জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর দেশে কোনো সরকার ছিল না। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ কায়েম করে সরকারের আবরণে একটি রেজিম দেশবাসীর ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। তারা গুম-খুন চালিয়েছে। তারা মানুষের ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা হরণ করেছিল। তাই তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। দেশের মানুষ তাদের গুম-খুনের রাজনীতি করতে দেবে না।
রোববার (২৪ মার্চ) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের নিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি মহল বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে। দেশের মানুষের হৃদয়ে শহীদ জিয়া ও জিয়া পরিবারের নাম গেঁথে আছে। মানুষের হৃদয় থেকে জিয়া পরিবারের মান মুছে দেওয়া যাবে না।
হাবিব বলেন, একটি পক্ষ বলছে, আমরা নাকি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাই। তাদের মনে রাখা প্রয়োজন আওয়ামী লীগের রেজিমে বিএনপি সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। আমাদের নেত্রী কারাগারে ছিলেন, আমাদের নেতা দেশে আসতে পারেননি; আমরা কারাগারে গেছি, রিমান্ডে গেছি, আর আপনারা আমাদের সমালোচনা করেন?
গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মুশিকুর রহমান মুহির সভাপতিত্বে, সিলেট জেলা বিএনপিরসহ সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল ও গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী ও ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করব, মহান রব যেন আমাদের প্রিয় নেত্রীকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যেন দ্রুত দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেন।
আয়োজক হিসেবে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারবাসী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে এই উপজেলার মানুষ জীবন দিয়েছেন। এই অঞ্চলের মানুষ তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। আগামী নির্বাচনে মানুষ ধানের শীষকে বিজয়ী করে এই আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দেবেন ইনশাআল্লাহ।
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মঈনুদ্দিন সুহেল, জিয়া ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য ডা. শফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, আনোয়ার হোসেন মানিক, মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, মহানগর জজ আদালতের পিপি বদরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের এডিশনাল পিপি মোস্তাক আহমদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জল, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ প্রমুখ। দোয়া মাহফিলের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা হুমাইয়ুন রশীদ মোহন।
ইফতারের পূর্বমুহূর্তে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত সকল যোদ্ধাদের সুস্থতা কামনা এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।