বিনোদন ডেস্ক : ১৯৯৪ সালে ‘বিশ্ব সুন্দরী’ খেতাব জিতেছিলেন বলি সুন্দরী ঐশ্বর্য রাই। সেই সঙ্গেই সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি। তবে ভারতে কিন্তু বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার আগেই তারকা হয়ে গিয়েছিলেন অ্যাশ। সৌজন্যে একটি বিজ্ঞাপন। ১৯৯৩ সালে সম্প্রচারিত হওয়া একটি পেপসির বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই রাতারাতি সারা দেশে জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আইকনিক সেই বিজ্ঞাপনে অবশ্য শুধুমাত্র ঐশ্বর্যই নন, অভিনয় করেছিলেন বলিউডের দুই জনপ্রিয় তারকা আমির খান এবং মহিমা চৌধুরীও। তবে ঐশ্বর্য যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তার ধারেকাছেও যেতে পারেননি আমির-মহিমা। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনে ঐশ্বর্যের সঞ্জনা নামটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল যে অনেকে তো নিজেদের মেয়ের নামও সঞ্জনা রেখেছিলেন।
১৯৯৩ সালের সেই বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল, নিজের বাড়িতে বসে একা একা দাবা খেলছেন আমির। এরপর বেল বাজার শব্দ পেয়ে গেট খুলে দেখেন তাঁর সুন্দরী প্রতিবেশী মহিমা বাইরে দাঁড়িয়ে। সে এসে আমিরকে এক বোতল পেপসি এনে দেওয়ার কথা বলেন।
সুন্দরী প্রতিবেশীকে ইমপ্রেস করার জন্য বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আমির পেপসি আনতে বেরিয়ে যান। অনেক কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত এক বোতল পেপসি নিয়ে আসেন তিনি। এরপর তিনি বাড়ি আসার পর ফের বাড়ির বেল বাজে। যা শুনে মহিমা বলেন, ‘এটা নিশ্চয়ই সঞ্জু’। দরজা খোলামাত্রই ঐশ্বর্যের এন্ট্রি হয়। ঘরে ঢুকে তিনি বলেন, ‘হাই, আমি সঞ্জনা। আরেকটা পেপসি আছে?’
মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। এর পরের বছরই ‘বিশ্ব সুন্দরী’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন অ্যাশ। যদিও তখন অনেকে বলেছিলেন, ইতিমধ্যেই ঐশ্বর্য যে পরিমাণ জনপ্রিয়, তাঁর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা একেবারেই উচিত হয়নি।
সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ঐশ্বর্যের সেই আইকনিক বিজ্ঞাপনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে ফের অভিনেত্রীর সৌজন্যে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন যেমন সেখানে কমেন্ট করেছেন, ‘মাত্র ৩ সেকেন্ডে সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপনটি ঐশ্বর্য চুরি করে নিলেন’। আর একজন আবার লিখেছেন, ‘এই দৃশ্যটিই ওনাকে রাতারাতি সারা ভারতে জনপ্রিয় করে দিয়েছিল’।
ঐশ্বর্যের আগামী প্রোজেক্টের নিরিখে বলা হলে, অভিনেত্রীকে এরপর ৫০০ কোটির ‘পোন্নিয়িন সেলভান ১’এ দেখা যাবে। সেই সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে বলি সুন্দরীকে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সেই ছবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।