লাইফস্টাইল ডেস্ক : এমনিতেই জীবনে নানান কাজের ব্যস্ততা তারপর আবার ঘরে ফিরে সন্তানের বিচিত্র চাহিদা। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সময় কাজের চাপ সহ্য না করতে পেরে অনেক কিছুকেই এড়িয়ে চলা হয়। ঠিক তেমনি অনেক সময়ই বাবা-মা চোখ এড়িয়ে যায় সন্তানের নানা ভালো-মন্দ আচরণ। তবে কিছু আচরণ দেখলে দ্রুত সাবধান হওয়া উচিৎ পিতা-মাতাকে।
প্রায় শিশুরই অনেক ধরনের বায়না থাকে। আর তা না পেলেই মন খারাপ। সেটি ভাঙাতে সে যখন, যা বায়না করছে তখনই তার হাতে তুলে দিচ্ছেন। দিনের পর দিন এই অভ্যাস তৈরি হলে, আপনার সন্তান আপনার বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে, বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের কাছেও এই রকম ভাবে জিনিস পাওয়ার প্রত্যাশা করছে। না পেলে প্রথমে কান্নাকাটি, তার পর রাগ, জেদ এবং শেষমেশ বাড়ির সব সদস্যকে কটু কথা বলতেও বাকি রাখছে না। দীর্ঘ দিন এমন চলতে থাকলে পরিস্থিতি আপনার হাতের বাইরে যেতে বাধ্য।
সন্তানের আচরণে এমন কী কী অসঙ্গতি দেখলে এখন থেকেই সাবধান হবেন-
আপনার চোখের আড়ালে সন্তান যদি বাড়ির বড়দের কটু কথা বলে, তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, তা হলে এখনই সাবধান হয়ে যান। সকলের সামনে গায়ে হাত না তুলে, আড়ালে ডেকে বোঝান।
প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে বাসন ধোয়া, ঘর মোছা, জামাকাপড় পরিষ্কার মতো কাজগুলো যারা করে থাকেন, তারাও যে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ এই জীবনপাঠ ছোট থেকেই দিতে হবে।
প্রত্যেক বাবা-মা চান, তাদের সন্তানের যেন কোনও অভাব না থাকে। তাই বলে বায়না করলে বা প্রয়োজন না থাকলেও জিনিস কিনে দেওয়ার মতো অভ্যাস থাকলে আপনার সন্তান কিন্তু জিনিসের গুরুত্ব বুঝবে না।
আপনার সন্তান যদি কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে, তা হলে এখন থেকেই তাকে সাবধান করুন। খেলতে খেলতে বন্ধুর নামে দোষ দেওয়া থেকে এই অভ্যাস শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে এই অভ্যাসই বৃহৎ আকার ধারণ করে।
সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।