জুমবাংলা ডেস্ক : কথিত রয়েছে ভারত সরকারের অদৃশ্য চাপে তৎকালীন সরকার মিজানুর রহমান আজহারীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। মুলত একাধিক কারণে মিজানুর রহমান আজহারীকে ভয় পেত ভারত। স্পষ্টভাষী ও সাহসী বক্তা আজহারী শুধুমাত্র হাসিনা সরকারের জন্যই আতঙ্কের কারণ ছিল না অসংখ্য ভন্ড পীর-মুরিদদের চক্ষুশূল ছিল। তারাও নানা ষড়যন্ত্র করছিলো বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
২০২০ সালে জয়পুরহাটে ও লক্ষীপুরে আজহারীর দুই মাহফিল ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। মাত্র একটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল জয়পুরহাটে, যেখানে ওই ভারতীয় নাগরিকরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুরের আরেকটি মাহফিলেও এমন ঘটনা ঘটে, যেখানে আরও ১২ জন ভারতীয় হিন্দু পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হলে স্থানীয় প্রশাসন ওই পরিবারগুলোকে আটক করে এবং তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠায়। অনেকে মনে করেন, এই ধর্মান্তর ইস্যু এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
দীর্ঘদিন ধরে মালেশিয়ায় অবস্থান করেছিলেন আজহারী। সম্প্রতি দেশে ফিরেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানান তিনি। ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, “প্রতিবেশী বদলানো যায় না। আমরা ভারতের কাছে বন্ধুত্বে বিশ্বাসী, শত্রুতায় নয়। ভারতের দাদাগিরি ও মিথ্যা গুজব বাংলাদেশের মানুষ পছন্দ করে না। যদি গৌর গোবিন্দে রূপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ হযরত শাহজালালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ভারতের আধিপত্যবাদ রুখে দেবে।”
দীর্ঘ চার বছর পর দেশের মাটিতে ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করছেন তুমুল জনপ্রিয় এই ইসলামি আলোচক। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। তখন তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘পারিপার্শ্বিক কারণে এবং গবেষণার জন্য’ তিনি আগামী মার্চ পর্যন্ত সব ওয়াজ মাহফিল বন্ধ রেখে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন।
তরুনদের আইডল সুশিক্ষায় শিক্ষিত ইসলামিক স্কলার আজহারী সব শ্রেনি-পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। আজহারীর এই জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় ভারত, এমনটাই ধারণা ইসলামিক চিন্তাবিদদের। বাংলাদেশে আজহারীর ফিরে আসা ও জনতার ঢল আবারো ভাবিয়ে তুলছে ভারতকে।
সূত্র ও ভিডিও : নাগরিক টিভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।