জুমবাংলা ডেস্ক : গোত্রের এক প্রকার মিঠা পানির মাছ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাচীনতম মাছ। বাংলাদেশে এই মাছ খাল, বিল, নদী-নালা, হাওড়-বাওড়-এর তলদেশে বাস করে। তবে উপকূলীয় অঞ্চলের অল্প লবণাক্ত পানিতে বাস করতে পারে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোচীন, ফিলিপাইন, হংকং, দক্ষিণ চীন এবং ইন্দোনেশিয়াতে পাওয়া যায়।
বর্তমানে এই মাছের বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। এই মাছ কখনো কখনো ধান ক্ষেতের কর্দমাক্ত বাস করে। গ্রীষ্মকালে পানি শুকিয়ে গেলে, জলাশয়ের তলদেশের কাদায় বা গর্তের মধ্যেও বাস করে। এই মাছ মাটির উপর দিয়ে বুকের পাখনা ব্যবহার করে সাপের মতো এঁকেবেঁকে চলাচল করতে পারে। এই কারণে, পাশ্চাত্যে এই মাছকে walking catfish বলা হয়। এই মাছের অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে
বাতাস থেকে শ্বাস নিতে পারে। মাগুর মাছের দৈহিক গড়ন শিং মাছের মতো। তবে এদের মাথা শিং মাছের চেয়ে বেশ বড়। এদের দেহ লম্বা। আকারে সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। দেহাংশের সামনের দিকে লম্বা নলাকার কিন্তু
পিছনের দিক চ্যাপটা। মাথা উপরে ও নিচে চ্যাপ্টা। মুখে ৪ জোড়া লম্বা শুঁড় আছে। পূর্ণবয়স্ক মাছের গায়ের রং বাদামী অথবা ধূসর কালো। ছোট অবস্থায় লাল থাকে। এদের দেহে কোনো আঁশ নেই। এদের পৃষ্ঠপাখনা এবং
পায়ুপাখনা লম্বা। পৃষ্ঠপাখনায় কোনো কাঁটা থাকে না। বক্ষপাখনা কাঁটা আছে এবং এর ভিতরের দিকটা করাতের কাঁটাযুক্ত। পায়ুপাখনা বেশ লম্বা এবং পুচ্ছ পাখনা গোলাকার। এদের ফুলকার পৃষ্ঠদেশে একটি বায়ু থলি আছে। এই থলিটি পিঠের নিচ দিয়ে লেজ পর্যন্ত বিস্তৃত।
এই থলি থাকার কারণে এরা দীর্ঘ সময় পানির উপরে জীবিত থাকতে পারে। মূলত এই থলি জাতীয় অতিরিক্ত শ্বসন অঙ্গ দ্বারা বাতাস থেকে সরসারি অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে। মাগুর মাছের বায়ু শোষক এই অঙ্গকে বলা হয় আরবোরিসেন্ট অঙ্গ। পুরুষ মাছের দেহে বলয় দেখা যায়। স্ত্রী মাছের দেহে বলয় নেই।
শিং মাছের মতো এই মাছও সাধারণত রাক্ষুসে। এরা বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়, মাছে পোনা, জলজ প্রাণীর শূককীট বা মূককীট, জলদ উদ্ভিদ, প্রোটোজোয়া, শামুক ঝিনুক, কাদা, বালি ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে।
সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি সোস্যাল মিডিয়ায় আসার সাথে সাথে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটি টি আপনারা নিচে গেলেই দেখতে পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।