সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে চাঁদাবাজি ও অবৈধ টাকা ভাগবাটোয়ারার ফাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ফাইল সরিয়ে নেয়ার সময় জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদের ভাগ্নে পরিচয়দানকারী এক যুবককে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বেলা ১২ টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে ওই ফাইলপত্রসহ সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দেয়া হয়।
আটককৃত ওই যুবকের নাম মামুন মিয়া। তার বাড়ি সদর উপজেলার জাগির ইউনিয়নের ঢাকুলি গ্রামে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুরে বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত জাহিদ টাওয়ারে পরিবহন সমিতির অফিস থেকে মামুন কয়েক বস্তা ফাইলপত্র একটি অটোবাইকে করে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় রাস্তায় ট্রাফিকিং এর দায়িত্বে থাকা রবিউল, মেহেদী, মিশুক, নুর মোহাম্মদসহ কয়েকজন ছাত্র তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই সময় মামুন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এলোমেলো কথা বলতে থাকে। পরে ছাত্ররা তাকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে মামুন জাহিদের ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে জানায় জাহিদই তাকে ওই সমস্ত ফাইলপত্র বাসায় পৌছে দিতে বলেছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির বিভিন্ন নথি ছিল ওই ফাইলপত্রে। সেগুলোকে গায়েব করার জন্যই কৌশলে মামুনকে দিয়ে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন জাহিদ।
বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাহিদ টাওয়ারে ছিল জেলা পরিবহন মালিক সমিতির অফিস। সমিতির সভাপতি ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি পরিবহন সেক্টরে থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ছিলেন। সরকার পদত্যাগের পর তিনি পলাতক রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।