জুমবাংলা ডেস্ক : এক বছর বয়সী একটি শিশুর গলায় কিছু একটা আটকে থাকায় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হওয়ায় অক্সিজেনের অভাবে শিশুটি নীলাভ বর্ণ ধারণ করে। পরিবারের লোকজন নোয়াখালীর স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান ও গলা বিভাগে নিয়ে আসেন।
সেখানে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে শিশুটির গলা থেকে আস্ত একটি খলিশা মাছ বের করেন নাক কান ও গলা বিভাগের চিকিৎসকরা।
বুধবার (১৫ মার্চ) ফেসবুক পোস্টে সফল অস্ত্রোপচারের এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রজত কান্তি সরকার।
ফেসবুক পোস্টে এই চিকিৎসক বলেন—
“ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাক কান ও গলা বিভাগের রাত্রিকালীন ডিউটিতে সবেমাত্র এসেছি। এরই মধ্যে একজন মা তার বাচ্চাকে নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে আসলো প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে। অক্সিজেনের অভাবে বাচ্চাটা নীলাভ বর্ণ ধারণ করেছে। আমরা দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাই। আর গলা থেকে আস্ত এক মাছ বের করা হয়।
যে বাচ্চার কথা বলছিলাম তার বয়স এক বছর, নোয়াখালী বাড়ি। মা আর দাদী নামাজ পড়ছিল, এই ফাঁকে বড় বোন এক বছর বয়সী ছোট ভাইকে নিয়ে খেলছিল, খেলতে খেলতে বালতিতে রাখা মাছ নিয়ে মুখে ভরে দেয়। সেই মাছ বাচ্চার গলার ভেতর ঢুকে যায় আর শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সেই শ্বাসকষ্ট নিয়ে নোয়াখালী হাসপাতাল ঘুরে মুমূর্ষু অবস্থায় আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাক কান ও গলা বিভাগে।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই নাক কান ও গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল ফাত্তাহ রুমি স্যারকে, যার ডায়নামিক নেতৃত্ব আর দিকনির্দেশনায় আমরা চব্বিশ ঘণ্টা ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটার পেয়ে থাকি আর এভাবেই বেঁচে যায় হাজারো জীবন। ”
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, ঘটনাটি বেশ কিছুদিন আগের হলেও আজকে ফেসবুক প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ওই চিকিৎসক। বাচ্চাটি দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে পরিবারের সাথে ইতোমধ্যে বাড়ি চলে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।