে তা নিয়ে স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন তাদের ২০১৮ সালের অক্টোবর সংখ্যায় এ বিষয় নিয়ে লিখেছে। পৃথিবীর দুটি গতি ধরা হয়। একদিকে সে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। প্রায় ৩৬৫ দিনে সে একবার সূর্য প্রদক্ষিণ করে। অন্যদিকে সে নিজ অক্ষরেখার চারদিকে ২৪ ঘণ্টায় একবার করে ঘুরে আসছে। এটাই পৃথিবীর আহ্নিক গতি। এই আহ্নিক গতি নিয়েই কথা। এই গতি কিন্তু কম নয়। আমরা সেটা টের পাই না। কারণ, মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে পৃথিবী ঘুরছে তার ওপরের সবকিছু নিয়ে। পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে ঘুরছি আমরা সবাই। ঘরবাড়ি, গাছপালা এমনকি বাতাস সহ সবকিছু। বিষুবরেখা অঞ্চলে পৃথিবীর আহ্নিক গতি সবচেয়ে বেশি। ঘণ্টায় এক হাজার…

Read More

বছরের বেশির ভাগ সময় নীল আকাশের মধ্যে সাদা মেঘের উপস্থিতি দেখা গেলেও গ্রীষ্ম-বর্ষায় কিছুটা ভিন্নতা আসে। সাদা মেঘের বদলে হঠাৎ ঘন ধূসর বা কালোমেঘে ছেয়ে যায় পুরো আকাশ। তারপর বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে মাটিতে। প্রশ্ন হলো, বৃষ্টির আগে এই মেঘ দেখতে কেন ভিন্ন হয়? আমাদের চারপাশের বাতাসে প্রচুর পানি গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। একে বলা হয় জলীয়বাষ্প। মাটির কাছাকাছি এলে মাটির উত্তাপে বাতাস গরম ও হালকা হয়। ফলে হালকা বাতাস জলীয়বাষ্পসহ ধীরে ধীরে ওপরে উঠে যায়। বাতাস যত ওপরে ওঠে, তত ঠান্ডা হতে থাকে। কারণ বায়ুমণ্ডলের ওপরের মেঘ যে অঞ্চলে হয়, সেখানকার তাপমাত্রা কম থাকে না। বরং চাপ থাকে কম। এদিকে…

Read More

একটা বরফের টুকরা গরম করলে আয়তন না বেড়ে বরং কমতে থাকে। সাধারণত যেকোনো পদার্থকে তাপ দিলে প্রসারিত এবং ঠান্ডা করলে সংকুচিত হয়। ব্যতিক্রমের বিষয়ে পরে আলোচনা করা হচ্ছে। তাপে পদার্থের আয়তন বাড়ে কেন সেটা জানতে হবে। কারণ তাপে পদার্থের অণুগুলোর গড় গতিশক্তি (কাইনেটিক এনার্জি) বাড়তে থাকে। এর ফলে অণুগুলোর ছোটাছুটি বেড়ে যায়। একে অপরের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লাগে। এ জন্য অণুগুলোর মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়। তাই পদার্থের আয়তন বেড়ে যায়। বিপরীত প্রক্রিয়ায়, ঠান্ডা হলে গড় গতিশক্তি কমতে থাকে। অণুগুলো কাছাকাছি চলে আসে। পদার্থ সংকুচিত হয়। এখন পানির ব্যাপারটা কেমন হতে পারে? পানির তাপমাত্রার একটি নির্দিষ্ট পরিসীমায় এই নিয়ম মেনে চলে না।…

Read More

ব্ল্যাকহোল মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। এটির অপ্রতিরোধ্য মহাকর্ষীয় টান রয়েছে। এ ধরনের জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক বিশাল সৃষ্টি পুরো মহাকাশে বিরল। একই সাথে এই অবজেক্টে বেশ শক্তিশালীও বটে। এটি এতটাই শক্তিশালী যে আলো ব্ল্যাক হোলকে অতিক্রম করে যেতে পারে না। যখন কোন বস্তুকে ব্ল্যাকহোল দ্বারা গ্রাস করা হয় এটি পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায়। অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সময় এটি কোন ট্রেস বা সংকেত রেখে যায় না। সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে আপনি খালি চোখে ব্ল্যাকহোল দেখতে পারবেন না। যদিও এটি আকারে বেশ বৃহৎ। আশেপাশের বস্তুর উপর এটি যে প্রভাব বিস্তার করে সেখান থেকে ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব ভালোভাবে বোঝা সম্ভব। সবথেকে হালকা সাইজের ব্ল্যাকহোল সূর্যের ভরের…

Read More

২০২৪ সালে স্পোর্টস জগতের অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট হচ্ছে প্যারিস অলিম্পিক। এবারের অলিম্পিক আসরে অভিনব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে এবারের আয়োজন আগের থেকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে। কিছু উল্লেখযোগ্য টেকনোলজি নিয়ে এ আর্টিকেলে আলোচনা করা হচ্ছে। ব্রডকাস্টিং এবার ভিন্ন ধরনের টেকনোলজি ব্যবহার করে ব্রডকাস্টিং সিগনাল প্রেরণ করা হচ্ছে। এর ফলে অলিম্পিকার ব্রডকাস্টিং হয়েছে আগের থেকে অনেক বেশি স্মার্ট। ক্লাউড ভিত্তিক ব্রডকাস্টিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে বিধায় পাওয়ার এফিসিয়েন্সির ক্ষেত্রে বেশ সক্ষমতা অর্জন করা হয়েছে। তাছাড়া ফিজিক্যাল স্পেস খুব বেশি দরকার হচ্ছে না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবারের অলিম্পিক আসরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যত ব্যবহার লক্ষ্য করা যাবে তা আগের কোন আয়োজনে দেখা…

