লাইফস্টাইল ডেস্ক : একঘেয়ে জীবনের শিকার আজকের কর্পোরেট দুনিয়া। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া যেখানে সমগ্র বিশ্বকে ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ বলতে শিখিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, কাজটা হচ্ছে একেবারেই ঠিক উল্টো। সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিদিন মানুষকে একা ও অবসাদগ্রস্ত তৈরি করছে। আবার একটা বড় সংখ্যক মানুষই আজ কর্মসূত্রে অন্য শহরে গিয়ে থাকেন।
কাজের চাপে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করে সময় কাটানো তো অনেক দূরের কথা, তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলারও ঠিক সময় পান না। এর পরেই একাকিত্ব ধাওয়া করতে শুরু করে। এইরকম বহুদিন ধরে চলতে থাকলে, নিজের থেকেও কথা বলার ইচ্ছে ক্রমশ কমতে থাকে। নিজেকে সামাজিক ক্রিয়াকলাপ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার প্রবণতাও বাড়ে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিগহ্যাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির গবেষক জুলিয়ান হোল্ট তাঁর একটি রিপোর্টে জানিয়েছেন, একাকিত্ব, অবসাদ, নিজেকে একঘরে করে নেওয়ার প্রবণতা মানুষকে তাড়াতাড়ি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
এই গবেষণায় ৩ লক্ষ মানুষকে পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা থেকেই উঠে আসে, যাঁরা সামাজিক এবং পরষ্পরের সঙ্গে মেলামেশা করতে পছন্দ করেন, তারা তুলনামূলক ভাবে অনেক সুস্থ। কিন্তু যারা সমাজ থেকে নিজের দূরে সরিয়ে রাখেন তাদের কম বয়সেই মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জুলিয়ান হোল্ট জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে ৪৫ বছরের নীচে প্রায় ৪২.৬ মিলিয়ন মানুষ এই ধরনের অবসাদে ভুগছেন।
বিশেষজ্ঞের মতে, ওবেসিটি যেমন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়, তার থেকেও বেশি মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় অবসাদ। তাঁর মতে শারীরিক ভাবে একজন কতটা সুস্থ তার অনেকটাই নির্ভর করে তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন তার উপরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।