Author: Yousuf Parvez

Dedicated desk news writer with a sharp eye for breaking stories and a passion for delivering accurate, timely, and engaging content. Skilled in news research, fact-checking, and writing under tight deadlines, with a strong commitment to journalistic integrity and clarity.

মোবাইল ফটোগ্রাফারদের জন্য সুখবর। শিগগিরই দেশের বাজারে আসছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনারের নতুন ডিভাইস ‘অনার ২০০ এবং অনার ২০০ প্রো’। নতুন এই স্মার্টফোনে যুক্ত করা হয়েছে আইকনিক স্টুডিও হারকোর্ট ফিচার। যারা ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন তাদের জন্য অনার ২০০ সিরিজের স্মার্টফোনে থাকবে এই ফটোগ্রাফি স্টুডিও। প্রযুক্তিপ্রেমিদের জীবন সহজ ও সমৃদ্ধ করতে ডিজিটাল এবং মাল্টিমিডিয়ার নানা ধরনেরও অভিজ্ঞতা সরবরাহ নিশ্চিত করতেই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনারের নতুন এই ফটোগ্রাফি ফিচার সংযোজন। স্টুডিও হারকোর্ট সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা নেয়া যাক- স্টুডিও হারকোর্ট হলো একটি ফটোগ্রাফি স্টুডিও যা ১৯৩৩ সালে প্যারিসের রু ক্রিস্টোফ-কলম্বে ১১-এ কসেট হারকোর্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৪ সালে তিনি হারকোর্ট স্টুডিও খুঁজে পেতে ল্যাক্রোইক্স ভাই,…

Read More

নেক্সট জেনারেশন ফ্যালকন ক্যামেরা সিস্টেম, প্রিমিয়াম ডিজাইন, প্রিমিয়াম কোয়ালিটি আর পাওয়ারফুল পারফরমেন্স দিক থেকে খুব কম সময়ে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডদের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অনার। প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপের মধ্যে তরুণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে অনার এক ভরসার নাম- এমন তথ্য উঠে এসেছে বৈশ্বিক গবেষণা ও টেকনোলজি মার্কেট রিসার্চের সমীক্ষায়। গবেষণায় বলছে, তরুণদের মধ্যে স্মার্টফোনে ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি ও কনটেন্ট মেকিংয়ের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর সেই চাহিদা পূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনারের ম্যাজিক ৬ প্রো স্মার্টফোন। কারণ একটি স্মার্টফোনে যা যা থাকা প্রয়োজন তার সব কিছুই আছে এই স্মার্টফোনে। এক সময় স্মার্টফোনের ক্যামেরায় ছবি তোলা ছিল সবচেয়ে বড়…

Read More

রান্নার কাজে মাইক্রোওয়েভ ওভেন সারা বিশ্বেই বেশ জনপ্রিয়। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। দিন দিন এ দেশেও মাইক্রোওয়েভ ওভেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ওভেন দিয়ে খুব দ্রুত খাবার গরম করা সম্ভব। তাই এতে সময় ও শ্রম—দুটোই বাঁচে। সাধারণ ওভেনে খাবারের বাইরের অংশ গরম হয়। কিন্তু মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সুবিধা হচ্ছে, এটি খাবারের ভেতরেও গরম করে। মজার ব্যাপার হলো, এই জাদুকরী যন্ত্রটির আবিষ্কার অনেকটা আকস্মিকভাবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে রাডার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছিলেন মার্কিন প্রকৌশলী পারসি স্পেনসার। তিনি হঠাৎ খেয়াল করলেন, মাইক্রোওয়েভের কারণে তাঁর পকেটের চকলেট বার গলে গেছে। ফলে বুঝতে পারলেন, মাইক্রোওয়েভ দিয়ে কোনো বস্তুকে গরম করা সম্ভব। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে…

Read More

কোনো মানুষের হাতে বা গলায় স্টেথোস্কোপ দেখলেই আমরা বুঝে নিই, মানুষটি ডাক্তার। স্টেথোস্কোপ যন্ত্রটা যতটা ডাক্তার ও ডাক্তারির প্রতীক হয়ে উঠেছে, অন্য কোনো চিকিৎসাযন্ত্র ততটা নয়। একেবারে সব রোগের চিকিৎসাতেই যে স্টেথোস্কোপ লাগে, তা নয়; কিন্তু স্টেথোস্কোপ ছাড়া ডাক্তারকে কেমন যেন অসম্পূর্ণ মনে হয়। এই স্টেথোস্কোপ আসলে কী করে? এটা কানে লাগিয়ে ডাক্তাররা রোগীর শরীরের শব্দ শোনেন। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে বিভিন্ন ধরনের শব্দ বের হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস, হাঁচি, কাশি, নাক ডাকা কিংবা সশব্দে গন্ধবোমা নির্গমনের কথা বাদ দিলেও আমাদের হৃৎপিণ্ড যে শব্দ করে, সেই শব্দ শুনে ডাক্তাররা বুঝতে পারেন, সেখানে কোনো সমস্যা আছে কি না। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ,…

