জুমবাংলা ডেস্ক : ফলজ গাছপালার মাঝে বেশিরভাগই বীজের মাধ্যমে তাদের বংশবিস্তার করে থাকে। অতি প্রাচীনকাল থেকে বীজ থেকে চারা তৈরির পদ্ধতি মানুষ অনুসরণ করে আসছে। কিছু কিছু উদ্ভিদ ছাড়া অধিকাংশ উদ্ভদের বংশ বিস্তারের একমাত্র মাধ্যম বীজ। তবে বিজ্ঞানের আশীর্বাদ আর মানুষের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে প্রতিনিয়ত আবিষ্কৃত হচ্ছে উদ্ভিদের বংশ বিস্তারের নতুন নতুন পদ্ধতি। আম একটি সুমিষ্ট ফল যা কম বেশি আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। স্বাভাবিকভাবে বীজের মাধ্যমে আম গাছ বংশ বিস্তার করে থাকে।
এ পদ্ধতিতে চারা গাছে আম আসতে প্রায় ১০ বছেরের বেশি সময় প্রয়োজন হয়। কৃষিবিদদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে আমের কলম( গ্রাফটিং) পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে এখন মাত্র ১-২ বছরেই আমগাছের চারা হতে আম পাওয়া সম্ভবপর হচ্ছে। আম গাছের কলমের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কলম পদ্ধতি দেখা যায় যাদের মাঝে ক্লেফ্ট গ্রাফটিং আর ভিনিয়ার গ্রাফটিং সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
ভিনিয়ার গ্রাফটিং এর কাটিং পদ্ধতি সহজ হওয়ায় নার্সারিতে এ পদ্ধতিটি বেশি অবলম্বন করতে দেখা যায়। কয়েকটি সহজ কার্যপদ্ধতির সাহাযে খুব অল্প সময়ের মাঝে ভিনিয়ার গ্রাফটিং পদ্ধতিতে নতুন চারা তৈরি করা করা যায়।
ভিনিয়ার গ্রাফটিং করার জন্য প্রথমে ১ বছর বয়সী একটি চারা গাছকে মাতৃগাছ হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। ২ বছর বয়সী পরিপক্ক একটি আমগাছ হতে সায়ন ( উদ্ভিদের যে অংশ কলমের জন্য ব্যবহার করা হয়) সংগ্রহ করতে হবে। সায়ন সব সময় উন্নত জাতের নির্বাচন করা হয়। সায়ন সংগ্রহের সময় খেয়াল রাখতে হবে সায়ন যেনো সুস্থ ও উদ্ভিদের বর্ধনশীল অংশ হতে গ্রহন করা হয়। সায়ন সংগ্রহের পর সায়নের পাতা কেটে ফেলতে হবে এবং নিচের দিকে ১ ইঞ্চি উপর থেকে উভয় পাশে তেড়চা করে কাটিং করতে হবে।
এবার মাতৃগাছের ঠিক মাঝখান বরাবর ধারালো ছুড়ি দিয়ে ১ ইঞ্চি লম্বভাবে কাটিং করতে হবে। এবার সায়নকে মাতৃ গাছে স্হাপন করার পর পলিথিন বা কসটেপ দিয়ে শক্ত করে আটকে দিতে হবে। বাইরের প্রতিকূল পরিবেশ ও রোগ জীবানুর আক্রমন ঠেকাতে সায়নটি পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে, নিয়মিত যত্ন সহকারে পানি দিলে কয়েক সপ্তাহের মাঝে দেখা যাবে তৈরিকৃত নতুন চারা হতে কচি পাতা বের হয়েছে। তৈরিকৃত চারা হতে ১-২ বছরের মাঝেই পাওয়া যাবে সুমিষ্ট আম। কলম পদ্ধতিতে তৈরিকৃত চারার গুনাগুন সায়নের জন্য নির্ধারিত গাছের গুনাগুনের অনুরূপ হবে।
কোন জিনিস ভিতরে ঢোকানোর সময় শক্ত থাকে, আর বের করে দিলে নরম হয়ে যায়
আম গাছের কলম পদ্ধতিতে তৈরিকৃত চারা থেকে খুব অল্প সময়ে ফলন পাওয়া যায় এবং তৈরিকৃত চারার গুনাগুন গ্রহনকৃত সায়নের গুনাগুনের অনুরূপ হয়। সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় আমের কলম পদ্ধতিতে চারা তৈরির এমনি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখানো পদ্ধতি সবাই খুব পছন্দ করে এবং অনেকে নিজের বাড়িতে কলম পদ্ধতিতে চারা তৈরিতে উৎসাহ প্রকাশ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।