বিনোদন ডেস্ক : বক্তৃতা দেওয়ার সময় আজানের আওয়াজ ভেসে এলে নিজের বক্তব্য দেওয়া থামিয়ে দেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপি নেতা অমিত শাহ। আজান শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি তার বক্তৃতা দেওয়া বন্ধ রাখেন। এ ঘটনায় অনেকেই তার প্রশংসা করছেন।
উত্তর কাশ্মীর জেলার শওকত আলি স্টেডিয়ামে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন অমিত শাহ । সূচি অনুযায়ী অন্তত আধা ঘণ্টা ধরে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল তার। তবে কিছুক্ষণ বক্তৃতা দেওয়ার পর বাইরে থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসে। অমিত শাহ অবশ্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। তাই বক্তৃতা থামিয়ে মঞ্চে উপস্থিতদের জিজ্ঞাসা করেন, মসজিদে কি কিছু হচ্ছে? তখন একজন তাকে জানায়, আজান হচ্ছে। তখন তিনি তার বক্তব্য বন্ধ রাখেন।
আজান শেষ হতে প্রায় পাঁচ মিনিট সময় লাগে। এ সময়ে তিনি বক্তৃতা করেননি। আজান শেষ হয়ে যাওয়ার পর অমিত শাহ উপস্থিত লোকজনকে জিজ্ঞাসা করেন, আজান শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার কি আমি বক্তৃতা শুরু করতে পারি? উপস্থিত জনতা হ্যাঁ-সূচক উত্তর দিলে তিনি তার বক্তব্য শুরু করেন।
আজানের সময় অমিতের বক্তৃতা বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্তে মুগ্ধ হয়েচেন সমাবেশে উপস্থিত মানুষজন। তারা করতালি দিয়ে অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানান এবং তার পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার উত্তর কাশ্মীরের বারমুল্লা জেলার সওকত আলি স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। আচমকাই পাশের মসজিদ থেকে আজানের শব্দ ভেসে আসে। শব্দ শুনে থমকে যান শাহ। উপস্থিত জনতার কাছে তিনি জানতে চান, মসজিদে কিছু হচ্ছে কি না। উত্তরে দর্শকরা জানান, আজান দেওয়া হচ্ছে। এরপরই নিজের বক্তৃতা থামিয়ে দেন তিনি।
প্রায় ৫ মিনিট বক্তব্য থামিয়ে ছিলেন শাহ। তারপর দর্শকদের অনুমতি নিয়ে ফের বলতে শুরু করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দর্শকদের কাছে শাহ জানতে চান, ”এবার কি আমার শুরু করা উচিৎ?” ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার পর ফের শুরু করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তাঁর এহেন আচরণের প্রশংসা করেছেন উপস্থিত জনতা। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে আজান চলাকালীন নিজের বক্তৃতা থামিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
তিনদিনের কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন অমিত শাহ। আসলে ভারতে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে কাশ্মীরে। ভোটের প্রস্তুতির জন্যই অমিত শাহ এখন কাশ্মীরে।
ছোটবেলায় ঘটেছিল তিক্ত অভিজ্ঞতা, গৌররের ছেলে থেকে মেয়ে হয়ে উঠার গল্প
বুধবার বারামুল্লার এক জনসভায় তিনি বলেন,”আমরা কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসকে পুরোপুরি উপড়ে ফেলতে চাই। যাতে কাশ্মীর ভূস্বর্গ হয়েই থাকতে পারে। আমরা সন্ত্রাসবাদ সহ্য করব না। কাশ্মীরকে দেশের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য বানাবো।” শাহ এদিন দাবি করেছেন, ‘নয়ের দশক থেকে কাশ্মীরে শুধু সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন ৪২০০ জন। সন্ত্রাসবাদে কারও ভাল হয় না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।