Read More

পরবর্তী প্রায় ৫০ বছর ধরে এ রকম কাঠের সিলিন্ডার আকৃতির স্টেথোস্কোপ চালু ছিল। ডাক্তার লাইনেক তাঁর স্টেথোস্কোপের সাহায্যে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের রোগের শব্দ অনুসন্ধান করেন এবং তা বই আকারে প্রকাশ করেন ১৮১৯ সালে। ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের রোগনির্ণয় ও চিকিৎসায় তাঁর এই বই ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের মাইলফলক। এরপর মাত্র সাত বছর বেঁচে ছিলেন ডাক্তার লাইনেক। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসা করতে করতে এবং যক্ষ্মা রোগ নিয়ে গবেষণা করতে করতে নিজেই যক্ষ্মা রোগের শিকার হলেন তিনি। ১৮২৬ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। লাইনেকের মৃত্যুর পর তাঁর স্টেথোস্কোপের বিভিন্ন ধরনের বিবর্তন ঘটেছে। ১৮২৮ সালে সিলিন্ডারের…

Read More

টাইম মেশিন মহাবিশ্বের মৌলিক একটি নীতির বিরুদ্ধে যায়। ফলাফলের আগে কারণ ঘটে। কখনোই উল্টোটা নয়। তা না হলে মহাবিশ্ব হতো বিশৃঙ্খল। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রয়েছে গ্যালাক্সির সবচেয়ে ভারী বস্তুগুলো। রয়েছে একটি সুপারম্যাসিভ বা অতিভারী কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাকহোল)। ভর চল্লিশ লক্ষ সূর্যের সমান, যে ভর কেন্দ্রীভূত আছে একটি মাত্র বিন্দুতে। এর খুব কাছ থেকে আলোও বের হতে পারে না। সময়কে সবচেয়ে বেশি বিকৃত করে কৃষ্ণগহ্বর। তৈরি করে প্রাকৃতিক টাইম মেশিন। কেউ মহাকাশযানে চেপে কৃষ্ণগহ্বর ভ্রমণে গেলেন। পৃথিবী থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১৬ মিনিটে একবার তিনি প্রদক্ষিণ করছেন কৃষ্ণগহ্বরটিকে। কিন্তু নভোচারী প্রতি ১৬ মিনিটের বদলে অনুভব করছেন মাত্র ৮ মিনিট। ফলে কৃষ্ণগহ্বর…

Read More

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের চা জায়গা করে নিয়েছে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে, যার মধ্যে অন্যতম হলো গ্রিন টি। মানবদেহে এর উপকারিতা ও ঔষধি গুণাগুণের জন্য দারুণ জনপ্রিয় সবুজ রংয়ের এই চা। একসময় চা বলতে শুধু দুধ চা–কেই বুঝত এ দেশিরা। এক গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত গ্রিন টি পান মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। এটি ওরাল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে কার্যকর। গ্রিন টি পানে দূর হয় ব্রণের সমস্যা। এতে থাকা ভিটামিন সি সর্দিকাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে। ওজন কমানোর গুণের জন্য জনপ্রিয় গ্রিন টি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই চা মেটাবলিজম বাড়িয়ে ফ্যাট…

Read More

১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। চাঁদের মাটিতে নীল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন যখন হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন, ঠিক তখন কমান্ড মডিউল কলাম্বিয়াকে চাঁদের কক্ষপথে চালিয়ে যাচ্ছেন পাইলট মাইকেল কলিন্স। তখন মহাকাশে তিনি একেবারেই নিঃসঙ্গ, একা। তাঁর এই আত্মত্যাগ—চাঁদের এত কাছে গিয়েও চাঁদে না নেমে ফিরে আসা, কমান্ড মডিউলের দেখভাল করা—এটাই বাকি দুজনকে চাঁদে নামার সুযোগ করে দিয়েছিল। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। চাঁদের মাটিতে নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন যখন হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন, ঠিক তখন কমান্ড মডিউল কলাম্বিয়াকে চাঁদের কক্ষপথে চালিয়ে যাচ্ছেন পাইলট মাইকেল কলিন্স। তখন মহাকাশে তিনি একেবারেই নিঃসঙ্গ, একা। ইগলে চেপে নীল ও বাজ কলাম্বিয়ার ফিরে আসার আগ পর্যন্ত চাঁদের চারপাশে ১২ বার…

