Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home বাবাকে নিয়ে তাহসানের স্ত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস
বিনোদন

বাবাকে নিয়ে তাহসানের স্ত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

Shamim RezaJanuary 5, 20257 Mins Read
Advertisement

বিনোদন ডেস্ক : কোনো রকমের পূর্বাভাস বা গুঞ্জন ছাড়াই দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসানের বিয়ের আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন।

Tahsan Sosur

এদিকে শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, বরিশালের মেয়ে রোজা আহমেদ। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন, বরিশাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার গল্পটা সহজ ছিল না। তার শৈশব কেটেছে বরিশালেই।

উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করেন এবং নিউ ইয়র্কের কুইন্সে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’। এটি এখন ব্রাইডাল মেকআপ শিল্পের অন্যতম সফল একটি প্রতিষ্ঠান।

এদিকে, তাহসান-রোজার বিয়ের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় ২০১৪ সালে বরিশালে ক্রসফায়ারে নিহত যুবলীগ নেতা ফারুক আহমেদ ওরফে ‘পানামা ফারুক’।

এই ফারুক আহমেদের মেয়ে হচ্ছেন রোজা আহমেদ। যিনি র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। যে কারণে তাহসানের শ্বশুর ও রোজা আহমেদকে নিয়ে নেটিজেনদের মাঝেও নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এরই জের ধরে ২০২৪ সালের ৪ জুন বাবা ফারুককে নিয়ে দেওয়া রোজা আহমেদের একটি আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাস নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে তিনি বাবার মৃত্যুর পর কঠিন বাস্তবতার চিত্র ও নিজ সফলতার গল্প তুলে ধরেছেন।

সেই স্ট্যাটাস রোজা আহমেদ লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ! এই মাত্র নিউইউর্ক সিটিতে আমার রোজাস ব্রাইডাল মেকোভার এন্ড বিউটি কেয়ার সেলুনের ডেকারশন এবং সেটআপের কাজ শেষ হলো। সেলফিটা একটু আগেই তুলেছি। সাধারণত আমার অনেক ছবি তোলা হয় কিন্তু আজ এই সেলফিটা তোলার সময় চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। অনেক সময় ধরে কাঁদলাম। কিন্তু কি মনে করে কাঁদছি বা কেন কাঁদছি তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান, তাই সবচেয়ে আদরের ছিলাম।

বাবা আমাকে সব সময় বলতেন, আমার ছোট্ট পরীটা কইরে। সেই সময় বরিশাল শহরে আমাদের পরিবারের বেশ প্রভাব ছিল। ছোট বেলায় কখনো কমতি পাইনি। এর বাসায় দাওয়াত, তার বাসায় দাওয়াত! আর যেতেই হবে কারণ আমাদের ছাড়া দাওয়াত অসম্পূর্ন হবে। এমন দিন গিয়েছে, দিনে ৪ টা দাওয়াতেও অংশ নিয়েছি। শুধু দেখা করে আসার জন্য। হঠাৎ বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন ওপাড়ে। যতদিনের হায়াত তিনি নিয়ে এসেছেন ততোদিন ছিলেন আমাদের সাথে। অভিযোগ তো অনেক জমা আছে, বাবার সেই ছোট্ট পরীটার কিন্তু অভিযোগ কার কাছে করব? আর বাবা শুধু আমাদের ছেড়ে চলে যায়নি, সাথে সাথে যে মানুষগুলো আমাদের এতো সম্মান করতেন তাদের ভালোবাসাও চলে গেল আমাদের উপর থেকে। আর সেই দিনই প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম, যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছি তা সবই বাবাকে ঘিরে আর সাথে অনেক অনেক স্বার্থ। বাবা চলে যাবার ঠিক ২ মাসের মাথায় আমার এক রিলেটিভের বিয়ে। আমরা অনেক ঘনিষ্ট ছিলাম একে ওপরের, কিন্তু বিয়েতে দাওয়াত পেলাম না। যে রিলেটিভরা সেই বিয়েতে অংশ নিয়েছে সবাই ফোন করতে শুরু করল মাকে। কেন আমরা গেলাম না, কোথায় আমরা? বরিশালে আছি কিনা এই সেই। সেদিন সারারাত বসে দেখেছি মায়ের সেই সরল মনের কান্না।

আপনারা লেখাটা পড়ে ভাবতে পারেন, দাওয়াত পাইনি বলে কাঁদছি? কিন্তু দাওয়াতের জন্য নয়, একি দালানে সবাই আনন্দ করছে, আমি, মা আর ছোট ভাই উৎস তখন বাসার এক কোণে। খুব চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল, বাবা তুমি একটু দেখে যাও, যাদের জন্য এতো করেছ তারা আমাদের সব ফিরিয়ে দিচ্ছে।

