স্পোর্টস ডেস্ক: বুধবার রাতে আরেকবার অধিনায়কের ব্যাটে ভর করে ম্যাচ জিতল পাকিস্তান। মুলতানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া পাহাড়সম টার্গেট ভেদ করে দুর্দান্ত এক জয় এনে দিয়েছেন বাবর আজম।
এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধোনা করেন ক্যারিবীয় তারকা শাই হোপস ও শামরাহ ব্রুকস। হোপের ১৩৪ বলে ১২৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৩০৬ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আর বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন বাবর। ১০৭ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ১০৩ রান করেন তিনি। তার দল জেতে ৫ উইকেট ও চার বল হাতে রেখেই। স্বাভাবিক কারণেই ম্যাচসেরা হন বাবর।
তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অদ্ভুত এক কাণ্ড করলেন বাবর। তার নাম ঘোষণা করলেন ধারাভাষ্যকার ও সঞ্চালক বাজিদ খান। বাবর এগিয়ে গেলেন। নিয়মানুযায়ী আগে তার ম্যাচের বলটিতে স্বাক্ষর করার কথা স্পন্সরদের জন্য। বাজিদ তা মনে করিয়ে দিলেন বাবরকে।
কিন্তু পাকিস্তান অধিনায়ক সেদিকে না তাকিয়ে সোজা মাইক্রোফোনের সামনে গিয়ে বললেন, ‘আমার ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারটি আমি খুশদিলকে দিতে চাই…। ’ বাবরের এমন আর্জিতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন খুশদিল শাহ। কাচুমাচু করতে থাকেন। এ সময় তার দিকে তাকিয়ে বাবর বলেন, ‘ তুমি এখানে আসো…!’ ব্যস, বাবরের এক ইচ্ছায় বদলে গেল ম্যান অব ম্যাচ।
ব্যাপারটি দেখে ক্রিকেটবিশ্ব অভিভূত। বাবরের এই সৌজন্যতার প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করেন অনেকে।
কারণ এটি কেবল ওই মুহূর্তের সৌজন্য ছিল না, অফিসিয়ালিই ম্যাচসেরার পুরস্কার নিলেন খুশদিল, যা আইসিসির রেকর্ডে উঠে গেল। নিজের পুরস্কার দলের অন্য খেলোয়াড়কে দিয়ে দেওয়ার কারণও জানিয়েছেন বাবর।
তার মতে, ৩০৬ রানের তাড়ায় এক সেঞ্চুরি যথেষ্ট ছিল না। তিনি বলেন, ‘খুশদিল যেভাবে ম্যাচ শেষ করেছে, তা অসাধারণ।’
উচ্ছ্বসিত খুশদিলও। তিনি বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল, খেলাটা শেষ পর্যন্ত টেনে নেওয়া। গত দুই বছর ধরে আমি পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করছি। আগে লেগ স্টাম্পেই খেলতাম শুধু, এখন অফ স্টাম্পের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি। পাওয়ার হিটিংয়ের পাশাপাশি এক-দুই রান নিতেও শিখছি। বড় শট খেলি কেবল নিজের জোনে পেলেই।’
ম্যাচ জয়ে খুশদিলের ভূমিকা ছিল অনন্য। ২৩ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন ২৭ বছর বয়সি ব্যাটার।
বাবর আউট হওয়ার সময় ৫৯ বলে ৬৯ রান লাগত পাকিস্তানের। এর পর ৬১ বলে ৫৯ রান করে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। শেষ ৪ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪৪ রানের। ম্যাচ ভাগ্য তখনও অনেকটা উইন্ডিজের পক্ষে।
৪৭তম ওভারে রোমারিও শেফার্ডের বলে টানা তিন ছক্কা মারেন খুশদিল। এ সময় আউট হয়ে যান শাদাব খান। শেষ ২ ওভারে পাকিস্তানের দরকার পড়ে ২১ রান। তখন সেই শেফার্ডকেই একটি করে ছক্কা ও চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন খুশদিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।