Read More

সুস্থ চোখ ও প্রখর দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখার জন্য অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যথেষ্ট পরিমাণে আছে, এমন খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অন্য কথায়, আপনি যদি বয়স বাড়লেও চোখে স্পষ্টভাবে দেখার সম্ভাবনা বাড়াতে চান, তাহলে আপনার চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো খাবারগুলো বেছে নেওয়া উচিত। সবুজ শাকসবজি পালংশাক এবং অন্য শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে। যেমন লুটেইন ও জেক্সানথিন, যা চোখের ভেতরের ম্যাকুলার অবক্ষয় ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। বাদাম স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য বাদামকে অপরিহার্য খাবারগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ধরা হয়। বাদামে ওমেগা–৩, ভিটামিন বি ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। অন্যদিকে বাদামে সেলেনিয়াম ও জিংক রয়েছে। এ উপাদানগুলো চোখ সুস্থ রাখতে…

Read More

ধ্রুবতারা। রাতের আকাশের উত্তর দিকে তাকালে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়। যেন আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে। অনেকে আবার একে উত্তরের নক্ষত্র বা পোলারিস বলেন। আকাশ মেঘে ঢাকা না থাকলে বছরের যেকোনো সময় রাতের আকাশে একে দেখা যায়। সবসময় উত্তর দিকেই দেখবেন। কেউ ভাবতে পারেন, এই ধ্রুবতারা কি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে? এ এক রহস্য বটে! চলুন, সে রহস্যের জট খোলা যাক! ধ্রুবতারা হলো আরসা মাইনর নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত একটি পরিবর্তনশীল সেফিড বা বিষম তারা। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৪৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এই অবস্থান আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র সিরিয়াস থেকে প্রায় ৫২ গুণ দূরে। মূলত দূরত্বের কারণেই ধ্রুবতারাকে বেশি উজ্জ্বল…

Read More

শেষ অর্থবর্ষে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মার্কিন চিপ প্রস্তুতকারক সংস্থা ইন্টেল। এরপরই খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের চরম সিদ্ধান্ত। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের নামী সংস্থা ইন্টেলের দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে ক্ষতির সন্মুখীন হতে হয়েছে কোম্পানিকে, তাই শতকরা ১৫ শতাংশ কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইন্টেলে বর্তমানে ১ লক্ষ ২৪ হাজার কর্মী রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ শতাশ ছাঁটাই মানে প্রায় ১৮ হাজার কর্মীকে সরানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন খবরে সকলের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। কোন কোন কর্মীর কপাল পুড়তে চলেছে সেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন অনেকে। ইন্টেল জানিয়েছে, এই বছরে তাদের ২০ বিলিয়ন ডলার খরচ কমানোর…

Read More

দেহের বৃদ্ধি শুধু কোষ বিভাজনের জন্য হয় না। আর দ্বিতীয়ত, কোষ বিভাজন শরীরের ডিএনএর বেশ কিছু জিনের কোড অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারণত মানুষের দেহের বৃদ্ধি ঘটে ২০–২৫ বছর পর্যন্ত। হাড়ের গ্রোথ প্লেটের বৃদ্ধির মাধ্যমে দেহের বৃদ্ধি ঘটে। ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সের পর এই বৃদ্ধি আর ঘটে না। তবে হাড়ের বা শরীরের কোনো অংশের সেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন সেল বিভাজন বা গ্রোথ প্লেটের বৃদ্ধি ঘটে। কোষ বিভাজন জন্মের প্রথম কয়েক বছর প্রয়োজনীয় মাত্রায় চলতে থাকে। তবে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে শরীরের কোন অঙ্গ বা পেশি কতটা বাড়বে, তা জেনেটিক কোডে নির্ধারিত থাকে। সে অনুযায়ী কোষ বিভাজন অব্যাহত থাকে।…