বাবা আমাদের জন্য অনেক কিছুই রেখে গেছেন উল্লেখ করে তিনি লিখেন, দাদা ভাইয়ের অনেক আছে কিন্তু কিছুই গুছানো না। কে বুঝেছেন যে এতো অকালে উনি চলে যাবেন আমাদের ছেড়ে! আর দাদার সব সম্পত্তিতেই চাচা-ফুফুদের ভাগ আছে। মায়ের খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয়েছে। পড়াশোনার সুযোগ পায়নি। আর আমি চলে আসি তাদের কোলে। আমার মা খুব সরল মনের, দিন দুনিয়ার কিছুই বুঝে না। সে যে নিজের ভয়েস রেইস করবে বা তার সেটা রেইস করার অধিকার আছে সেটা তার ধারনার বাহিরে। কখনো তার সেই সাহসটাই ছিল না যে শ্বশুরকে বলবে, বাবা আমাদের সম্পত্তিটুকু আমাদের বুঝিয়ে দেন। আর উৎস তো তখন অনেক ছোট। আমরা দুই ভাই-বোন তখন পিচ্চি পিচ্চি। আমাদের পড়াশোনার খরচ তখন একদম হিসাব করে টায় টায় দেয়া হতো মায়ের হাতে। তাই কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বলতাম না যাতে উৎস যেটা চায় সেটা সে পায়। আমার দিক থেকে একটু কম হলেও সমস্যা নেই।

তিনি লিখেন, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই প্রস্তাব আসা শুরু হয়। এই রিলেটিভ একে আনে ঐ রিলেটিভ ওকে আনে। সেই সময় আমি প্রথম ভয়েস রেইস করেছি, যে আমার বয়স কম আর বাবা মারা গেছে কি হয়েছে? বাবার আর আমার স্বপ্ন তো মারা যায় নি! ঐ দিন কথাটায় খুব মাইন্ড করেছিল আমার কাছে্র লোকজন। বড়দের মুখে মুখে কথা, আমি আর মানুষ হবো না। আর সেই থেকেই রটানো হয় কতো কথা। সারাদিন নাকি ছেলেদের সাথে ঘুরি, আমার বন্ধু-বান্ধব সার্কেল ভালো না, পর্দা করি না আরও কতো কি। মেয়েতো নিশ্চয়ই প্রেম করে আর না হলে এতো ভাল প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়? আর প্রতিদিন এভাবেই বাসায় অভিযোগ আসা শুরু করে।

রোজা আরও লিখেন, আমার মা এতো অভিযোগ শুনতে শুনতে বলল, তুই আমাকে ছুঁয়ে বল এইসব অভিযোগ কি সত্যি। আমি মাকে ছুঁয়ে বললাম না মা সব মিথ্যা। আমি তো স্কুল আর বাসা বাদে কোথাও যাই না। এই বলে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলাম মায়ের সাথে। ওইদিনের পর থেকে মা আমার সাথে নিয়মিত কোচিংয়ে যেত আবার এসে বাসার সবার জন্য রান্না করতে হতো। খুব কষ্ট হয়ে যেত তার। তখন নিজের কাছে মনে হতো আমি সবার জন্য একটা বোঝা, সবক্ষেত্রেই আমার দোষ। দিনের পর দিন এভাবেই চলতে থাকে। হঠাৎ দাদাভাই অসুস্থ হয়ে পরেন, আর সেই থেকে আমার সাথে কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে মা। কারণ তাদের সেবা যত্ন করতে হতো মাকেই। তখন থেকেই একা একা চলা শুরু করলাম। একটা ফ্রেন্ড বলল ও স্টুডেন্ট পড়ায় আমি বললাম আমাকে একটা খুঁজে দিবি আমিও শুরু করতে চাই। বেশ একজন খুঁজতে গিয়ে দুজনকে পেয়ে গেলাম। কেজিতে পড়ে খুব অল্প টাকা বেতন। আর কোচিং এর পড়া আমার ভালো লাগত না তাই আমি নিজে নিজে বুঝে পড়তাম। কিন্তু বাসার কথা ছিল, কোচিংয়ে পড়তেই হবে। তাই কোচিংয়ের সময়টা আমি স্টুডেন্ট পড়াতাম লুকিয়ে লুকিয়ে। আর সেই টাকা জমিয়ে উৎসকে ঘুরতে নিতাম, কিছু একটা পছন্দ করলে কিনে দিতাম। বাবার যে আদর আমি পেয়েছি ও সেই আদর পায়নি তাই বাবার আদর হয়তো দিতে পারতাম না তবে কখনো যাতে আফসোস না করে সেই চেষ্টা চালিয়ে যেতাম।

