আমরা যখন সবুজায়নকে সমর্থন করি তখন এর একটি বড় কারণ হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেনো বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারে। তাদের যেনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে চিন্তা করতে না হয়।
শিশুদের টেকসই জীবন উপহার দিতে পারা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আশেপাশে তাকালে সে যেনো সুন্দর সবুজাভ পরিবেশ পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিশ্চিত করতে হবে যে, টেকসই উন্নয়ন ও রিসাইকেল পদ্ধতির মধ্যে মূল পার্থক্য শিশুরা যেনো বুঝতে পারে। পৃথিবীর অনেক সম্পদ আছে যাদের যত্ন নিতে হবে যদি তাদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে কাচামাল ব্যবহার করি বা পরিবারের ব্যবহার্য জিনিস তার অপরিসীম গুরুত্ব সম্পর্কে শিশুদের বোঝাতে হবে। এসব সম্পদ আমাদের জীবনকে সহজ করেছে, স্বাস্থ্যসম্মত করেছে। ভবিষ্যৎ দুনিয়ার বাসিন্দাদেরও এসব কাচামাল অনেক প্রয়োজন হবে সেটা শিশুরা বুঝতে পারবে।
টেকসই পরিবেশের গুরুত্ব আপনার শিশু যেনো বুঝতে পারে সেদিকে নজর দিন। আপনার শহরে রিসাইকেল সেন্টার থাকলে সেখানে বাচ্চাদের নিয়ে যান। কমিউনিটি গ্রুপের পক্ষ থেকে দেশের অনেক জায়গায় বাগান করা থাকে। বাগানে যান ও সবুজায়নের গুরুত্ব তুলে ধরুন।
আপনার দেশের বা এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশ বা বণ্য এলাকা থাকলে বাচ্চাদের নিয়ে সেখানে ঘুরতে যান। বিভিন্ন পশুর বৈশিষ্ট্য, পরিবেশ রক্ষায় তাদের গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শিশুদের সাথে আলোচনা করুন। তাহলে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে।
শিশুরা কৌতূহলী হয়ে নানা প্রশ্ন করবে। এ কৌতূহল তাদের মধ্যে জাগ্রত হওয়া জরুরি। বৃক্ষ, পশু, বাগান, সমুদ্র সহ নানা বিষয় নিয়ে তারা প্রশ্ন করবে। আপনি স্বীকার করুন সব প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে নেই তবে আপনারা একসাথে প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।