Read More

আপনার ল্যাপটপে চার্জ কম। এ অবস্থায় জরুরি কাজ করতে হবে। তাই চার্জিংয়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে একই সঙ্গে ল্যাপটপে কাজ করছেন। প্রশ্ন হলো, এতে কি ল্যাপটপের ক্ষতি হতে পারে? কারণ একই সঙ্গে এর ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে সরাসরি বিদ্যুৎ–প্লাগ সংযোগে, আবার ল্যাপটপ চলছে সেই ব্যাটারির শক্তিতে। ল্যাপটপের একদিকে চার্জিং চলছে আবার চার্জ ব্যবহার করে কাজও চলছে। এ দুইয়ের মধ্যে অসংগতি বা বিরোধ আছে কি না? মনে হতে পারে, এতে ব্যাটারির ক্ষতি হবে। কিন্তু আসলে তা নয়, খুব বেশি ক্ষতি সাধারণত হয় না। আধুনিক ল্যাপটপ এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন পুরো চার্জ হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরাসরি চার্জিং বন্ধ থাকে। আবার চার্জ কমে…

Read More

কোনো বস্তুর তাপমাত্রা বাড়ে, যখন তার ভেতরের অণু–পরমাণুগুলোর গতি বাড়ে। কণাগুলো শক্তি অর্জন করলে তাদের গতি বাড়ে, ফলে শক্তি আরও বাড়ে। এর ফলে কণাগুলোর গতি আরও বাড়ে। এভাবে ওই বস্তু আরও শক্তি অর্জন করে। এর সামগ্রিক ফলাফল হলো তাপমাত্রা বৃদ্ধি। যেমন ধরা যাক, চুলার আগুনে এক বাটি পানি সেদ্ধ করছি। তাপে পানির কণাগুলোর গতি বাড়তে থাকে এবং পানির তাপমাত্রাও বাড়ে। এটা না হয় আগুনের তাপে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধির উদাহরণ। মনে হতে পারে আগুনের তাপে তো পানির তাপমাত্রা বাড়বেই। তাহলে মাইক্রো ওভেনের উদাহরণ নেওয়া যাক। এক কাপ পানি মাইক্রো ওভেনে রাখলে ওভেন থেকে কিছু ইলেকট্রন পানির ভেতরের কণাগুলোর মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি…

Read More

বুধের পৃষ্ঠ প্রায় পৃথিবীর চাঁদের পৃষ্ঠের মতোই। উল্কা ও ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ক্ষতবিক্ষত। আছে প্রচুর গর্ত। বুধের পৃষ্ঠের বেশির ভাগ আমাদের চোখে ধূসর-বাদামী রঙের দেখায়। গ্রহটির গায়ে উজ্জ্বল রেখাগুলো মূলত ‘ক্রেটার রশ্মি’। গ্রহাণু বা ধূমকেতু বুধের পৃষ্ঠে আঘাত করলে এ রশ্মি তৈরি হয়। এর প্রভাবে নির্গত হয় বিপুল শক্তি। পৃষ্ঠে তৈরি হয় বড় আকারের গর্ত। বুধের উত্তর মেরুতে বরফ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ মেরুতে আছে বিশাল গর্ত। স্থায়ীভাবে সেখানে ছায়া থাকে। এই ছায়া অংশে বরফ জমে থাকতে পারে। বুধে বায়ুমণ্ডল নেই। তার আছে একটি পাতলা এক্সোস্ফিয়ার বা বহিঃমণ্ডল। সৌরবায়ু এবং উল্কা পতনের ফলে পৃষ্ঠ থেকে বিস্ফোরিত পরমাণু দিয়ে গঠিত…

Read More

বুধের পরিবেশ জীবনের উপযোগী নয়। তাপমাত্রা ও সৌরবিকিরণের কারণে এ গ্রহে টিকে থাকা অসম্ভব। এর ব্যাসার্ধ ২ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার। পৃথিবীর প্রস্থের তিন ভাগের এক ভাগ থেকে একটু বেশি। সূর্য থেকে বুধের গড় দূরত্ব ৫ কোটি ৭ লাখ কিলোমিটার। এই দূরত্ব পাড়ি দিতে আলোর সময় লাগে মাত্র ৩ মিনিট ২ সেকেন্ড। পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে আছে। আর বুধ সূর্যের চারপাশে নিজের কক্ষপথের সমতলের সাপেক্ষে হেলে রয়েছে মাত্র ২ ডিগ্রি কোণে। ফলে এটি প্রায় পুরো সোজা হয়ে ঘোরে। তাই অন্য অনেক গ্রহে যেমন ঋতু আছে, তেমন ঋতু দেখা যায় না বুধে। বুধের কোনো চাঁদ নেই। নেই চারপাশে…

