জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মিরপুরে একটি মার্কেটের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থী হওয়ায় তা স্থগিত করেছে ছাত্রজনতা।
মিরপুর-১ নম্বর মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সে শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যাওয়া ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ভাষানটেক থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জলিলুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মিরপুর-১ নম্বর মুক্ত বাংলা মার্কেটের ‘মুক্ত বাংলা বহুমুখী কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের’ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়।
ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়া শুরু করেন। দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি) ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে এসে জানেন নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা ও মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। এছাড়া তিনি ছাত্র হত্যা মামলারও আসামি।
একজন ছাত্র হত্যা মামলার আসামি কীভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করল; এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মার্কেট কমিটির জুম্মন ও জলিলুর রহমানের লোকজনের সঙ্গে ছাত্রদের বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী দুটি পরিষদ, ছাত্র ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে সরিয়ে দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করে।
শাহআলী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, নির্বাচনে হট্টগোলের খবর শুনে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু কোনো আসামি পাওয়া যায়নি। সমবায় অধিদপ্তরের লোকজন এসে নির্বাচন বন্ধ করেছে শুনেছি। আমাদের নির্বাচন বন্ধ করার এখতিয়ার নেই।
ভাষানটেক থানার ওসি শাহ মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, শনিবার শাহআলী থানার সহযোগিতায় জলিলুর রহমান নামে ছাত্রহত্যা মামলার এক আসামিকে মিরপুর-১ থেকে আটক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।