বিনোদন ডেস্ক : অভিনেতা হিসেবে তিনি আগেই পরীক্ষিত ছিলেন; তবে উপস্থাপনায় নিয়মিত ছিলেন। গেল বছর রায়হান রাফী ‘৭ নাম্বার ফ্লোর’-এ দারুণভাবে কামব্যাক করেছিলেন। নতুন করে আবারও অভিনয় পরীক্ষায় লেটার মার্কস পেলেন অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। সদ্য মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’-তে তার অভিনয় সর্বমহলে দারুণ প্রশংসিত হচ্ছে।
গল্পের সেলিম মাদক চোরাকারবারী সুলতানা (আজমেরী বাঁধন)-এর স্বামী। স্টোরি ডিম্যান্ড অনুযায়ী তার চরিত্র যেমন হওয়া উচিত, জয় ঠিক তেমনভাবেই ধরা দিয়েছেন ‘গুটি’ ওয়েব সিরিজে। শুরু থেকেই তার সাবলীল অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। অভিনয় এক্সপ্রেশন, সংলাপ ডেলিভারী, স্যান্ডু গেঞ্জি ও লুঙ্গি পরে মাঝেমধ্যে কুঁচকি চুলকানো সবকিছুতে তার উপস্থিতি নজড় কেড়েছে। ‘গুটি’ দেখে মনে হয়েছে, জয় এই সিরিজে সেলিম চরিত্রে চমৎকারভাবে মিশে গেছেন। দর্শক বলছেন, নির্মাতা শঙ্খদাশ গুপ্তের পারফেক্ট চয়েজই ছিলেন জয়।
দর্শকরাও বলছেন, গত ১০ বছর অভিনেতা জয় হারিয়ে গিয়েছিলেন। তবে পরিচালক রায়হান রাফী ও শঙ্খদাশ তাকে দুর্দান্ত কামব্যাক করালেন।
জয় বলেন, কিশোরকাল থেকে অভিনয় করি, আমার রক্তে অভিনয় মিশে আছে। এ কাজের আদ্যোপান্ত মোটামুটি জানি। আমাকে ব্যবহারে যারা অপারগ ব্যর্থতা তাদের। যারা আমাকে ব্যবহার করছেন তারা আসলেই কৃতিত্বের দাবীবার। অভিনয়টা আমি জানি, তাই আমাকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব নির্মাতাদের। পরপর দুইবার নিজেকে অভিনেতা হিসেবে প্রমাণ দিলাম। এখন নির্মাতা যদি মনে করেন আমাকে আরও ইউজ করতে পারেন।
দর্শকদের কথা, জয় তার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা অভিনয় করেছেন, অভিনয়ে তার আবার নিয়মিত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, নিয়মিত অভিনয়ে ফেরা উচিত নাকি অনুচিত এটা নির্ভর করে প্রডাকশন হাউজ এবং নির্মাতাদের উপর। আমি মনে করি, এর চেয়েও বেস্ট অভিনয় করার ক্ষমতা রাখি। নিজেকে নতুন করে প্রমাণ দেয়ার জন্য ‘৭ নাম্বার ফ্লোর’ ও ‘গুটি’ এই দুটি কাজই যথেষ্ট! আমাকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব নির্মাণে জড়িতদের।
শাহরিয়ার নাজিম জয় বলেন, আমি সবসময় অভিনয়টা ধারণ করেছি। কিন্তু তখন আমাকে অভিনয়ে কেউ ডাকেনি বিধায় শিফট করে উপস্থাপনায় যাই। সেখানে সফল হয়েছি। তাই এই মাধ্যমে আমার কমিটমেন্ট ও ব্যস্ততা আছে। তাই ৩০দিন অভিনয় করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তবে যে কাজটি করবো সেটা সিগনেচ্যার কাজ হবে এটা গ্যারান্টেড। কারণ, এখন আমি যে কাজটি করবো জেনে বুঝেই করবো। কাজটি ভালো হবে এটা দৃঢ় বিশ্বাস।
গুটির দর্শক ফিডব্যাক প্রসঙ্গে জনপ্রিয় এ অভিনেতা বলেন, যখন প্রথম প্রথম নাটকে অভিনয় করতাম তখন নাটক প্রচার হলে প্রচুর ফোন, মেসেজ পেতাম। অনেক বছর অভিনয়ের জন্য আবার ফোন বা মেসেজ পাইনি। ওটিটিতে কাজ করে বলতে গেলে অভিনয় অঙ্গনে আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। সেই পুরনো দিনের মতো মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। সত্যি বলতে আমি আশাই করিনি এতোটা প্রশংসা পাবো। এমন সাড়ায় আমি এক কথায় মুগ্ধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।