Read More

সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধের অবস্থান সূর্যের সবচেয়ে কাছে। আকৃতিতে পৃথিবীর চাঁদের চেয়ে সামান্য বড়। বুধের পৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে পৃথিবীকে দেখলে মনে হবে, পৃথিবী বুঝি সূর্যের চেয়ে তিন গুণ বড়! আর সূর্যের আলো তখন সাত গুণ বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। অবস্থানের কারণে গ্রহটির তাপমাত্রা খুব গরম, আবার খুব ঠান্ডা হতে পারে। দিনে এর তাপমাত্রা হয় প্রায় ৪৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার রাতে তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কারণ, তাপ ধরে রাখার জন্য গ্রহটিতে কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। সূর্যের কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও বুধ সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রহ নয়। সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রহ শুক্র। কারণ শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডল ঘন। বুধ ঘুরছে অতি দ্রুত গতিতে। তবে…

Read More

পৃথিবী থেকে কোনো কিছু ওপরের দিকে ছুড়লে তা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে নিচের দিকে নেমে আসে বা পড়ে যায়। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলকে অতিক্রম করে যেতে পারলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসবে না। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল অতিক্রম করে যেতে হলে পৃথিবী থেকে ছুড়ে দেওয়া বস্তুর বেগ হতে হবে পৃথিবীর মুক্তিবেগ বা স্কেপ ভেলোসিটির চেয়ে বেশি। পৃথিবীর মুক্তিবেগ হলো সেকেন্ডে ১১ দশমিক ২ কিলোমিটার বা ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৩২০ কিলোমিটার। যে স্যাটেলাইটগুলো একেবারে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ পার হয়ে মহাশূন্যে স্থাপন করা হয়, সেগুলোকে রকেটের সাহায্যে ঘণ্টায় প্রায় ৪১ হাজার কিলোমিটার গতিতে উৎক্ষেপণ করা হয়। যেসব স্যাটেলাইট আমাদের পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকে, সেগুলো আমাদের পৃথিবীর…

Read More

সৌরজগৎ এর কাজ শেষ করে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের আরও পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরিতে বিজ্ঞানীদের ক্যামেরাটি সাহায্য করবে। ছোট, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিভিন্ন বস্তুর যে স্পষ্ট ছবি তোলার ক্ষমতা এলএসএসটির আছে, আগের কোনো টেলিস্কোপেরই তা ছিল না। এ থেকে মিল্কিওয়ের সৃষ্টি ও গঠনের ব্যাপারে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। এর সাহায্যে পৃথিবী থেকেই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির আনুমানিক ১৭ বিলিয়ন নক্ষত্রের বিশাল মানচিত্র তৈরি করা সম্ভব হবে। ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (NSF) প্রকল্পটির জন্য তহবিলের অনুমোদন দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি এ ক্যামেরা নির্মাণে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে। এটি পরিচালিত হবে…

Read More

দুনিয়ার বৃহত্তম অসাধারণ এলএসএসটি ক্যামেরা ক্যামেরার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হলো ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া। মহাবিশ্বের মোট ভরের প্রায় ৮৫ শতাংশ এই ডার্ক ম্যাটার বা গুপ্ত বস্তু। অর্থাৎ অজানা ভর। যে ভরের কথা আমরা জানি, পরোক্ষভাবে এর প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে প্রত্যক্ষভাবে আজও এর সন্ধান মেলেনি। রুবিন অবজারভেটরির প্রকল্পের নির্মাণ পরিচালক জেলকো ইভেজিচ (Željko Ivezić) বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও রাতের আকাশের সবচেয়ে তথ্যপূর্ণ মানচিত্র তৈরি করতে সক্ষম এই ক্যামেরাটি।’ এলএসএসটির মোট চারটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আছে। ডার্ক ম্যাটার বা গুপ্ত বস্তুর সন্ধানের পাশাপাশি এর দ্বিতীয় কাজ, মহাবিশ্বের বিভিন্ন বস্তুর আরও পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে সাহায্য করা। ৯৬৪ সালে পারস্যের…

