আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘বাবা পুলিশে আছে, গুলি করে আপনাকে উড়িয়ে দেবে’! কাঁদতে কাঁদতে শিক্ষিকাকে ভয়ঙ্কর হুমকি একরত্তির। আর এই ভিডিও এখন তুমুল ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। এই ছোট্ট শিশুর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়ঙ্কর ভাইরাল হচ্ছে।
আসলে ক্লাসে শিক্ষিকা তাকে পড়ার জন্য জোর করতেই কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি তাকে জানায়, তার বাবা পুলিশকর্মী। এতে শিক্ষিকা তাকে জিজ্ঞাসা করে বাবা পুলিশ তো! এরপর একরত্তি আধোআধো ভাবে তাকে জানায় পড়ার কথা বললে বাবা শিক্ষিকাকে গুলি করে উড়িয়ে দেবে!
শিশুটিকে রাগানোয় সে অত্যন্ত নিরীহতার সঙ্গে শিক্ষিকার সঙ্গে এমন আচরণ করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বলছে আমার বাবা পুলিশে আছেন। এ বিষয়ে শিক্ষক যদি মজার ভঙ্গিতে বলেন, তাহলে আমাদের কী করা উচিত? তারপর সে তার কথার পুনরাবৃত্তি করে এবং বলে যে আমার বাবা তোমাকে বুলেট দিয়ে উড়িয়ে দেবে। শিশুটির এই কিউট স্টাইল মানুষ-জন পছন্দ করছেন।
मेरा पापा पुलिस में है 😅 pic.twitter.com/8najIWSeIE
— ज़िन्दगी गुलज़ार है ! (@Gulzar_sahab) September 20, 2022
স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে অনেক কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোন কোন শিশুকে খারাপ কাজ করার পরে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে, আবার কেউ আছে যারা তাদের শিক্ষককে হুমকি দিচ্ছে। আসলে শৈশবে, শিশুরা খুব দুষ্টু হয় এবং তারা অত্যন্ত নিষ্পাপতার সঙ্গে সবকিছুই বলে দেয় যা তাদের মনে আসে।
অনেক সময় ছোট বাচ্চারা এমন কথা বলে যা শুনলে বিশ্বাসই হবে না। হ্যাঁ, এমনই একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হচ্ছে, যা দেখে আপনি কয়েক সেকেন্ডের জন্য হতবাক হয়ে যাবেন। আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না কিভাবে ছোট বাচ্চারা এটা ভাবতে পারে?
ভিডিও’র শেষে দেখা যায় শিক্ষিকা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি পড়ালেখা করো না কেন? এরপর কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি চুপ হয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হতেই তা মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। @Gulzar_sahab নামে একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই ভিডিওটি টুইটারে আপলোড করা হয়েছে। এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, ‘আমার বাবা পুলিশে আছেন’। ইন্টারনেটে এই ভিডিওটি ৫৫ হাজারেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি ২৫০০ টিরও বেশি লাইক পেয়েছে। অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।