আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুলগেরিয়ার বিখ্যাত ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা ভাঙ্গা তাঁর অদ্ভুত ও আলোচিত ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। ২০২৫ সাল বিশ্ববাসীর জন্য এক ভয়াবহ মোড় নিতে যাচ্ছে—এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। যুদ্ধ, ধ্বংস, ভিনগ্রহের প্রাণীর আগমন ও টেলিপ্যাথির মতো প্রযুক্তিগত অগ্রগতি—সব মিলিয়ে ২০২৫ সাল হয়ে উঠতে পারে মানবজাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বছর।
Table of Contents
ভয়াবহ যুদ্ধের ইঙ্গিত
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার এবং এনডিটিভি-এর বরাতে জানা যায়, বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, সিরিয়ার পতনের মুহূর্ত থেকেই শুরু হবে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ, যা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়বে পশ্চিম ও পূর্বের মধ্যে। তাঁর ভাষায়, “পূর্বে একটি যুদ্ধ শুরু হবে যা পশ্চিমকে ধ্বংস করে দেবে।” তিনি আরও বলেন, “সিরিয়া বিজয়ীর পায়ে পতিত হবে, কিন্তু সেই বিজয়ী প্রকৃত বিজয়ী হতে পারবে না।” বর্তমান বৈশ্বিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে অনেকে মনে করছেন এই মন্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে মিলে যায়।
ভিনগ্রহের প্রাণী ও টেলিপ্যাথি
বাবা ভাঙ্গার মতে, ২০২৫ সালেই মানবজাতি ভিনগ্রহবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে, যা বিশ্বকে এক অভূতপূর্ব সংকটের মুখে ফেলতে পারে। এর ইঙ্গিত পাওয়া যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণায়ও, যেখানে তিনি বলেন, পুনরায় ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের সব ভিনগ্রহ-সম্পর্কিত গোপন তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন।
তাছাড়া ২০২৫ সালেই মানুষের মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কে সরাসরি যোগাযোগ—অর্থাৎ টেলিপ্যাথির যুগ শুরু হবে বলে দাবি করেছেন বাবা ভাঙ্গা। ইতোমধ্যে ইলন মাস্কের নিউরালিংক প্রকল্প এই প্রযুক্তির সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। তাহলে কি আমরা সত্যিই এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি?
সময় ধরে ধরে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎ চিত্র
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর একটি সময়রেখা নিম্নরূপ:
- ২০২৫: ইউরোপে বড় ধরনের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে, যা জনসংখ্যার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।
- ২০২৮: মানুষ শুক্র গ্রহে শক্তির সন্ধানে যাত্রা শুরু করবে।
- ২০৩৩: বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বিপজ্জনকভাবে বাড়বে।
- ২০৪৩: ইউরোপে মুসলিম শক্তির প্রভাব বাড়বে।
- ২০৪৬: মানুষের দেহ কৃত্রিমভাবে তৈরি সম্ভব হবে।
- ২০৬৬: আমেরিকার হাতে আসবে পরিবেশ ধ্বংসের ক্ষমতা।
- ২০৭৬: সমাজতন্ত্র অনেক দেশে বিস্তার লাভ করবে।
- ২১৩০: ভিনগ্রহের প্রাণীদের সঙ্গে মানুষের আরও নিবিড় যোগাযোগ হতে পারে।
- ২১৭০: এক ভয়াবহ খরা পৃথিবীতে প্রভাব ফেলবে।
- ৩০০৫: পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের একটি সভ্যতার মধ্যে সংঘাত শুরু হতে পারে।
- ৩৭৯৭: পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে এবং মানুষ গ্রহটি ত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
- ৫০৭৯: পৃথিবীর চূড়ান্ত অবসান ঘটবে।
পৃথিবীর শেষ এবং ভবিষ্যতের ভাবনা
বাবা ভাঙ্গা বলেন, ৫০৭৯ সালে পৃথিবীর সম্পূর্ণ অবসান ঘটবে। তবে এই কথাটি হয়তো রূপক অর্থে বলা হয়েছে, যার মাধ্যমে তিনি আমাদের সতর্ক করে গেছেন যে প্রযুক্তি, প্রকৃতি ও মানবিক মূল্যবোধের ভারসাম্য বজায় না রাখলে মানবজাতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।