আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উইপ্রোর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি কে আজ সারা বিশ্ব চেনে। আজিম প্রেমজি তার দূরদর্শী চিন্তাভাবনা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে উইপ্রোকে সারা বিশ্বে একটি আলাদা পরিচিতি দিয়েছেন।তাই ধনী ভারতীয়দের তালিকার মধ্যে আজিম প্রেমজির নামও সামনে উঠে আসে। অথচ শুরুতে উইপ্রোর প্রতিষ্ঠাতা আজিম প্রেমজির দাদা, প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২ টাকা দিয়ে শুরু করে একটি বড় চাল ব্যবসায়িক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রায় ৭৫ বছর পর, আজ এই কোম্পানিটি একটি মাল্টি-বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। আজিম প্রেমজি জানিয়েছেন যে তিনি এই সব কিছু করেছেন সততার নীতিকে অনুসরণ করে।আজিম প্রেমজি আরও জানিয়েছেন যে তাঁর বাবা, মোহাম্মদ হুসেন হাশাম প্রেমজি, তার দাদার উত্তরাধিকার হিসাবে সম্পূর্ন ব্যবসাকে সামলে ছিলেন।
ট্রেডিং কোম্পানির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। আজিম প্রেমজির মাও কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের ভয় পাওয়ার মহিলা ছিলেন না। তিনি একটি হাসপাতাল তৈরি করার জন্য অনেক লড়াই করেছিলেন। এছাড়া তিনি একজন যোগ্য ডাক্তারও ছিলেন।আজিম প্রেমজির বাবা, মোহাম্মদ হুসেন হাশাম প্রেমজি ১৯৪৫ সালে অমলনার, মহারাষ্ট্র থেকে ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া প্রোডাক্টস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
এখানে পরিশোধিত তেল ও শাকসবজি নিয়ে কাজ করা হয়। ১৯৬৬ সালে তার বাবার মৃত্যুর পর, আজিম স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা সামলাতে দেশে ফিরে এসেছিলেন।আজিম সম্পূর্ণভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও এটিকে একটি এন্টারপ্রাইজ থেকে পূর্ণাঙ্গ কোম্পানিতে পরিণত করার উপর গভীর মনোযোগ দিয়েছিলেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে ইনফোটেকের ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছিলেন এবং তারপরে, কনজিউমার কেয়ার,লাইটিং, ইনফাস্ট্রাকচা ইঞ্জিনিয়ারিং ফর্মস ও জিই হেলথকেয়ারেও প্রবেশ করেছিলেন।২০০০ সালে, উইপ্রো কোম্পানি প্রায় ১ বিলিয়ন আয় করেছিল। এর সাথে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির অর্জন করেছিল। ২০২১ অর্থবছরে এই কোম্পানির আয় ছিল প্রায় ৮.১ বিলিয়ন ডলার।
প্রায় ৫৩ বছর ধরে কোম্পানির নেতৃত্ব দেওয়ার পরে, প্রেমজি ৩১ জুলাই, ২০১৯-এ তার নির্বাহী চেয়ারম্যানের ভূমিকা থেকে পদত্যাগ করেন এবং জনহিতকর কাজে তার সময় উৎসর্গ করার সিন্ধান্ত নেন। এখন আজিম প্রেমজির বড় ছেলে রিশাদ প্রেমজি এই কোম্পানির একজিকিউটিভ চেয়ারম্যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।