Read More

পরিচয় গোপন রেখে ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্বের বিবেচনায় ডার্ক ওয়েব সৃষ্টি হয়। যারা মনে করেন এটি শুধু খারাপ কাজে ব্যবহৃত হয় তারা ভুল ভাবছেন। ডার্ক ওয়েবের কিছু উপকারী দিক রয়েছে। এখানে এমন সাইট রয়েছে যা আপনি নিজের দরকারে ব্যবহার করতে পারেন। মেইল টু টর ই-মেইল আসলে সবচেয়ে কম নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর একটি। আপনার ইনবক্সের যাবতীয় বিষয়বস্তুর অ্যাক্সেস থাকে ই-মেইল প্রদানকারী সংস্থার কাছে। দেখবেন গুগল মাঝেমধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ক্যালেন্ডারে ভ্রমণের তথ্য, মিটিং এবং অন্যান্য ডায়েরি এন্ট্রি যোগ করে ফেলে, যেসব তথ্য তারা পেয়েছে আপনার ইনবক্স থেকে। মেইলটুটর একটি বিকল্প ইমেল প্রদানকারী মাধ্যম। এটি যে কাউকে ওয়েবমেইল বা অন্য কোনো ইমেল ক্লায়েন্টের মাধ্যমে…

Read More

প্রযুক্তির জগতে ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেট নিয়ে মানুষের যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে। ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে মানুষ মূলত যেটা ভাবে সবসময় সেটা সঠিক নয়। এ ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে হলে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। সাধারণত ডার্ক ওয়েব নিয়ে মানুষ যেসব ভুল ধারণা পোষণ করে থাকে তা নিয়ে আজকের আর্টিকেল এ আলোচনা করা হবে। মানুষ মনে করে ডার্ক ওয়েব শুধুমাত্র খারাপ কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। অনেকে এটাও ভাবেন যে অপরাধ সংগঠন করার দরকার হলে ডার্ক ওয়েব হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু ডার্ক ওয়েব আপনি অনেক ভাল কাজে ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন কনটেন্ট এরা নির্ভুলতা যাচাই করার জন্য ডার্ক ওয়েবের ব্যবহার করা…

Read More

অনেক সময় আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনে ফ্যাক্টরি রিসেট করার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে ফোনে কোন ত্রুটি দেখা দিলে অথবা ভাইরাসের সমস্যা হলে এটি বেশ উপকারে আসে। তাছাড়া সফটওয়্যার এর কোন বড় ধরনের সমস্যা হলে অথবা ম্যালওয়ার থেকে বাঁচার জন্য হলেও ফ্যাক্টরি রিসেট করার দরকার। আমাদের দেশে পুরনো ফোন অনেক বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। এ সময় আগের ফাইল সব মুছে ফেলার জন্য ফ্যাক্টরি রিসেট করার দরকার হয়। তবে তার আগে আপনাকে জানতে হবে এন্ড্রয়েড ফোনে কীভাবে সঠিক উপায়ে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হয়। সবার আগে আপনাকে ফোনের সেটিং অপশনে প্রবেশ করতে হবে। স্যামসাং, শাওমি, রেডমি, অপো অথবা অন্য যেকোনো ব্র্যান্ডের ফোন হোক না…

Read More

সাংহাইতে সম্প্রতি শেষ হলো মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস। চীনের ফাইভ-জি প্রযুক্তির বিকাশ ছিল এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ। এ আয়োজন চীনের টেলিকম বাজারের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে বিশ্বের বড় বড় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলো। ৫জি প্রযুক্তিতে চীন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী ফাইভ-জি স্টেশনের ৬০ শতাংশ এখন চীনের মধ্যে অবস্থিত। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের অর্ধেকের বেশি 5g ইউজ করে থাকে। ফাইভ-জি সিস্টেমে চলে আসা নতুন প্রযুক্তিগুলো ব্যবহারকারীদের উন্নত এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করবে। যেসব বিদেশী উদ্যোক্তা এখানে উপস্থিত ছিলেন তারা চীনের 5জির পরবর্তী ধাপ নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছেন। বিনিয়োগকারীরা ৫জি প্রযুক্তির নানা ফিচার দেখতে এসেছেন সাংহাইতে। প্রযুক্তি ও স্বাস্থ সহ নানা জায়গায় ৯৪ হাজার প্রযুক্তির 5g সিস্টেম এর ব্যবহার…

Read More

যারা স্যামসাং এর ওয়ান ইউআই ইন্টারফেসের আপগ্রেটেড সংস্করণ চাচ্ছিলেন তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। এটি ভার্সন সেভেনে আপগ্রেড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্যামসাং। এর ফলে ডিজাইন এবং এনিমেশনে বড় পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে। আপনি অবশ্যই আগের থেকে বিভিন্ন জায়গায় ডেভেলপমেন্ট আশা করতে পারেন। ICON REDESIGN আইকন ডিজাইনে এমন পরিবর্তন আসতে চলেছে যা পুরো ইন্টারফেস সিস্টেমকে ফ্রেশ লুক দিবে। নতুন আইকন আগের থেকেও বেশি মডার্ন এবং আকর্ষণীয় মনে হবে। SMOOTHER ANIMATIONS এনিমেশনে কিছু পরিবর্তনে ফোকাস করেছে স্যামসাং। Samsung এর অ্যানিমেশন সিস্টেম আগের থেকেও বেশি ন্যাচারাল এবং উপভোগ্য মনে হবে। এটির নেভিগেশন সিস্টেম আগের থেকেও বেশি স্মুথ হবে। PERFORMANCE IMPROVEMENTS নতুন ইউজার ইন্টারফেস সিস্টেম…

Read More