Read More

একটি টেলিস্কোপকে বোঝার জন্য তিনটি জিনিস ভালোভাবে বোঝা লাগবে। এক, মিরর সিস্টেম; দুই, ফিল্ড অব ভিউ এবং তিন, ক্যামেরা। মোট তিনটি আয়না নিয়ে গড়ে উঠেছে এলএসএসটি ক্যামেরার সম্পূর্ণ থ্রি-মিরর সিস্টেম। এটা মূলত ‘পল-বেকার থ্রি-মিরর অ্যানাস্টিগম্যাট’ নামে একধরনের ব্যবস্থার ওপর নির্মিত। ফলে এক বা দুই আয়নার টেলিস্কোপের চেয়ে অনেক স্পষ্ট ও অবিকৃত ছবি পাওয়া যাবে। এখানে প্রথম ও তৃতীয় আয়নাটি মূলত একটি কাচ দিয়েই তৈরি। ফলে এর মোট দৈর্ঘ্য আর অযথা বাড়েনি। তারপরও এর আয়নাগুলোর সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য হয়েছে ৮.৩ মিটার। মানে পুরো একটি টেনিস কোর্টের সমান! এটি ব্যবহার করে আকাশের ৩.৫ ডিগ্রিজুড়ে ছবি তুলতে পারবে এলএসএসটি। এই ফিল্ড অব ভিউটা কত…

Read More

শেষ হলো দীর্ঘ অপেক্ষা! দুই দশকের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অবশেষে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী ক্যামেরার কাজ শেষ করেছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের জন্য এ ডিজিটাল ক্যামেরা তৈরি করা হয়েছে। লিগ্যাসি সার্ভে অব স্পেস অ্যান্ড টাইম বা এলএসএসটি (LSST) নামের অসাধারণ এ যন্ত্র আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এলএসএসটি ক্যামেরার নির্মাণ কেবল একটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, বরং মহাবিশ্ব অন্বেষণের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী এক ঘটনা। যেহেতু এটি মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্যামেরা, তাই এর সাহায্যে মহাকাশের এত দূরের বস্তুও দেখা যাবে, যা আগে কখনো আমরা দেখতে পাইনি। ৩ হাজার ২০০ মেগাপিক্সেল বা ৩.২ গিগাপিক্সেল রেজ্যুলুশনের…

Read More

গঙ্গাফড়িং একটু বড় ধরনের, সুন্দর রঙিন দেখতে একধরনের পতঙ্গ। একে সংক্ষেপে ফড়িংও বলা হয়। এর দুই পাশে দুটি করে চারটি পাখা। মাথা একটু বড় এবং সে চারপাশে মাথা ঘুরিয়ে দেখতে পারে। তা ছাড়া এর পুঞ্জীভূত চোখ একই সঙ্গে ৩৬০ ডিগ্রি কোণে, অর্থাৎ চারদিক দেখতে পারে। এর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাও অনেক বেশি। প্রশ্ন হলো, একে খুঁজে বের করা কঠিন কেন। এখানে বলা দরকার, সাধারণত বাগানে বা বনের ঝোপঝাড়ে গঙ্গাফড়িং দেখা যায়। অবশ্য আজকাল নগরায়ণ বাড়ছে। বন ও ঝোপঝাড় কেটে লোকালয় ও শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও প্রাণিজগতে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে। তাই অনেক পতঙ্গ প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই…

Read More

কোন বস্তুর পক্ষে আসলে আলোর গতিতে চলা সম্ভব না। কাজেই ৫০০ ফুট তো দূরের কথা, আপনি ১ ফুটও আলোর গতিতে চলতে পারবেন না। আলোর গতিতে চলাচল করতে পারে কেবল ফোটন। ফোটন হচ্ছে আলোর কণা। স্থির অবস্থায় এর ভর শূন্য। ব্যাপারটা আপেক্ষিক ভরবেগের সমীকরণ থেকে ব্যাখ্যা করা যায়। এখানে p হচ্ছে কোন একটা বস্তুর আপেক্ষিক ভরবেগ, m0 হচ্ছে স্থির অবস্থায় বস্তুটির ভর এবং v হচ্ছে বস্তুটির বেগ। সমীকরণটি থেকে বোঝা যাচ্ছে, বস্তুটির বেগ (v) যদি আলোর বেগের (c) সমান হয়, তাহলে বস্তুটির আপেক্ষিক ভরবেগ (p) কিন্তু অনির্ণেয় হয়ে যাবে। আর বস্তুটির বেগ যদি আলোর বেগ থেকে বেশি হয়, তাহলে ভরবেগ দাঁড়াবে একটি…

Read More