আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আপনি আজ অবধি অনেক ধরনের মন্দির এবং তাদের রহস্যময় কথা শুনে থাকবেন, তবে এই প্রতিবেদনে এমন একটি মন্দির সম্পর্কে বলা হয়েছে যাকে ‘নরকের দরজা’ বলা হয় এবং এর ধারেকাছে গেলে আর কেউ ফিরে আসে না। তবে সেখানে মৃত্যুর পেছনে কারণ খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।
আসলে, দক্ষিণ তুরস্কের হিয়ারপোলিস শহরে একটি অতি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরটিকে নরকের দরজা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এখানে প্রতিনিয়ত রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এই মন্দিরে সংস্পর্শে এলেই পশুপাখিও বাদ যায় না। বলা হয়েছিল যে, গ্রিক দেবতার বিষাক্ত নিঃশ্বাস এর কারণেই এই মৃত্যু ঘটে।
তবে এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের ভিন্ন মত রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মানুষের যুক্তি বিশ্বাস করে না, যে গ্রিক দেবতার নিঃশ্বাসের ফলেই এসব ঘটছে। তাদের মতে, এই মন্দিরের নিচে থেকে ক্রমাগত বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। যে কারণে যখনই কোনও জীবিত প্রাণী এর কাছে এলেই তখনই মারা যায়।
অদ্ভুত ঘটনার কারণে মানুষ এই মন্দিরকে নরকের দরজা বলতে শুরু করে। এমনকি গ্রিক-রোমান সময়ে মন্দিরের আশেপাশে যাওয়া লোকেদের শিরচ্ছেদ করা হতো। বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের পর এখানে মৃত্যুর রহস্যের সমাধান হয়েছে। জানা গেছে, মন্দিরের নিচ থেকে ক্রমাগত বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বের হচ্ছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এই মন্দিরের নিচে ৯১% কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি রয়েছে। আর মাত্র ১০% কার্বন ডাই অক্সাইড একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যে কারণে এই এলাকায় মানুষ হোক বা পশু-পাখি এমনকি কীটপতঙ্গও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।