জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, শিক্ষা পরিবারের মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক যে ৩০ হাজার প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর সবগুলোর যাতে কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা না থাকে।সবগুলো ভবন যদি করতে পারি বিদ্যালয়গুলোতে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি সরকারি বেতন কাঠামো যেগুলো আমরা এমপিও মাধ্যমে দেই, তাহলে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর ফিসের যে চাপ সেটা কমে যাবে। এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য হচ্ছে শতভাগ শিক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পর্যায় শেষ করতে হবে।’
আজ রবিবার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন এবং চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন’ বিষয়ে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।
প্রকৌশলীদের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব—পরিবেশবান্ধব ভবনে কীভাবে আমরা কাজ করতে পারি, কীভাবে ডিজাইনে পরিবর্তন আনতে পারি, যারা আছেন তারা দেখবেন। এসসিজি-৪ এ মানসম্মত শিক্ষা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। শিক্ষায় যখন এসডিজি-৪ এর কথা চিন্তা করি তখন এটাও মাথায় রাখি—বিদ্যালয়গুলোর ডিজাইনে চেঞ্জ হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী যে উষ্ণায়ন সেটাকে মাথায় রেখে কীভাবে আমরা বিদ্যালয়গুলো করতে পারি।
ইনোভেশন করতে হবে। ইনোভেশনের জায়গায় আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে যাচ্ছি না। কিছু ইনোভেশন করলে আমরা খরচ কমাতে পারি, তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে এনে স্থাপনাগুলো করা যেতে পারে। এখন যেহেতু কারিকুলামে অ্যাক্টিভিটি করতে হয়, সেহেতু বিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ ডিজাইনে কীভাবে পরিবর্তন আনা যায় তা দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কীভাবে খরচ কমিয়ে সাসটেনেবল করতে পারি, নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখে ব্যয় সংকোচন করতে পারি, সেগুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। লক্ষ্য কিন্তু কমানো না, ব্যয় সংকোচন করে অবকাঠামো নির্মাণ বাড়ানো। ক্লাস রুমের ডিজাইন, ফার্নিচারের ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে।’
প্রকৌশলীদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা প্রকৌশলীদের মাঠে নামতে হবে। আমাদের প্রকৌশলীদের প্রতি আমি বিশেষভাবে অনুরোধ রাখছি, শুধুমাত্র দাপ্তরিক কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখলে হবে না। দাপ্তরিক কাজ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমাদের যে অভিজ্ঞতা, আমরা (প্রকৌশলীরা) দাপ্তরিক কাজে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে প্রকৌশলীদের কাজে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে থাকতে হবে, তিনি গ্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার হোন অথবা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হোন, তাকে অবশ্যই মাঠে যেতে হবে। মাথায় হেলমেট পরে, চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে হাতা গুটিয়ে মাঠে নামতে হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুর রহমান খান।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel