জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আওয়ামী লীগের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়টি। তবে কার্যালয়টিতে এখন বাকরখানির দোকান বসানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেলগেট এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনের অংশে দোকান বসিয়ে বাকরখানি বানানো ও বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২ জন কর্মচারী বাকরখানি বানাচ্ছেন, অপরজন বাকরখানি বিক্রি করছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দেওয়ালগুলো ময়লা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। মাদকাসক্ত ও উচ্ছৃঙ্খল লোকদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে স্থানটি। এছাড়া কার্যালয়ের চারদিকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে দোকান বাসিয়ে বাকরখানি বিক্রি করা হচ্ছে।
দোকানের কারিগর মনা মিয়া জানান, ‘সুমন ও জুম্মান মিয়া গত ৪ দিন ধরে এখানে দোকান বসিয়েছে, তারা ২ জন আমাদের দোকানের মালিক। আমরা শুধুমাত্র দোকানের কারিগর। আমিসহ তিনজন দোকানে কাজ করি। আমাদের প্রত্যেককে সাড়ে ৩শ’ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অংকের দৈনিক মজুরি দেওয়া হয়।
প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার বাকর খানি তৈরি এবং প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার বাকরখানি বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে পাশের দোকানদাররা জানান, আওয়ামী লীগ অফিস পরিত্যক্ত থাকার কারণে মাদকসেবীদের আড্ডা খানা ছিল, এখন বাকরখানি দোকান হয়েছে।
গত ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের নেতারা কেউ প্রকাশ্যে নেই। এই সুযোগে অনেক ঘটনা ঘটেছে। অফিসের ভেতরের সব কিছু লুটপাট ও চুরি করে নিয়ে গেছে। এরপর কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা এসে টিন দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার দুটি মুখ বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে সম্প্রতি এখানে বাকরখানির দোকান বসানো হয়েছে।
দোকানের মালিক মো. সুমন ও জুম্মান মিয়া জানান, আগে থান কাপড়ের ব্যবসা করতাম, ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো না। অনেকদিন ধরে অফিসটি পরিত্যক্ত, মাদকসেবিদের আড্ডাখানা ছিল। ময়লা আবর্জনা দিয়ে নোংরা অবস্থায় ছিল। সেই ময়লা পরিষ্কার করে এখানে দোকান বসিয়ে দিয়েছি। আমরা চারজন মিলে ২ লাখ টাকা দিয়ে এই বাকরখানির দোকান চালু করি, যদি কারো প্রয়োজন হয় আওয়ামী লীগ অফিসটি তাহলে আমরা সাথে সাথে দোকান উঠিয়ে নিব।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পর গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কার্যালয়টি ফের ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।
সেই থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।