বিনোদন ডেস্ক : বলিউড তারকা সাইফ আলী খান দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন গত ১৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাড়িতে হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সঙ্গে ছিলেন আট বছরের ছেলে তৈমুর, যাকে নিয়ে তিনিই হাসপাতালে যান।
সেই রাতে কী হয়েছিল?
হামলার সময় বাড়িতেই ছিলেন কারিনা কাপুর খান। পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে সাইফ বলেন, “আমি বলেছিলাম, ‘আমার কিছুটা ব্যথা হচ্ছে, পিঠেও সমস্যা লাগছে।’ কারিনা তখন বলল, ‘তুমি হাসপাতালে যাও, আমি আমার বোনের বাড়িতে যাচ্ছি।’ সে পাগলের মতো ফোন করছিল, কিন্তু কেউ ধরছিল না। আমরা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম, পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। তখন তৈমুর জিজ্ঞাসা করল, ‘বাবা, তুমি কি মারা যাচ্ছ?’ আমি বললাম, ‘না!’”
তৈমুর কেন বাবার সঙ্গে হাসপাতালে গেল?
সাইফ জানান, তৈমুর পুরো সময়টাই শান্ত ছিল। সে নিজেই বলেছিল, ‘আমি তোমার সঙ্গে যাব।’ সেই মুহূর্তে সাইফও একা যেতে চাননি। তবে কারিনা কেন আহত স্বামীর সঙ্গে ছেলেকে পাঠালেন, সে বিষয়ে সাইফ বলেন, “তৈমুর কিছু করতে পারবে না জেনেও কারিনা তাকে আমার সঙ্গে পাঠায়। তবে এটা করা ঠিক ছিল, এতে আমি স্বস্তি পেয়েছিলাম।”
রোমান্স ও রহস্যে ভরপুর ‘Khun Bhari Maang 2’, চমকে দেবে গল্পের মোড়!
সাইফের চিকিৎসা ও বর্তমান অবস্থা
হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাইফের শরীরে ছয়টি ক্ষত পাওয়া যায়, যার মধ্যে দুটি ছিল গুরুতর। একটি আঘাত ছিল শিরদাঁড়ার কাছে, যার জন্য অস্ত্রোপচার করতে হয়। পাঁচদিন চিকিৎসার পর ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সাইফ আলী খান। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন এবং পুরোপুরি বিশ্রামে রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।