আমাকে যে কথা শুনতে হয়েছে আমি আর একটি মেয়েকেও সেই কথা শুনতে দিতে চাই না উল্লেখ করে তিনি লিখেন, শুরু করলাম মেকাপ ক্লাস। এক বছরে ৫০০+ মেয়েকে মেকাপ শিখালাম। শত শত মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াল। হঠাৎ একদিন মায়ের কল, যুক্তরাষ্ট অ্যাম্বাসিতে দাঁড়াতে হবে ইমেগ্রেশন ভিসার জন্য। বড় মামা অনেক আগে থেকে আবেদন করেছিল। দেখতে দেখতে ভিসা হয়ে গেল। উৎস আর মায়ের জন্য দেশ ছাড়তে হবে। একটু একটু করে যুক্তরাষ্ট্রে নিজের অবস্থান তৈরি করেছি।

নিজের ক্যারিয়ার, নিজের সার্কেল আর নিজের স্বপ্ন সব ফেলে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যত নিয়ে চলে আসলাম ইউএসএতে। এখানে ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানের প্রবাসীরাও আমার কাছে সাজা শুরু করল, ক্লাস করা শুরু করালাম। নিজেকে আবার এই দেশেও একজন প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড় করালাম। কসমেটোলজির মাধ্যমে স্কিন ,হেয়ার এবং মেকাপ রিলেটেড স্টাডি করলাম কলেজে। আর সেখান থেকেই আজকের স্টুডিও। কসমেটোলজির ওপর নতুন করে আবার পড়াশোনা, লাইসেন্স নেয়া সব চ্যালেঞ্জ নতুন করে আবার ফেইস করেছি। সেলুনে সব থেকে এক্সপেন্সিভ এবং কোয়ালিটিফুল প্রডাক্ট দিয়ে সাজিয়েছি সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট।

সব শেষ তিনি লিখেন , কথাগুলো খুব আবেগ নিয়ে লেখা। শুরুতেই বলেছিলাম আমার মা একজন সরল মানুষ। বাবা মারা যাবার পর জীবনে উচ্চ স্বরে কথা বলতে পারে নাই, কখনো হাসতে দেখিনি। আর আজ সেই মা উচ্চ গলায় সবাইকে ফোনে বলে ‘হ্যাঁ আমার বড় মেয়ে রোজাই তো আমাকে দেখছে, আলহামদুলিল্লাহ।’ আল্লাহ অনেক ভালো রাখছেন আমাদের। সে হয়তো স্বপ্ন দেখতে পারেনি কিন্তু তার মেয়ে হিসেবে একটু হলেও নতুনভাবে বাঁচতে শিখাতে সাহায্য করেছি।

৯৫ জন জেলের বিনিময়ে ৯০ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিচ্ছে ভারত

আজ খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে, বাবা তোমার সেই ছোট্ট পরীটা অনেক বড় হয়েছে! আমার সব স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু তুমি বাবা।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
আবেগঘন তাহসানের তাহসানের স্ত্রীর নিয়ে, বাবাকে বিনোদন স্ট্যাটাস স্ত্রীর
Related Posts
গর্ভবতী

এই নায়িকারা বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়েছিলেন

December 24, 2025
রুনা খান

সি-গ্রিন জামদানিতে মোহ ছড়ালেন রুনা খান

December 24, 2025
মেগান

২৭ কেজি ওজন কমিয়ে চমকে দিলেন মেগান

December 23, 2025
Latest News
গর্ভবতী

এই নায়িকারা বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়েছিলেন

রুনা খান

সি-গ্রিন জামদানিতে মোহ ছড়ালেন রুনা খান

মেগান

২৭ কেজি ওজন কমিয়ে চমকে দিলেন মেগান

অভিনেতা আহমেদ শরীফ

নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন অভিনেতা আহমেদ শরীফ

মিষ্টি জান্নাত

আগের ফর্মে ফেরত আসলাম : মিষ্টি জান্নাত

শাকিল খান

‘বিবাহিত হিরো–হিরোইনের সিনেমায় আবেদন থাকে না’

মালতি চাহার

বাবার বয়সী নির্মাতা, ভাবিনি তিনি জোরপূর্বক এমনটা করবেন : মালতি চাহার

শ্রীনন্দা

ভেঙে গেল শ্রীনন্দার ১৬ বছরের সংসার

শ্রীদেবী -মাধুরী দীক্ষিত

শ্রীদেবীর সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মাধুরী দীক্ষিত

এফডিসি এখন ভূতুড়ে বাড়ি

এফডিসি এখন ভূতুড়ে বাড়ি

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.