জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের ধেররা পাইকারি মাছ বাজারে আশপাশের জেলা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে দেশি নানা প্রজাতির মাছের সরবরাহ হয়। তাই ভোররাত থেকেই শুরু হয় মাছ বেচাকেনা।
আর শেষ হয় ভোরের আলো ফোটার আগেই। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাজারটি থাকে বেশ সরগরম। তারপর সেই মাছ চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বাজারে। বিক্রেতারা বলছে, মাত্র ৩ ঘণ্টার বাজারে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে এ বাজারে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চোখ ফেরাতে হ্যান্ড মাইকে আওয়াজ তুলছেন বিক্রেতা। তাই সবার চোখ তার দিকে। আর এভাবে শুরু হয় ধেররা পাইকারি মাছ বাজারের ব্যস্ততা।
তেলাপিয়া, সিলভারকার্প, পাঙাশ, রুই, কাতল, মৃগেল সঙ্গে ছোট মাছও। এমন সবধরনের মাছই মিলছে এখানে। যা একেবারে তরতাজা। আর এসব মাছ দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতারা। ফলে সরগরম হয়ে উঠে বাজারটি। তারপর শুরু হয় দরদাম। এখানে শুধু স্থানীয়রাই নয়, চাঁদপুরের বাইরে থেকেও বিক্রেতারা ছুটে আসেন নানা প্রজাতির দেশি মাছ নিয়ে। আর তা ক্রয়-বিক্রয়ে দরদামও ভালো পাচ্ছেন। এমনটা জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।
এদিকে, দরদাম ভালো পাওয়ায় এবং মাছ সরবরাহে রয়েছে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা। চাঁদপুরের পাশের শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ আরও কয়েকটি জেলা থেকেও ধেররা পাইকারি বাজারে মাছের সরবরাহ হয়ে থাকে। মূলত, বিল, ঝিল এবং পুকুরে চাষ করা ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছ মিলছে এখানে। শেষরাত থেকে শুরু করে ভোর ৬টার আগেই ধেররা পাইকারি বাজারের মাছ বিক্রি শেষ। তারপর ক্রেতারা সেই মাছ নিয়ে ছুটেন নিজ নিজ বাজারে। আকারভেদে সেই মাছ দরদাম করে তুলে দেন ভোক্তার হাতে।
এমন সব সুবিধার কারণে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা ভিড় করছেন এ বাজারে। একই সঙ্গে সরকারের কাছে মাছের খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানান পাইকারি এই বাজারের ব্যবসায়ী নেতা রাধাকান্ত দাস এবং আরেক ব্যবসায়ী আবুল কাশেম।
তারা বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন নানা প্রজাতির মাছের চালান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে চলে যায়। কিন্তু মাছ চাষে প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় আনুপাতিক হারে মাছের দাম পাচ্ছেন না তারা। তাই নতুন সরকারের কাছে তাদের দাবি, এসব সামগ্রীর দাম যেনো নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
চাঁদপুরের ধেররা পাইকারি মাছ বাজারের ২৩টি আড়তে মৌসুমের এই সময় প্রতিদিন দেড় থেকে ২ কোটি টাকারও বেশি মাছ বেচাকেনা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।